Samik Bhattacharya: ‘কেশ স্পর্শ করতে পারবে না, সে যে কমিশনই আসুক…’, মুসলিমদের ‘আশ্বাস’ দিলেন শমীক
Samik Bhattacharya on Election Commission: শমীকের মুখে এমন মন্তব্য প্রথম নয়। বঙ্গ বিজেপির একাধিক শীর্ষ স্থানীয় নেতা পরিসংখ্যান তুলে মুসলিম ভোট 'প্রয়োজন নেই' বলে দাবি করলেও, ভোটের অঙ্কে এই অংশকে কম গুরুত্ব দিতে 'নারাজ' শমীক। আর বিজেপির রাজ্য সভাপতির পদে আসীনের দিনেই তাঁর মুখে সেই বার্তা খুব স্পষ্ট ভাবেই শোনা গিয়েছিল।

৪৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিয়োয় ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবেই একটি ছবিও ব্যবহার করেছেন শমীক ভট্টাচার্য। সেই ছবিতে দেখা যায় একটি মাদ্রাসার সামনে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েকজন মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। আর তার সঙ্গে ভেসে আসছে বিজেপি নেতার গলার স্বর।
শমীককে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বারংবার বলেছি, পশ্চিমবঙ্গে যত হিন্দু, হিন্দু উদ্বাস্তু এবং ভারতীয় মুসলিম রয়েছেন তাদের কেশ স্পর্শ করার ক্ষমতা কারওর নেই। যে সকল ভারতীয় মুসলিমরা সেদিন এই দেশ ছেড়ে, এই দেশকে দারুল হরব বলে পূর্ব পাকিস্তানে চলে যায়নি, তাদের পাশে বিজেপি আছে আর থাকবেও। তাদের কেশ স্পর্শ করার ক্ষমতা কারওর নেই, সে যেই কমিশন আসুক না কেন!’ এই প্রসঙ্গে বলে রাখা প্রয়োজন ‘দারুল হরব’ বলতে বোঝায়, যুদ্ধের দেশ অর্থাৎ যেখানে অমুসলিম শাসনব্যবস্থা কায়েম হয়েছে।
উল্লেখ্য, শমীকের মুখে এমন মন্তব্য প্রথম নয়। বঙ্গ বিজেপির একাধিক শীর্ষ স্থানীয় নেতা পরিসংখ্যান তুলে মুসলিম ভোট ‘প্রয়োজন নেই’ বলে দাবি করলেও, ভোটের অঙ্কে এই অংশকে কম গুরুত্ব দিতে ‘নারাজ’ শমীক। আর বিজেপির রাজ্য সভাপতির পদে আসীনের দিনেই তাঁর মুখে সেই বার্তা খুব স্পষ্ট ভাবেই শোনা গিয়েছিল। এমনকি, ওই সময় একাংশের বিদ্যজনেরা বলে উঠেছিলেন, ‘বঙ্গ বিজেপির প্রথম সেক্যুলার নেতা’ শমীকই। কিন্তু ভারতীয় মুসলিমদের ‘আশ্বাস’ দিতে গিয়ে কেনই বা কমিশনের প্রতি ‘আক্রমণাত্মক’ হতে হল তাঁকে? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শাসকদলের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীই SIR-কে মুসলিম-বিরোধী বলে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন। ভোটের আগে SIR যে হবে, তা কার্যত স্পষ্ট। আর সেই আবহে আগাম ‘জমি তৈরি করছে’ বিজেপি।
শমীকের ভিডিয়ো
