Recruitment Scam: চাকরি পায়নি অথচ গরমিলে নাম, SSC-র ‘সাধুতায়’ হতবাক সবংয়ের বানেশ্বর
Recruitment Scam: তালিকায় যাঁদের নাম আছে, তাঁরা প্রত্যেকেই হয় শিক্ষকতা করেন, নাহলে ওয়েটিং লিস্টে নাম আছে। কিন্তু বানেশ্বরই একমাত্র ব্যতিক্রম।
কলকাতা: পরীক্ষা দিয়েছিলেন। চাকরি তো দূরের কথা, ভাইভাতেও ডাক পাননি তিনি। অথচ হাইকোর্টের নির্দেশে এসএসসি যে ওএমআর গরমিলের তালিকা প্রকাশ করেছে, সেখানে জ্বলজ্বল করছে বানেশ্বর বেরার নাম। তালিকায় নাম দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ সবং-এর বাসিন্দা বানেশ্বর। তাঁর নাম প্রকাশ করে এসএসসি আরও বড় দুর্নীতি সামনে এনেছে বলে মনে করছেন বানেশ্বর। তাঁর প্রশ্ন, ভাইভাও যখন দেননি, তখন দুর্নীতির প্রশ্ন উঠছে কীভাবে? এসএসসি-র বিরুদ্ধে আইনি পথে লড়বেন বলে TV9 বাংলাকে জানিয়েছেন বানেশ্বর। ওএমআর-এ গরমিল করে বেনিয়মে চাকরি হয়েছে এমন প্রার্থীর সংখ্যাই বেশি। বানেশ্বরের ক্ষেত্রে তা নয়। তিনি যদি গরমিল করেও থাকেন, তাঁর ক্ষেত্রে তাহলে এসএসসি সততার পরিচয় দিয়েছে? এমনটাও বলছেন কেউ কেউ।
বুধবার এসএসসি ২০১৬ সালের একাদশ-দ্বাদশ নিয়োগের ৯০৭ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় যাঁদের নাম আছে, তাঁরা প্রত্যেকেই হয় শিক্ষকতা করেন, নাহলে ওয়েটিং লিস্টে নাম আছে। কিন্তু বানেশ্বরই একমাত্র ব্যতিক্রম।
বানেশ্বর বেরা জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে পরীক্ষা দেওয়ার পর ফল প্রকাশ হয় ২০১৭ সালে। তাতে তাঁর নাম ছিল না। ডাক পাননি ভাইভাতে। পরে ২০২২ সালের অগস্ট মাসে আরটিআই করে ফলাফল জানতে পারেননি। লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ৫৫-র মধ্যে ৫৩। আর অ্যাকাডেমিক স্কোর অর্থাৎ শিক্ষাগত যোগ্য়তার ওপর ভিত্তি করে পাওয়া নম্বর ২৯।
বানেশ্বর প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁর নামে নিয়োগ পত্র পেয়ে অন্য কেউ চাকরি করছেন না তো? তাঁর মতে, এ ক্ষেত্রে আরও বড় দুর্নীতি সামনে আসতে পারে। এর শেষ দেখে ছাড়বেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বানেশ্বর বলেন, ‘আমাকে ভাইভাতেই ডাকা হয়নি, তাহলে আমার টাকা দেওয়ার প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে?’