Partha Chatterjee: গায়ে ‘P’ লেখা ১০০ ডাম্পার, পার্থ গ্রেফতার হওয়ার পরই থেমে গেল চাকা!

Partha Chatterjee: পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে গ্রেফতার করার পর থেকেই একের পর এক সম্পত্তির হদিশ পাচ্ছেন ইডি-র তদন্তকারীরা। বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের পর এবার খোঁজ মিলল অন্তত ১০০ ডাম্পারের।

Partha Chatterjee: গায়ে 'P' লেখা ১০০ ডাম্পার, পার্থ গ্রেফতার হওয়ার পরই থেমে গেল চাকা!
দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি ডাম্পার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 26, 2022 | 5:17 PM

পূর্ব বর্ধমান: পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের গ্রেফতারির পর ইডি-র আইনজীবী বলেছিলেন, পরতে পরতে দুর্নীতির অভিযোগ বেরিয়ে আসছে। রাজ্যের মন্ত্রীকে গ্রেফতার করার পর থেকেই ইডির নজরে আসছে একের পর এক সম্পত্তির হদিশ। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নগদ টাকাই শেষ কথা নয়, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, পার্লার, বাগানবাড়িই শুধু নয়, এবার হদিশ মিলল অন্তত ১০০ টি ডাম্পারের। সেগুলি পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের টাকাতেই কেনা হয়েছিল বলে ইডি সূত্রে খবর। পূর্ব বর্ধমানের পালসিটে গেলে দেখা যাবে রাস্তায় দাঁড় করানো সারি সারি ডাম্পার।

ডাম্পারের গায়ে লেখা দুটি নাম, কারা এই রাহুল, রাজ?

দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে লাগোয়া পালসিট টোলপ্লাজার আগে আজাপুর গ্রামে গেলেই ওই সব ডাম্পার নজরে পড়বে। কারণ পার্থ-র গ্রেফতারির পর থেকে ডাম্পার চালানো হচ্ছে না। ফলে, গ্রামের রাস্তায় মাঠের পাশে সার দিয়ে দাঁড় করানো আছে সেগুলিকে। জানা যাচ্ছে, এগুলির গায়ে এতদিন পর্যন্ত P লোগো লাগানো ছিল। পার্থ-র গ্রেফতারির পর সেগুলি খুলে ফেলা হয়েছে। ডাম্পারগুলির গায়ে লেখা আছে রাহুল-রাজ। কে এই রাহুল-রাজ? গ্রামের বাসিন্দারা বলছেন, এলাকার দুই বাসিন্দা বাবলু ও ডাবুই মূলত এই ডাম্পারগুলির দেখভাল করেন। আর তাঁদের ছেলের নাম রাহুল ও রাজ। আপাতত এলাকায় দেখা মিলছে না বাবলু ও ডাবুর।

খাদান থেকে বালি তুলে পাঠানো হত সিঙ্গুরে

জানা গিয়েছে, জামালপুরের দুটি বালি খাদান থেকে ও বর্ধমানের তিনটি বালি খাদান থেকে বালি তোলা হত বেআইনিভাবে। সেই বালি নাকি প্রথম দিকে পাঠানো হত রাজারহাটে। বিগত বেশ কিছুদিন ধরে বালি যাচ্ছিল সিঙ্গুরে। তবে গত কয়েকদিন ধরে সেই বালি তোলার কাজ বন্ধ রয়েছে। যেখানে ডাম্পারগুলি দাঁড়িয়ে আছে, সেখানে রয়েছে একটি অফিস। সংবাদমাধ্যম পৌঁছনোর আগেই কেউ বা কারা সেটি বন্ধ করে দিয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। সেখানে রয়েছে তৃণমূলের পতাকা। সামনে দাঁড় করানো দুটি চারচাকার গাড়ি।

ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রাথমিকভাবে বাবলু ও ডাবু এই ব্যবসা শুরু করলেও পরে পার্থ এখানে প্রচুর টাকা বিনিয়োগ করেন। তাঁর টাকাতেই কেনা হয় ডাম্পারগুলি। গ্রামে বাবলু ও ডাবুর বাড়ি তৈরির কাজও চলছে।

কী বলছেন দিলীপ ঘোষ?

একের পর ফ্ল্যাট ও পার্লারের পর এবার হদিশ মিলল ডাম্পারের। বিপুল সম্পত্তির হিসেব খুঁজতেই মরিয়া ইডি। এই প্রসঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় সব সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, কোথায় কত সম্পত্তি ছিল, সে খবর অনেকেরই জানা। তিনি নিজেও জানেন বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর দাবি, সাধারণ মানুষকে জিজ্ঞেস করলেই জানা যাবে পার্থ-র কোথায় কী রয়েছে।