Partha Chatterjee: শ্বশুর পার্থ জেলে, আমেরিকা থেকে ছুটে এলেন জামাই, আর পারবেন ফিরতে!
Partha Chatterjee: কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা তদন্ত করতে গিয়ে পিংলায় একটি অভিজাত মানের স্কুলের খোঁজ পেয়েছিলেন। ওই স্কুলটি ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী'র নামে। পরে জানা যায়, ওই অভিজাত মানের স্কুলটির চেয়ারম্যানের পদে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য।
কলকাতা: শ্বশুরের সঙ্গে সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়ে গিয়েছিল জামাইয়েরও। আমেরিকাবাসী জামাইকে আগেও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তদন্তকারী সংস্থা। আর এবার দেশে ফিরে কিছুটা স্বস্তি পেলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়েপ জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার পঞ্চম চার্জশিটে নাম ছিল তাঁর।
নির্দেশমতো সোমবার সকালে বিশেষ সিবিআই আদালতে সশরীরে হাজির হন কল্যাণময়। আদালত তাঁর আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে। বিচারক শুভেন্দু সাহা তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘কল্যাণময়বাবু আপনাকে কি জেরা করা হয় এই মামলায়?, কল্যাণময় জানান, ‘হ্যাঁ করা হয়। বিচারক জানিয়ে দেন, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি, ফলে তাঁকে জামিন দেওয়া হল।
তবে আদালতের শর্ত হল, আদালতের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত ভারত ছাড়তে পারবেন না কল্যাণময়। আগামী ২ জানুয়ারি থেকে খুলে যাচ্ছে কল্যাণময়ের অফিস, তাই আমেরিকা ফেরার আবেদন জানান তিনি। কিন্তু সেই আবেদন মঞ্জুর হয়নি। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেখানেও হাজির থাকতে হতে পারে কল্যাণময়কে।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা তদন্ত করতে গিয়ে পিংলায় একটি অভিজাত মানের স্কুলের খোঁজ পেয়েছিলেন। ওই স্কুলটি ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী’র নামে। পরে জানা যায়, ওই অভিজাত মানের স্কুলটির চেয়ারম্যানের পদে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। এরপর তাঁকে একাধিকবার তলব করা হয়। ২০২২ সালে ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি।
এদিকে, সোমবার সকালে আদালতে যাওয়ার সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরও একবার দাবি করেন, দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।