কমিশনের ফুল বেঞ্চে ‘নালিশ’ পার্থ-দিলীপের, পিছিয়ে নেই রবীন দেবও

বুথের ভিতরে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছেন কেউ, কেউ আবার বলেছেন ভোটের মুখে ভাষার প্রতি সংযম দেখাক নেতারা।

কমিশনের ফুল বেঞ্চে 'নালিশ' পার্থ-দিলীপের, পিছিয়ে নেই রবীন দেবও
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jan 21, 2021 | 1:38 PM

কলকাতা: তিন দিনের সফরে রাজ্যে এসেছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। রয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরাও। বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে কমিশন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএমের প্রতিনিধিরা। নিজেদের মতো করে সকলেই তাঁদের বক্তব্য জানিয়ে এসেছে নির্বাচন কমিশনের কাছে।

সীমান্তের গ্রামে ভয় দেখাচ্ছে বিএসএফ: পার্থ চট্টোপাধ্যায়

তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন কমিশনের কাছে জানান, “সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে গিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন বিএসএফের কর্তব্যরতরা। একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সহায়তা করার জন্য তাঁরা ভয় দেখাচ্ছেন। এটা একটা ভয়ঙ্কর অভিযোগ। জাতীয় নির্বাচন কমিশন অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করুক।” একইসঙ্গে পার্থর অভিযোগ, রাজ্যে ‘শব্দ সন্ত্রাস’ চলছে। সেদিকটিও তুলে ধরা হয়েছে কমিশনের কাছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, ইভিএম, ভিভিপ্যাড নিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি যতক্ষণ না পর্যন্ত সন্তুষ্ট হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত মকপোল করে যেতে হবে।

বুথের ভিতর কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হোক: দিলীপ ঘোষ

রাজ্যে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের দাবি তুলে এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “নির্বাচন কমিশনকে আবেদন করেছি যাঁরা ভয়ের মধ্যে থাকেন, তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। যাতে মানুষ নির্বাচন কমিশনের উপর ভরসা রাখতে পারেন। সারা ভারতে ভোট নিয়ে কোনও অশান্তি হয়নি। অথচ পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনে অশান্তি হয়েছে। গুলি চলেছে। মানুষ মারা গিয়েছেন। ভোটাররা ভোট দিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় তাঁদেরও সুরক্ষা দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের যাঁরা দিল্লি বা বাইরে থেকে আসবেন তাঁদেরও সুরক্ষা দেওয়া হোক। বুথের মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হোক। বুথের বাইরে থাকুক রাজ্য পুলিস। নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক। মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন তা এখন থেকে নিশ্চিত করার কথা বলেছি।”

ভোটার তালিকায় এখনও মৃতদের নাম রয়েছে: রবীন দেব

সিপিএমের প্রতিনিধি হিসাবে কমিশনের সঙ্গে কথা বলেন রবীন দেব। তিনি জানান, “ভোটার তালিকায় বহু ভোটারের নাম বাদ পড়েছে। অথচ মৃত ভোটারের নাম বাদ যায়নি। স্ক্রুটিনি করা হোক। পর্যবেক্ষক যাঁরা থাকেন, তাঁরা পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেন। পারস্পরিক প্রতিযোগিতা করে তৃণমূল বিজেপি ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছে। ধর্মের ভিত্তিতে ভোট চাইছে, এটা বন্ধ করতে হবে।”