Biman Basu on Kaustav Bagchi : কৌস্তভের গ্রেফতারিতে পুলিশকে তোপ বিমানের

Ambikesh on Kaustav Bagchi : অম্বিকেশ মহাপাত্রের সোজাসাপটা কথা, পরিকল্পনাটা হয়ে গিয়েছিল ২০১১ সালেই। সেই পরিকল্পনা মেনেই একযোগে কাজ করছে দুষ্কৃতী, শাসকদল ও পুলিশ।

Biman Basu on Kaustav Bagchi : কৌস্তভের গ্রেফতারিতে পুলিশকে তোপ বিমানের
কৌস্তভের পাশে বিমান
Follow Us:
| Updated on: Mar 04, 2023 | 11:56 PM

কলকাতা : “মাতৃসম মুখ্যমন্ত্রী পুত্রসম কৌস্তভ বাগচীকে ভয় পেয়েছে। এটা পুরোটাই শাসকের যড়যন্ত্র।” গ্রেফতারির পর এ কথা বলেছিলেন কলকাতা কৌস্তভ। শনিবার ভোররাতে কৌস্তভের বাড়িতে আচমকা হানা দেয় পুলিশ। রাত তিনটে থেকে তল্লাশি চালায় কলকাতা পুলিশের ১২ জনের প্রতিনিধি দল। মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যক্তিগত আক্রমণের অভিযোগ কৌস্তভের বিরুদ্ধে। সে কারণেই গ্রেফতারি। যদিও ইতিমধ্যেই তিনি জামিনও পেয়ে গিয়েছেন। এ ঘটনায় সকাল থেকেই শোরগোল চলছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তিনি বলেন, “কোনও নোটিস না দিয়েই তাঁর বাড়িতে রাত তিনটের সময় চলে গিয়েছে। যেন সন্ত্রাসবাদীর কাছে যাচ্ছে পুলিশ। এটা তো ঠিক নয়। এটার মানে কী?” 

“আমার সঙ্গে হওয়া ঘটনার মিল খুঁজে পাচ্ছি।” কৌস্তভ বাগচী গ্রেফতার হতেই মুখ খুলেছেন অম্বিকেশ মহাপাত্রও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), মুকুল রায় (Mukul Roy) এবং দীনেশ ত্রিবেদীর ছবি দেওয়া একটি ব্যঙ্গচিত্র এঁকে বেজায় বিপাকে পড়েছিলেন অম্বিকেশ (Ambikesh Mahapatra)। গ্রেফতারও হয়েছিলেন। ১১ বছর ধরে মামলা চলেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। এবার তিনিই ব্যাট ধরলেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী তথা কংগ্রেসের মুখপাত্র কৌস্তভ বাগচীর (Kaustav Bagchi arrested) বিরুদ্ধে। 

যদিও এ প্রসঙ্গে অম্বিকেশ মহাপাত্রের সোজাসাপটা কথা, পরিকল্পনাটা হয়ে গিয়েছিল ২০১১ সালেই। সেই পরিকল্পনা মেনেই একযোগে কাজ করছে দুষ্কৃতী, শাসকদল ও পুলিশ। এদিন তিনি বলেন, “সংবিধানে যে বর্ণিত নাগরিক অধিকারগুলি রয়েছে। যেমন স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার, বাক স্বাধীনতা, এই গণতান্ত্রিক অধিকারগুলি বজায় থাকলে তবেই গণতন্ত্র সুরক্ষিত থাকবে। সরকারের সমালোচনা, সরকারকে প্রশ্ন করাও এই গণতান্ত্রিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। কিন্তু, রাজ্যের সরকার যখন ২০১১ সালে সংবিধানের নামে শপথ গ্রহণ করে। যখন রাজ্যের শাসনভার পরিচালনার দায়িত্বগ্রহণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা পুলিশ মন্ত্রী। তখন থেকে তাঁর নেতৃত্বেই একটা সিদ্ধান্ত হয় যে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারগুলিকে আক্রমণ করা হবে। এটা হবে দুষ্কৃতী, পুলিশ ও শাসকদলের যোগসাজসেই। ২০১১ সালের পর এই ধরনের ঘটনা পরপর ঘটতেই থাকছে। তপন দত্ত খুন হয়েছে, রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অধ্যক্ষকে হেনস্থা করা হয়েছে, আমাকে গ্রেফতার করে লকাপে রাখা হয়েছে। এসবই নিশ্চয় আপনাদের মনে থাকবে।” 

কৌস্তভের গ্রেফতারির পর তা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। জেল থেকে ছাড়া পেয়েই সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, “তাঁর সঙ্গে অন্যায় হয়ে থাকলে আমি তাঁর সঙ্গে আছি।” সুর চড়িয়েছে বামেরাও। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “সাগরদিঘির নির্বাচনের পর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে সরকারের। সে কারণেই এই স্বৈরাচারী কাজকর্ম করছে। রাজ্যেই মানুষ এগুলো কখনওই মানবে না। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ হবে।” খানিক একই সুর খোদ কৌস্তভের গলাতেও। তাঁর স্পষ্ট দাবি, “স্বৈরাচার শাসক তার কাজ করেছে। জবাব মমতা রাস্তায় পাবে। এটা পুরোটাই শাসকের প্রতিহিংসার রাজনীতি।” তবে তৃণমূল নেতা সুপ্রকাশ গিরি বলেন, “একজন রাজনৈতিক কর্মী যদি রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ না করে ব্যক্তি আক্রমণে চলে যান, মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করেন, তাহলে তো পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। আইন মেনেই কাজ করা হয়েছে।”