Haimanti Ganguly Exclusive: ‘টিউশন পড়িয়েছি…দু’টাকা কারোর থেকে নিইনি’, নিজের স্ট্রাগলের কথা শোনালেন হৈমন্তী

Haimanti Ganguly: হৈমন্তী বলছেন, তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কোনওদিনও গোপাল দলপতির কোনও সাহায্য নেননি।

Haimanti Ganguly Exclusive: 'টিউশন পড়িয়েছি...দু'টাকা কারোর থেকে নিইনি', নিজের স্ট্রাগলের কথা শোনালেন হৈমন্তী
হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 04, 2023 | 4:42 PM

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) গ্রেফতার কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) মুখে তাঁর নাম উঠে আসার পর থেকেই কার্যত বিধ্বস্ত তিনি। মডেলিং-এর পেশা থেকে ধীরে ধীরে অভিনয় জগতে পা জমাতে শুরু করেছিলেন। কেরিয়ার একটু একটু করে তৈরি করছিলেন। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন। কথা হচ্ছে গোপাল দলপতির (Gopal Dalapati_ স্ত্রী হৈমন্তী গাঙ্গুলিকে (Haimanti Ganguly) নিয়ে। কুন্তলের মুখে তাঁর নাম উঠে আসার পর থেকেই সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছেন হৈমন্তী। আগে খবরের চ্যানেলে তেমন নজর না রাখলেও, এখন অনেক বেশি করে চোখ রাখছেন সংবাদমাধ্যমে। কেন তাঁর নাম উঠে আসছে? কেন তাঁকে ‘রহস্যময়ী নারী’ বলা হচ্ছে? ভেবে কূল কিনারা পাচ্ছেন না তিনি। টিভি নাইন বাংলার ম্যানেজিং এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাচার্যর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় হৈমন্তী শোনালেন কী শোচনীয় অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইতিপূর্বেই নাম জড়িয়েছে গোপাল দলপতির। আর হৈমন্তী তাঁর স্ত্রী। সেক্ষেত্রে হৈমন্তী কি স্বামী গোপাল দলপতির থেকে কোনও সুবিধা পেয়েছেন? স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্ন উঠে আসে। যদিও হৈমন্তী বলছেন, তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কোনওদিনও গোপাল দলপতির কোনও সাহায্য নেননি। টিভি নাইন বাংলাকে জানালেন, ‘আমি বরাবরই খুব ইন্ডিপেন্ডেন্ট। আমি নিজে কাজ করেছি, টিউশন পড়িয়েছি। অনেক কিছুই করেছি। আমি ছোট থেকেই, স্কুল জীবন-কলেজ জীবন থেকেই টুকটাক কিছু কাজ করতে থাকতাম। আমার বিশেষ প্রয়োজন না হলে কারও থেকে দু’টাকারও সাহায্য নিই না। আমি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ওনার থেকে সাহায্য নিয়েছি, এমন কোনওদিনই হয়নি। আমি চাইনি কেউ বলুক, যে আমি কারও সাহায্য নিয়ে বড় হয়েছি। আমি সবসময় চেয়েছি, আমি যেন নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে বড় হই।’

গোপাল দলপতি ও হৈমন্তীর বৈবাহিক সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আসতেই উঠে আসছে হৈমন্তী অ্যাগ্রো প্রোডাক্টস প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থার নাম। সেটি তাহলে কী? হৈমন্তী জানাচ্ছেন, তিনি অনেকদিন আগে ভেবেছিলেন কোনও ভেষজ প্রোডাক্টের কাজ করবেন। সেই মতো গোপাল দলপতিকে বলেছিলেন, একটি কসমেটিকস ব্র্যান্ড তৈরি করতে চান। সেই কারণেই একটি কোম্পানি তৈর করেছিলেন গোপাল দলপতি। রেজিস্টার্ড অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল গোপালবাবুর কোনও এক বন্ধুর অফিস। কিন্তু টাকার সমস্যার জন্য সেই কোম্পানি আর বেশিদূর এগোয়নি বলেই জানাচ্ছেন হৈমন্তী।

নিজের স্ট্রাগলের কথা বলতে গিয়ে হৈমন্তী জানালেন, ‘আমার পিছনে বিশাল কোনও সাপোর্ট ছিল না। প্রচণ্ড কষ্টকর ছিল শুরুটা। আমাকে ধীরে ধীরে অনেক ছোট ছোট কাজ করতে করতে এগোতে হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় অডিশন দিয়ে, ছোট ছোট কাজ করে নিজের জায়গা অনেকটাই তৈরি করে নিয়েছিলাম।’ কিন্তু এই ঘটনার প্রেক্ষিতে, যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তারপর কী হবে, তা ভেবে পাচ্ছেন না হৈমন্তী। যদিও এইসবের জন্য গোপাল দলপতির উপর তাঁর কোনও রাগ নেই বলেই জানাচ্ছেন তিনি। বললেন, ‘কেন রাগ হবে? উনি কি আমার কোনও ক্ষতি করেছেন? আমি নিজেই এখন বিভ্রান্ত, আমি কাকে রাগ দেখাব!’ হৈমন্তী এখন শুধু চান, যাতে তাঁর সামাজিক সম্মান ফিরে আসে।