Police at Gariahat: গড়িয়াহাটের ফুটপাথে চরম তৎপর পুলিশ, লাঠির খোঁচায় ভেঙে দেওয়া হল শেড
Police at Gariahat: এদিনের অভিযানে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ। অন্যদিকে, ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, রোদ বা বৃষ্টিতে যাতে ক্রেতাদের অসুবিধা না হয়, সেই কারণেই ওই সব শেড লাগিয়েছিলেন তাঁরা। আগে কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না?
গড়িয়াহাট: গড়িয়াহাট মানেই ফুটপাথের সারি সারি দোকান। পোশাক, গয়না, বাসনপত্র-সবই মেলে সাধ্যের মধ্যে। দক্ষিণ কলকাতার মানুষজনের নিত্য যাতায়াত সে সব দোকানে। মঙ্গলবার হঠাৎ সেই ফুটপাথে অ্যাকশন মোডে পুলিশ। রাস্তা দখলমুক্ত করতে চলল পুলিশের অভিযান। জামা, ব্যাগের দোকানের মাথায় থাকা অস্থায়ী শেড ভেঙে দেওয়া হল লাঠির খোঁচায়। বৃষ্টি-বাদলে কীভাবে চলবে দোকান, তা ভেবেই মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের। সোমবার নবান্নের সভাঘরে পুর প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক চলাকালীন ফুটপাথগুলোর অবস্থা নিয়ে চাঁচাছোলা ভাষায় ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই শুরু হল এই পুলিশি অভিযান।
এদিন দুপুরে পুলিশ ছিড়ে ফেলে বেশ কয়েকটি ফুটপাথের দোকানের প্লাস্টিক, টিনের শেড। পুরসভার তরফে গড়িয়াহাটে ব্যবসায়ীদের জন্য ফুটপাথের উপরে টিনের শেড দিয়ে নির্দিষ্ট জায়গা বরাদ্দ করা আছে। তা সত্ত্বেও ব্যবসায়ীরা নিজেদের মতো করে অস্থায়ী কাঠামো তৈরি করে ফুটপাথের উপর ব্যবসা চালাচ্ছেন। দোকানের বাইরে ফুটপাথের উপরে জিনিসপত্র ঝুলিয়ে রেখে দিনের পর দিন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। সেগুলিই এদিন সরিয়ে দিতে দেখা যায় পুলিশকে।
এদিনের অভিযানে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ। অন্যদিকে, ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, রোদ বা বৃষ্টিতে যাতে ক্রেতাদের অসুবিধা না হয়, সেই কারণেই ওই সব শেড লাগিয়েছিলেন তাঁরা। আগে কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না? সেই প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ।
তবে শুধু গড়িয়াহাটে নয়, হাতিবাগানেও দেখা গিয়েছে একই ছবি। এভাবেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অনেক দোকান। পুলিশের অ্য়াকশন চোখে পড়েছে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভেও। কোথাও ভেঙে ফেলা হয়েছে অবৈধ নির্মাণ।