শুরু হচ্ছে পোস্তা ব্রিজের বিপজ্জনক অংশ ভাঙার কাজ, মাসখানেক বন্ধ থাকবে ব্যস্ততম রাস্তা

আগামী এক থেকে দেড় মাস কলকাতার অন্যতম ব্যস্ততম রাস্তা বিবেকানন্দ রোড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে কলকাতা পুর প্রশাসন।

শুরু হচ্ছে পোস্তা ব্রিজের বিপজ্জনক অংশ ভাঙার কাজ, মাসখানেক বন্ধ থাকবে ব্যস্ততম রাস্তা
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 14, 2021 | 5:24 PM

কলকাতা: শুরু হচ্ছে পোস্তা উড়ালপুল ভেঙে ফেলার দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ। সূত্রের খবর, আগামী ২৭ অগস্ট থেকে শুরু হবে গণেশ টকিজ থেকে গিরিশ পার্ক পর্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থায় থাকা অংশের কাজ ভাঙার কাজ। এর ফলে আগামী এক থেকে দেড় মাস কলকাতার অন্যতম ব্যস্ততম রাস্তা বিবেকানন্দ রোড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে কলকাতা পুর প্রশাসন।

শনিবার কলকাতা পুরসভায় কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল, ডিজি দমকল-সহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। সেখানেই দ্বিতীয় দফায় পোস্তা উড়ালপুলের বিপজ্জনক অংশটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া সিদ্ধান্ত হয়।

পোস্তা বাজার থেকে হাওড়া ব্রিজ পর্যন্ত উড়ালপুলের যে অংশটি ছিল, তা ভাঙার কাজ প্রায় শেষের মুখে। এ বার দ্বিতীয় দফায় গণেশ টকিজ থেকে গিরিশ পার্ক মোড় পর্যন্ত থাকা উড়ালপুলের বিপজ্জনক অংশটি ভাঙার কাজ শুরু হবে। পুরসভা, পূর্ত দফতর ও দমকলের সহযোগে এই ভাঙার কাজ চলবে। ঠিক এই কারণেই এক থেকে দেড় মাসের জন্য বিবেকানন্দ রোড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে ফিরহাদ জানান, প্রথম দফায় ৪৫ দিন ধরে পোস্তা বাজার থেকে হাওড়া ব্রিজের মুখ পর্যন্ত অংশ ভাঙার কাজ হয়েছে। ভাঙার কাজের জন্য রাস্তা খারাপ হয়েছে। তাই কাজ শেষ হওয়ার পর প্রথম দফায় যে অংশে কাজ হয়েছে, সেখানকার রাস্তার মেরামত করবে কলকাতা পুরসভা। তারপর বর্তমানে বন্ধ থাকা ওই রাস্তার অংশটি খুলে দেওয়া হবে। দ্বিতীয় দফায় কাজের পরও যেখানে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তা পুরসভার পক্ষ থেকেও সারিয়ে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ফিরহাদ।

তবে নাগাড়ে এক থেকে দেড় মাস শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক বন্ধ রাখা হলে ব্যাপক যানজট হওয়া একপ্রকার অবশ্যম্ভাবী। তা কী ভাবে এড়ানো যায় এই নিয়ে ২৭ অগস্টই একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসতে চলেছেন ববি হাকিম। কলকাতা পুলিশের সঙ্গে এই বৈঠকে বিকল্প কোন কোন পথ দিয়ে ছোট গাড়ি, এবং কোন পথ দিয়ে বড় গাড়ি চালানো যায়, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যাতায়াতের নতুন রোডম্যাপ ওই দিনই বিজ্ঞপ্তি আকারে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের মার্চ মাস উড়ালপুল দুর্ঘটনার পর তার ভবিষ্যৎ কী হবে, বিষয়টি ঠিক করতে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে খড়্গপুর আইআইটি’র বিশেষজ্ঞরা উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। কিন্তু তাঁদের রিপোর্ট অস্পষ্ট থাকায় প্রখ্যাত ব্রিজ বিশেষজ্ঞ ভিকে রায়নাকে দায়িত্ব দেয় সরকার। তিনি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণের পর নির্মীয়মাণ উড়ালপুলটি ভেঙে ফেলার পরামর্শ দেন। সেই মতামতকেই গুরুত্ব দিতেই এই উড়ালপুল ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। আরও পড়ুন: কবে ঠিক কোন অংশ থেকে শুরু হচ্ছে পোস্তা উড়ালপুর ভাঙার কাজ, আসবে কী কী বদল? বৈঠকের পর স্পষ্ট করল পুরসভা