Ration Scam: ২৮ টাকা কিলো দরে চাল ‘চুরি’, তৃণমূলের আমলে কি ২৮ হাজার কোটি টাকার রেশনে দুর্নীতি?

Ration Scam: আরও উল্লেখ্য, ১ কোটি ৬৬ লক্ষ ভুয়ো কার্ডের কথা বলা হচ্ছে, জানা যায়, সেই কার্ড বাতিল করা হয়নি, ব্লক করা হয়েছিল। আরও একটি বিষয়, যে সময়ে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের একটি মামলায় রাজ্য পুলিশ চালকল মালিক বাকিবুর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল, তা মাঝপথেই থেমে যায়

Ration Scam: ২৮ টাকা কিলো দরে চাল 'চুরি', তৃণমূলের আমলে কি ২৮ হাজার কোটি টাকার রেশনে দুর্নীতি?
রেশনে ২৮ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি? Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 03, 2023 | 5:09 PM

কলকাতা: রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে ‘ব্লক হওয়া’ ১ কোটি ৬৬ লক্ষ রেশন কার্ডের হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের দাবি, জ্যোতিপ্রিয়র আমলেই এই রেশন কার্ডের মাধ্যমে আসলে দুর্নীতি হয়েছিল। কার্ডগুলি ব্লক করা হয়েছে। প্রত্যেক কার্ডের জন্য মাসে বরাদ্দ ছিল ৫ কেজি চাল। বছরে কার্ড প্রতি ৬০ কেজি চাল বরাদ্দ ছিল। অভিযোগ ওঠে,  ২৮ টাকা কিলো দরে বিক্রি হয়েছিল ‘চুরি’র চাল। তদন্তকারীরাই বলছেন, এটাই হয়তো দেশের মধ্যে সবথেকে বড় রেশন স্ক্যাম হতে চলেছে।

জানা গিয়েছে, ২০১৬ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত CAG বারবার খাদ্য দফতরের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছিল। কত জনকে খাবার দেওয়া হয়, কত কার্ড ব্লক করা হয়েছে, কত জন আটা পান, কত জন চাল পান, গোটা তথ্য তলব করা হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য খাদ্য দফতরের তরফ থেকে কোনও রিপোর্ট দেওয়া হয়নি। সূত্রের খবর, এরপর CAG-র তরফ থেকেও রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই চিঠিরও কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি রাজ্যের তরফে।

আরও উল্লেখ্য, ১ কোটি ৬৬ লক্ষ ভুয়ো কার্ডের কথা বলা হচ্ছে, জানা যায়, সেই কার্ড বাতিল করা হয়নি, ব্লক করা হয়েছিল। আরও একটি বিষয়, যে সময়ে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের একটি মামলায় রাজ্য পুলিশ চালকল মালিক বাকিবুর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল, তা মাঝপথেই থেমে যায়। চার্জশিটে বাকিবুরের নামই থাকে না। এখানেও প্রভাবশালী যোগের অভিযোগ ওঠে।

খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, “একুশের পরে যদি এমন কোনও তথ্য থাকে, আমি বলতে পারব। কিন্তু আগের ব্যাপারটা আমি বলতে পারব না।” এদিকে, রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বাকিবুর এক একজনকে দেড় কোটি টাকা করে মাসে দিত।” যদিও তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “এই দুর্নীতি বাম আমল থেকে চলে আসছে। অভিযোগ ওঠা মানেই যে দোষী প্রমাণিত হয়ে যাওয়া, তা তো নয়।”

আরটিআই অ্যাক্টিভিক্টস বিশ্বনাথ গোস্বামী বলেন, “তৎকালীন ফুড সাপ্লাইয়ের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি অনিল বর্মার ভূমিকা কী, কেন তাঁকে দফতর থেকে সরানো হয়েছিল, মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কী নিয়ে ঝামেলা ছিল, তারপর যাঁকে আনা হয়, মনোজ আগরওয়াল, যাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত ছিল, তা সবটাই খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। অবিলম্বে তাঁদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করতে হবে।”