Recruitment Scam: ‘রোজ আসেন, উপদেশ শুনে চলে যান’, OMR শিট বিকৃত মামলায় তদন্তের গতি নিয়ে সিবিআই-কে ভর্ৎসনা আদালতের

Recruitment Scam: "আপনার কী মনে হয় না হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন? সব সুবিধাবাদীদের নাম কেন দেওয়া হয়নি? কারোর নাম চার্জিশিটে এল, আর কারোর নাম বাদ পড়ল কেন? যে বা যাঁরা টাকা পেয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এত ঢিলেঢালা মনোভাব কেন?"

Recruitment Scam: 'রোজ আসেন, উপদেশ শুনে চলে যান', OMR শিট বিকৃত মামলায় তদন্তের গতি নিয়ে সিবিআই-কে ভর্ৎসনা আদালতের
ওএমআর শিট বিকৃত মামলায় সিবিআই-কে ভর্ৎসনা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 06, 2023 | 2:42 PM

কলকাতা: নবম দশম OMR Sheet বিকৃতি মামলায় আবারও কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর ভর্ৎসনার মুখে পড়ে সিবিআই। সোমবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের গতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বিচারপতি জানতে চান, “সিবিআই কবে তদন্ত শেষ করবে? কারা পিছন থেকে মদত দিয়েছেন? চক্রান্তকারী কারা?” বিচারপতির আরও প্রশ্ন , ওএমআর প্রভাবিত করা হলে, কারা করিয়েছেন? তাঁদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করেছেন? যাঁরা ওএমআর শিট বিকৃত করলেন, তাঁদের কী জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে? বিচারপতি সিবিআই-এর আইনজীবীর কাছে জানতে চান, “আপনার কী মনে হয় না হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন? সব সুবিধাবাদীদের নাম কেন দেওয়া হয়নি? কারোর নাম চার্জিশিটে এল, আর কারোর নাম বাদ পড়ল কেন? যে বা যাঁরা টাকা পেয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এত ঢিলেঢালা মনোভাব কেন?”

বিচারপতি বসু বলেন, “এই ছ’বছরে অনেক টাকা তো পাচার হল। তদন্ত শেষ করুন। আপনারা কী করবেন আদালত তা বার বার বলে দেবে এটা ভাল দেখায় না। নিজেদের কাজ নিজেরা করুন। কাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন সেটাও বলে দিতে হচ্ছে। প্রতিদিন আসছেন আর কী করবেন, সেটার উপদেশ শুনে চলে যাচ্ছেন। যা করার তাড়াতাড়ি করুন। তদন্ত শেষ করুন।” এরপরই সিবিআই-এর তরফে আইনজীবী বলেন, “বৃহৎ ষড়যন্ত্র। শুধু কিছু জন সুবিধা পেয়েছেন, বিষয়টা সেই হিসাবে দেখা হচ্ছে না। চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এটা পাবলিক স্ক্যাম। একটার সঙ্গে একটা যুক্ত করতে হচ্ছে।” সিবিআই-এর তরফে জানানো হয়, শূন্য থেকে নম্বর কীভাবে ৫৩, সেটা দেখার কাজ চলছে। এদিনের কমিশনের তরফে আইনজীবী হাইকোর্টে জানান, “নির্দিষ্ট করে সময় বলা সম্ভব নয়, কত দিনের মধ্যে ৯৫২ জনের চাকরি বাতিল করা হবে।” সব শুনে বিচারপতি বসুর পর্যবেক্ষণ, মামলা চলতেই থাকলে নিয়োগের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। এক্ষেত্রে দ্রুত তদন্ত শেষ হওয়া প্রয়োজন।