Panchayat Elections 2023: রিটার্নিং অফিসারের ভূমিকা সন্দেহজনক, সৌদি আরব কাণ্ডে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

Panchayat Elections 2023: এদিকে এ মামলায় আগেই কেন্দ্রীয় সরকারকে পার্টি করেছে আদালত। কেন্দ্রের আইনজীবীর দাবি, এ ঘটনায় একটা বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে। তাই স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে।

Panchayat Elections 2023: রিটার্নিং অফিসারের ভূমিকা সন্দেহজনক, সৌদি আরব কাণ্ডে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
কলকাতা হাইকোর্ট (ফাইল ছবি)Image Credit source: টিভি নাইন বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 04, 2023 | 6:49 PM

কলকাতা: সৌদি আরবে হজে গিয়েছেন। তাও তাঁর জমা পড়ে গিয়েছিল মনোনয়ন। খোদ প্রার্থীর সই ছাড়া কী করে তা রিটার্নিং অফিসার জমা নিলেন? সেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিল বিরোধীরা। জল গড়ায় হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। গোটা বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষও প্রকাশ করেছিল রাজ্যের শীর্ষ আদালত। এবার এল তদন্তের নির্দেশ। নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বিতর্কের আবহে কয়েকদিন আগে সিরহাটের মিনাখাঁ ব্লকের কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমারজঝল গ্রামের বাসিন্দা মইনুদ্দিন গাজির ওই মনোনয়ন বাতিলের ঘোষণা করে দেয় নির্বাচন কমিশন। তখনই জানিয়েছিল মামলার পরবর্তী শুনানিতে এ বিষয়ে কমিশনের ভাবনার কথা হাইকোর্টে জানানো হবে। এদিন কমিশনের নতুন সিদ্ধান্ত কথা আদালতে জানান কমিশনের আইনজীবী। কমিশনের দাবি, তদন্ত করেই নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। কমিশনের তরফ থেকে জমা দেওয়া হয়েছে রিপোর্টও। 

এদিকে এ মামলায় আগেই কেন্দ্রীয় সরকারকে পার্টি করেছে আদালত। কেন্দ্রের আইনজীবীর দাবি, এ ঘটনায় একটা বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে। তাই স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। একই সুর মামলাকারী আইনজীবীর গলায়। এদিন তিনি বলেন, “কমিশন বর্তমানে এই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেছে। তবে, এই ঘটনা অনেক কিছুর দিকে ইঙ্গিত করছে। আমরা এই ঘটনার অভিযোগ জানাতে গেলে কেউ অভিযোগ নেয়নি।” 

এরপরই বিচারপতি বলে ওঠেন, “আপনারা তদন্ত চাইছেন, কিন্তু তদন্ত কিসের উপরে সেটা হবে? এটা তো একজন প্রার্থীর বিষয়।” তখনই পাল্টা সওয়াল করে মামলাকারী আইনজীবী বলেন, “এই ব্যক্তি আদৌ মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন নাকি অন্য কেউ তার নামে জমা দিয়েছেন, সেটাই পরিষ্কার নয়।” যদিও শেষ পর্যন্ত সমস্ত সওয়াল জবাব শেষে ফের একবার রিটার্নিং অফিসারের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত। 

যে ব্যক্তি এই মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছিলেন তিনি বিষয়টায় খুব একটা গুরুত্ব দেননি বলে মনে করছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। ঠিক মতো স্ক্রুটিনিও হয়নি। রিটার্নিং অফিসারের কার্যকলাপ যথেষ্ট সন্দেহজনক বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই এ বিষয়ে আরও তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে মনে করছে আদালত। যিনি মনোনয়ন জমা নিয়েছিলেন তাঁর সম্পর্কে করতে হবে করতে হবে তদন্ত। সে কারণেই মনোনয়নপত্র সহ সমস্ত নির্বাচনী তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে। তবে এ বিষয়ে কোনও সংস্থা তদন্ত করবে তা পরবর্তীকালে জানিয়ে দেবে কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৯ তারিখ।