Rimjhim Mitra join TMC: ‘বিবেকের’ ডাকে বিজেপির রিমঝিম তৃণমূলের মঞ্চে
Rimjhim Mitra: ১০০ দিনের টাকার দাবি, আবাসের ঘরের টাকা চেয়ে রাজভবনের সামনে ধরনায় বসেছে তৃণমূল। চারদিন ধরে এই ধরনা মঞ্চে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্ব। সেই মঞ্চেই রবিবার বিকেলে দেখা গেল রিমঝিমকে।
কলকাতা: তৃণমূলের মঞ্চে রিমঝিম মিত্র। একুশের ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অভিনেত্রী রিমঝিম। তবে তিন বছরও গেল না, ঘুচল বিজেপির প্রতি টান। এবার তৃণমূলের মঞ্চে তিনি। একুশের বিধানসভা ভোটের সময় এক ঝাঁক টলিউড কুলাকুশলী পদ্মশিবিরে যোগ দেন। সেই তালিকায় ছিলেন রিমঝিম, কাঞ্চনা, রূপা, অনিন্দ্যপুলক, পার্ণো মিত্র, রূপাঞ্জনা মিত্ররা। যদিও ভোটের পর সিংহভাগের সঙ্গেই দলের কোনও নৈকট্য নজরে আসেনি। ভোটে টিকিট পেয়েছিলেন যাঁরা, বেশিরভাগই হেরেছেন। বরং অনেককেই ইদানিং তৃণমূলের মঞ্চে দেখা যায়। তালিকায় এবার নতুন মুখ রিমঝিম।
১০০ দিনের টাকার দাবি, আবাসের ঘরের টাকা চেয়ে রাজভবনের সামনে ধরনায় বসেছে তৃণমূল। চারদিন ধরে এই ধরনা মঞ্চে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্ব। সেই মঞ্চেই রবিবার বিকেলে দেখা গেল রিমঝিমকে। তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য তাঁকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলেন, বিজেপি ছিলেন এক মিনিট আগেও। তিনিই এখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন ধরনা মঞ্চে এসেছেন।
রিমঝিম বলেন, “কোনও রাজনৈতিক মঞ্চে আসছি ভেবে আজ আমি আসিনি। আমি মনে করি যে দলেরই সমর্থক হোন না কেন, গরিব মানুষের টাকা যারা আটকে রাখে তাদের বিরুদ্ধে গলা তুলতে হবে। তা না করলে আর মানুষ বলে মনে করবে না কেউ। কিন্তু আমি মনে করি আমার মধ্যে কিছুটা মনুষ্যত্ব আছে। আমার বিবেক আমাকে এই মঞ্চে নিয়ে এসেছে।”
তাহলে কি বিজেপি ছাড়লেন রিমঝিম? নিজেই সে প্রসঙ্গ উত্থাপন করে রিমঝিম বলেন, “বিজেপি নিজে কি জানে ওদের সঙ্গে কে কে আছে? আমি যখন সক্রিয়ভাবে ওই দলের জন্য কাজ করেছি, শুনেছি আছেন বুঝি দলে? এটুকু সম্মানও যদি না থাকে, জায়গা না পাওয়া যায় কার জন্য কাজ করছি?”
এদিন রিমঝিম দাবি করেন, বিজেপি গরিব মানুষের টাকা কখনও আনতে পারবে বলে মনেই হয় না। রিমঝিমের দাবি, বিজেপি নিজেদের কর্মী কারা, তা চিনেই উঠতে পারে না। বুঝতেই পারে না, বাংলায় কার নেতৃত্বে কাজ করবে। রিমঝিমের কথায়, “দিলীপবাবু, শুভেন্দুবাবু নাকি সুকান্তবাবুর কথায় কাজ করবে, আগে বঙ্গ বিজেপি সেই ধন্দ দূর করুক।” রিমঝিম আরও বলেন, রাজনীতির প্রচার থেকে ব্যক্তিগত আক্রমণে বেশি স্বচ্ছন্দ্য বিজেপি। সে নির্দেশই থাকত। যা তাঁর মতো আরও অনেকেই মানতে পারেননি।