Rudranil Ghosh: বিজেপিকে নিয়ে মুখ খুললেন রুদ্রনীল, কী বললেন এবার?
Rudranil Ghosh: রুদ্রনীলের নিশানায় এবার বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। তৃণমূলকে সরাতে জনগণ কী চাইছেন তা জানাতে হবে দিল্লিকে। রাজ্য বিজেপির কিছু নেতা কী মনে করছেন সেটা আসল কথা নয়। ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করা নয়। ছড়িয়ে দিতে হবে। টিভি ৯ বাংলায় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক রুদ্রনীল ঘোষ।

কলকাতা: প্রথমে অর্জুন সিং, এরপর রুদ্রনীল ঘোষ। উপভোটের পর থেকে মুখ খুলতে শুরু করেছেন একের পর এক বিজেপি নেতা। রুদ্রনীলের নিশানায় এবার বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। তৃণমূলকে সরাতে জনগণ কী চাইছেন তা জানাতে হবে দিল্লিকে। রাজ্য বিজেপির কিছু নেতা কী মনে করছেন সেটা আসল কথা নয়। ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করা নয়। ছড়িয়ে দিতে হবে। টিভি ৯ বাংলায় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক রুদ্রনীল ঘোষ।
২০২৬-এর বিধানসভা ভোটের আগে কার্যত সেমিফাইনাল ছিল এই উপভোট। মাদারিহাটের মতো জেতা আসনও হেরেছে এ রাজ্যের বঙ্গ বিজেপি। ছ’য়ে-ছ’য় পেয়েছে তৃণমূল। কেন বিজেপির এই অবস্থা? চলছে চুলচেড়া বিশ্লেষণ। তার মধ্যেই মুখ খুললেন রুদ্রনীল। তিনি বলেন, “সাংগঠনিক ক্ষেত্রে আমার নিজের ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় এলাকা ভিত্তিক নেতা তৈরি করতে হবে। তাঁর কাছে ক্ষমতা দিতে হবে। বিশেষ করে যুব সমাজ থেকে নেতা তৈরি করা প্রয়োজন। আমাদের মতো প্রচুর লোকজন আছেন যাঁরা ছুটতে চান। কাজ করতে চান। তবে তাঁদের ছোটবার ক্ষেত্রে পরিষ্কার সেই নির্দেশ দেওয়া প্রয়োজন। না হলে বাড়ি বসে কথা বলতে হবে। নয়ত, দশটা মানুষ ভুল বুঝে বলবেন আপনাকে তো রাজ্যের দশটা জায়গায় দেখতে পাওয়া যায় না।”
একইসঙ্গে রুদ্রনীল বলেন, “কয়েকজন বিজেপির সংগঠনের নেতা কী মনে করছেন, সেটা দিল্লিকে না বুঝিয়ে বুথ স্তরের কর্মীরা যে অত্যাচারের সম্মুখীন হচ্ছেন। জনগণ যেভাবে বিজেপিকে দেখতে চাইছে সেই বার্তাটা যেন দিল্লিতে পৌঁছয়। ক্ষমতাকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছি।”
যদিও, বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেন, “উনি নিজের কথা বলেছেন। উনি গ্রামে-গ্রামে পাড়ায়-পাড়ায় ঘোরেন। দলকে সুংগত হতে হবে। সেই কথা বলেছেন। উনি ঠিক কথাই বলেছেন। আমি একজন নিচু তলার কর্মী, তবে উপর তলায় যাঁরা আছেন তাঁদের কথাও ভাবতে হবে।”

