TMC vs BJP: পঞ্চায়েতে কি তৃণমূলের ক্ষুব্ধদের প্রার্থী করবে BJP? শমীকের মন্তব্যে জোরালো জল্পনা
BJP vs TMC: তৃণমূলের থেকে আসা লোকেদের নেওয়া প্রসঙ্গে শমীক ভট্টাচার্য বললেন, "আমরা ক্ষুব্ধ চাই, বিক্ষুব্ধ চাই না। জেলা পরিষদ ছাড়া বাদ বাকি গ্রাম সভা ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী স্থির করে স্থানীয় নেতৃত্ব ও জেলা নেতৃত্ব। তাঁরা বসে সিদ্ধান্ত নেবেন।"
কলকাতা: তৃণমূলের ক্ষুব্ধদের কি প্রার্থী করবে বিজেপি? পঞ্চায়েতের (Panchayet Election 2023) নিচুতলায় শাসক দলকে কি সেই বার্তাই দিয়ে রাখল বঙ্গ বিজেপি শিবির। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের (Samik Bhattacharya) বুধবারের মন্তব্যে অন্তত এমন একটি আভাস পাওয়া গেল। বিজেপি নেতা বললেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচন মাটির নির্বাচন, প্রান্তিক নির্বাচন। ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের নির্বাচন। সেখানকার মাটির নির্দিষ্ট রসায়ন আছে। পঞ্চায়েত স্তরে জেলা পরিষদে একমাত্র আমাদের দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী রাজ্যের নির্বাচন কমিটি (প্রার্থী) স্থির করে।” তৃণমূলের থেকে আসা লোকেদের নেওয়া প্রসঙ্গে বললেন, “আমরা ক্ষুব্ধ চাই, বিক্ষুব্ধ চাই না। জেলা পরিষদ ছাড়া বাদ বাকি গ্রাম সভা ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী স্থির করে স্থানীয় নেতৃত্ব ও জেলা নেতৃত্ব। তাঁরা বসে সিদ্ধান্ত নেবেন। তাঁরা যদি এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেন যা দলের রাজনৈতিক অবস্থানের পরিপন্থী, বা যদি কোনও বিচ্যুতি থাকে, তাহলে দল তা ভেবে দেখবে।”
বিজেপি মুখপাত্র এদিন আরও স্পষ্ট করে দেন, “সমস্ত আসনে যাতে আমাদের প্রার্থী দেওয়া যায়, যাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা যায়, তার জন্য আমরা সচেষ্ট আছি। আমরা বিশ্বাস করি, এই নির্বাচন ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি হবে না।” তৃণমূলের থেকে আসা লোকেদের প্রার্থী করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে এত কিছু বলা রাজ্য স্তর থেকে সম্ভব নয়। তৃণমূল যদি কোনও লোককে বহিষ্কার করে, যাঁর উপর গ্রামের মানুষ ক্ষুব্ধ, তাঁকে পার্টি প্রার্থী করবে কেন? কিন্তু যাঁরা একদিন সিপিএমের অত্যাচারের বিরুদ্ধে ঘাম-রক্ত ঝরিয়েছিলেন, যাঁরা বঞ্চিত-উপেক্ষিত, যাঁরা তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত, তাঁরা যদি আমাদের দলে সামিল হয়, সেটা তো চলছে, সেই প্রক্রিয়া শুরু।”
উল্লেখ্য, এর আগে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময়েও একঝাঁক নেতা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। বিজেপির তরফে তাঁদের অনেককে প্রার্থীও করা হয়েছিল। কিন্তু ভোট ময়দানে অনেকেই আবার জিততে না পেরে তৃণমূলে ফিরে গিয়েছিলেন। সেই তালিকাও বেশ লম্বা। আর তা নিয়ে বিজেপি শিবিরকে বেশ অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল। তাই এবার তৃণমূল থেকে আসা কাউকে প্রার্থী করার বিষয়ে দরজা খোলা রাখলেও খানিক সাবধানী দেখাল বঙ্গ বিজেপিকে