Recruitment Scam: নিয়োগে জালিয়াতি মেনে নিল SSC, কত ভুয়ো শিক্ষক জেনে নিন
Recruitment Scam: দুর্নীতির প্যাটার্ন হল ওএমআর জালিয়াতি। অর্থাৎ ওএমআর শিটে প্রাপ্ত নম্বের সঙ্গে আসল নম্বরের কোনও মিল নেই। বেশি নম্বর দিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। নবম-দশমে এভাবে ৯৫২ জনের চাকরি হয়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছে এসএসসি।
কলকাতা: ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ গড়ার কারিগর বলে উল্লেখ করা হয় যাঁদের, সেই শিক্ষকদের নিয়োগেই অজস্র বেনিয়ম। কেউ জালিয়াতি করেছেন ওএমআর শিটে, কেউ সুপারিশপত্র ছাড়াই চাকরি করছেন বহাল তবিয়তে। এমন সব অভিযোগের তদন্ত চলছে পুরোদমে। এরই মধ্যেই সিবিআই-এর দেওয়া তথ্য কার্যত স্বীকার করে নিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একটি হলফনামা পেশ করেছে এসএসসি। সেই তালিকা এবার TV9 বাংলা-র হাতে। কী কী ভাবে দুর্নীতি হয়েছে, কতজন বেনিয়মে চাকরি পেয়েছেন, সেই হিসেব চমকে দেওয়ার মতো।
র্যাঙ্ক জাম্প
র্যাঙ্ক জাম্প করে দুর্নীতি হয়েছে ব্যাপক হারে। অর্থাৎ নীচে নাম থাকা চাকরি প্রার্থীদের তালিকায় ওপরের দিকে নিয়ে গিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এসএসসি-র দেওয়া তথ্য বলছে, নবম দশমে র্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরি পেয়েছেন ১৮৩ জন। এর মধ্যে ১২২ জনের চাকরি গিয়েছে ইতিমধ্যেই। ৬১ জন এখনও বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন। একাদশ-দ্বাদশে র্যাঙ্ক জাম্প করে ৩৯ জনের চাকরি হয়েছে। প্রত্যেকেই এখনও বহাল চাকরিতে।
ওএমআর জালিয়াতি
আরও একটি দুর্নীতির প্যাটার্ন হল ওএমআর জালিয়াতি। অর্থাৎ ওএমআর শিটে প্রাপ্ত নম্বের সঙ্গে আসল নম্বরের কোনও মিল নেই। বেশি নম্বর দিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। এভাবে ৯৫২ জনের চাকরি হয়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছে এসএসসি। এর মধ্যে ৮০৮ জনকে চাকরির সুপারিশ পত্র দিয়েছে কমিশন। একাদশ দ্বাদশে ওএমআর জালিয়াতির অভিযোগ ৯০৭ জনের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে ৭৭১ জনকে চাকরির সুপারিশ পত্র দিয়েছে এসএসসি। গ্রুপ সি নিয়োগেও হয়েছে ওএমআর জালিয়াতি। ৩৪৮০ জনের চাকরির ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে, এর মধ্যে ৭৮৩ জনকে চাকরির সুপারিশ পত্র দিয়েছে এসএসসি। গ্রুপ ডি-তে ২৮২৩ জনের বিরুদ্ধে ওএমআর জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে।
সুপারিশপত্র ছাড়াই চাকরি
আর একরকম দুর্নীতি হল সুপারিশপত্র ছাড়াই চাকরি। প্রার্থী বাছাইয়ের পর এসএসসি সুপারিশপত্র দেয়, সেই মতো নিয়োগ করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। হলফনামায় উল্লেখ আছে, গ্রুপ সি-তে ৫৭ জন এমন আছেন যাঁরা সুপারিশপত্র ছাড়াই চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। গ্রুপ ডি-তে ১৭০ জন এইভাবে চাকরি পেয়েছেন। সব মিলিয়ে সাড়ে ৮ হাজারের বেশি চাকরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের বেনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।