Kalighater Kaku: এজি পদে থেকে ‘কালীঘাটের কাকু’র হয়ে কীভাবে সওয়াল কিশোর দত্তের? উঠছে প্রশ্ন
Kalighater Kaku: হাইকোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, "অ্যাডভোকেট জেনারেল মানে তিনি সাংবিধানিক পদ অলংকৃত করছেন। অপরাধীদের বিরুদ্ধে সংবিধানসম্মতভাবে তদন্ত চলছে। সেই সময় একজন অভিযুক্তর হয়ে আদালতে সওয়াল করছেন উনি, এটা ভারতবর্ষের কোথাও হয়েছে বলে শুনিনি। আর সংবিধান নৈতিকতাও তা সমর্থন করে না।"
কলকাতা: সদ্য রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বা এজি হিসাবে নিযুক্ত হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী কিশোর দত্ত। সেই এজি কিশোর দত্তকে মঙ্গলবার কালীঘাটের কাকুর হয়ে সওয়াল করতে দেখা গেল কোর্টরুমে। এমন ঘটনা ঘিরে স্বভাবতই প্রশ্ন তুলেছেন আইনজগতেরই একাংশ। তাঁরা বলছেন, এরকম একটা পদে নিযুক্ত হওয়ার পর আইনজীবী কিশোর দত্তর এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোই কর্তব্য ছিল। কিন্তু মঙ্গলবারও সওয়াল করলেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলেই এজি পদে ছিলেন জয়ন্ত মিত্র। বর্ষীয়ান এই আইনজ্ঞের বক্তব্য, তিনি মনে করতে পারছেন না বিশেষ কোনও মামলা থেকে সরে এসেছিলেন বলে। তবে রাজ্যের বিরোধী সব মামলাই এক রাতের মধ্যে ছেড়ে দিয়েছিলেন বলে জানান। তিনি বলেন, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বিরুদ্ধে যে ধরনের অভিযোগ, সেখানে একজন এজি পদে বসার পর আর সওয়াল করা উচিৎ নয় বলেই মত তাঁর।
অন্যদিকে হাইকোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, “অ্যাডভোকেট জেনারেল মানে তিনি সাংবিধানিক পদ অলংকৃত করছেন। অপরাধীদের বিরুদ্ধে সংবিধানসম্মতভাবে তদন্ত চলছে। সেই সময় একজন অভিযুক্তর হয়ে আদালতে সওয়াল করছেন উনি, এটা ভারতবর্ষের কোথাও হয়েছে বলে শুনিনি। আর সংবিধান নৈতিকতাও তা সমর্থন করে না।”
এ প্রসঙ্গে বিকাশবাবুর সংযোজন, যে সময় তিনি কলকাতার মেয়র ছিলেন, সে সময়ও তিনি প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী। সরাসরি বলেছিলেন, পেশা তিনি ছাড়বেন না। এমনকী পুরনিগমের স্বার্থযুক্ত কোনও বিষয় নিয়ে কখনও আদালতেও যাননি। অথচ রাজ্যের এজি অভিযুক্তের হয়ে কীভাবে সওয়াল করতে পারেন, প্রশ্ন বিকাশ ভট্টাচার্যেরও।
সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর শারীরিক অবস্থা নিয়ে ইতিমধ্যেই হাজার প্রশ্ন ইডি আধিকারিকদের মনে। কাকু কেমন আছেন, এবার তা জানতে চায় কলকাতা হাইকোর্ট। এসএসকেএমের কাছে রিপোর্ট তলব করলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। আগামী ৫ জানুয়ারি এসএসকেএমের এমএসভিপিকে সুজয়কৃষ্ণের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত যাবতীয় রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সেইদিনই দুপুরে মামলার শুনানি হবে।
ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজির অভিযোগ, ‘স্ট্রেস’ ছাড়া অভিযুক্তের আর কোনও সমস্যা নেই। অথচ চিকিৎসক পীযূষ রায় জানান, কণ্ঠস্বর নেওয়া যাবে না। এদিকে একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, পায়ের উপর পা তুলে মহানন্দে আছেন সুজয়কৃষ্ণ।
এরপরই বিচারপতি প্রশ্ন করেন, এসএসকেএম হাসপাতালে ইডি আধিকারিকরা কতবার গিয়েছেন? ইডির তরফে জানানো হয়, ৯ অগাস্ট অস্ত্রোপচার হয় সুজয়কৃষ্ণের। ২২ অগস্ট জেলে পাঠানোর দিনই এসএসকেএমে চলে যান। এরপর চার মাস হয়ে গেল কণ্ঠস্বরের নমুনা দেননি সুজয়কৃষ্ণ। এরপরই আইনজীবী কিশোর দত্ত বলেন, মেডিক্যাল রিপোর্ট ইডি দেয়নি। এসএসকেএম থেকে রিপোর্ট আনার অনুমতি দেওয়া হোক। বিচারপতি নির্দেশ দেন রিপোর্ট আসার পরই দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।