Sujay Krishna Bhadra: হাইকোর্ট বলছে ‘বড় সমস্যা নেই’, জামিন কি পাবেন ‘কালীঘাটের কাকু’?
Sujay Krishna Bhadra: গ্রেফতার হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। জেল হেফাজতে থাকাকালীন বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর বাইপাস সার্জারি করা হয়। এরপর থেকে এসএসকেএম হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছেন তিনি। প্রশ্ন উঠেছে, তিনি কি এতটাই অসুস্থ যে ছাড়া পাচ্ছেন না? ইতিমধ্যেই তাঁর ভয়েস স্যাম্পল পরীক্ষা করা হয়েছে।

কলকাতা: গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে বেশিরভাগ সময়টাই জেলে থেকেছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। নিয়োগ দুর্নীতিতে ‘কালীঘাটের কাকু’ হিসেবে যাঁর নাম উঠে এসেছিল, তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়েও বিতর্ক কম হয়নি। একটা ভয়েস স্যাম্পল বা কণ্ঠস্বরের নমুনার জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকদের। সেই সুজয়কৃষ্ণ যখন জামিন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ, তখন তাঁর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্টকেই গুরুত্ব দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। অসুস্থতার কথা বলেই জামিনের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি।
চিকিৎসকেরা যখন নতুন কোনও সমস্যার কথা উল্লেখ করেননি, তখন শুধু চিকিৎসার জন্য জামিন কতটা যুক্তিযুক্ত, এদিন সেই প্রশ্ন তুলেছে আদালত। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের চিকিৎসা নিয়ে এদিন ফের এসএসকেএম-এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবী উল্লেখ করেন, এসএসকেএম-এর চিকিৎসক দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায় গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর জানিয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়া হবে, আর ২৫ সেপ্টেম্বর বলে দিলেন স্বাস্থ্যের কারণে দেওয়া যাবে না। ‘হাসপাতাল কীভাবে ম্যানেজ হল?’ এই প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী। বাইপাস সার্জারি এখন অ্যাপেনডিক্সের মতো সহজ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
ইডি-কে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘নমুনা নিয়ে কী করলেন? একমাস তো হয়ে গেল।’ উত্তরে ইডি জানায়, তাদের কোনও রিপোর্ট দেয়নি সিএফএসএল।
সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী দাবি করেন, স্বাস্থ্যের যে রিপোর্ট আছে, সেটাতেই স্পষ্ট যে কোথায় সমস্যা। সুজয়ের আইনজীবীকে বিচারপতি ঘোষ বলেন, ৯ ডিসেম্বর থেকে ৫ ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত রিপোর্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে নতুন কোনও চিকিৎসা হচ্ছে না। বাড়িতে রেখে এই ধরনের রোগের চিকিৎসা হয় না, এটা বলা যায় না। বিচারপতি উল্লেখ করেন, বাইপাস সার্জারি হয়ে যাওয়ার পর দীর্ঘদিন নজরদারি চালানো হয়েছে, কিন্তু চিকিৎসকদের নতুন করে কিছু বলার নেই। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসার জন্য জামিন কতটা যুক্তিযুক্ত?
সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী বলেন, ‘আমরা দাবি করছি না খুব খারাপ অবস্থা। কিন্তু কো মর্বিডিটি আছে।’ চিকিৎসকদের নজরদারি প্রয়োজন বলে দাবি করেন তিনি। উল্লেখ্য, গ্রেফতার হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। জেল হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর বাইপাস সার্জারি করা হয়। এরপর থেকে এসএসকেএম হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার শুনানির পর রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি রায়দান হবে।





