Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Justice Abhijit Ganguly: চাপ দিয়ে অভিষেকের নাম বলানো মামলা সরল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে

Justice Abhijit Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক মামলা চলছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের বেঞ্চে। অনেকগুলি মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তদন্তভারও দিয়েছেন বিচারপতি।

Justice Abhijit Ganguly: চাপ দিয়ে অভিষেকের নাম বলানো মামলা সরল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 28, 2023 | 8:54 PM

কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত একটি মামলার শুনানি চলাকালীন, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে মামলা সরানোর নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। এরপরই প্রশ্ন ওঠে, নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সব মামলা কি সরে যাচ্ছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে? অর্ডার বা রায়ের কপি সামনে আসার পর স্পষ্ট হল, ঠিক কতগুলি মামলা সরছে বিচারপতির বেঞ্চ থেকে। কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ , কুন্তল ঘোষের চাপ দিয়ে অভিষেকের নাম বলানোর চেষ্টা সংক্রান্ত অভিযোগের মামলা সরানো হবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে। সেই সংক্রান্ত মামলা অন্য কোনও বিচারপতির বেঞ্চে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ সংক্রান্ত বাকি মামলাগুলি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় শুনতে পারবেন কি না, তা নির্ভর করবে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ওপর।

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা করেছিলেন সৌমেন নন্দী। সেই মামলাতেই প্রথম সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই মামলার সঙ্গে পরবর্তীতে আরও কিছু মামলা জুড়ে যায়। এদিন সৌমেন নন্দীর করা মামলাই শুনছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার সঙ্গে যুক্ত ছিল কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলা, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলা ও পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা।

নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া কুন্তল ঘোষ দাবি করেছিলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলতে তাঁকে চাপ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এই মর্মে নিম্ন আদালতে চিঠি লিখেছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি বিষয়টি হাইকোর্টে নিয়ে যাওয়ার পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, এই মামলায় পুলিশ বা নিম্ন আদালত কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না। পাশাপাশি, তিনি বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় সংস্থা চাইলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। এই প্রসঙ্গে অভিষেক ও কুন্তলের ভিন্ন জায়গায় করা দুটি মন্তব্যে মিল থাকার কথাও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। সেই মামলাটি আর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় শুনতে পারবেন না বলে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এছাড়া এই মামলার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন আবেদন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় শুনতে পারবেন কি না, তা নিয়ে একটা ধোঁয়াশা এখনও রয়ে যাচ্ছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, বাকি আবেদন কে শুনবে, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।

প্রাথমিক থেকে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক মামলা চলছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের বেঞ্চে। অনেকগুলি মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তদন্তভারও দিয়েছেন বিচারপতি। সেই তদন্ত শুরু হওয়ার পর চাকরি পাওয়ার আশা দেখতে শুরু করেন বঞ্চিত প্রার্থীরা। এদিন মামলা সরানোর কথা শুনে হতাশ হয়ে পড়েন বহু চাকরি প্রার্থী।