Recruitment Case: নিয়োগ মামলায় চাকরিহারাদের মধ্যে কেউ টাকা ফেরত দিতে না পারলে কী ‘শাস্তি’ হবে?
Recruitment Case: ২০১৬ সাল থেকে পাওয়া বেতন ফেরত দিতে হবে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে ৫ হাজার ৪৮৫ জনের। কলকাতা হাইকোর্টই রায়ে একথা উল্লেখ করেছিল। আর সেই রায়ই বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট।

কলকাতা: চাকরি বাতিল হয়েছে মোট ২৫ হাজার ৭৫২ জনের। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করা সম্ভব হয়নি, তাই এই রায়। সেই সঙ্গে বেতনের টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছ, তবে তা সবার জন্য নয়। সুপ্রিম রায়ে বলা হয়েছে, যারা সাদা খাতা জমা দিয়ে কিংবা ওএমআর শিটে নম্বর জালিয়াতি করে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সমস্ত বেতন ফেরত দিতে হবে। সঙ্গে গুনতে হবে সুদের টাকাও।
২০১৬ সাল থেকে পাওয়া বেতন ফেরত দিতে হবে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে ৫ হাজার ৪৮৫ জনের। কলকাতা হাইকোর্টই রায়ে একথা উল্লেখ করেছিল। আর সেই রায়ই বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রশ্ন হল, সেই টাকা যদি কেউ ফেরত দিতে না পারে, তাহলে কী হবে?
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে, তাতে কোথাও উল্লেখ করা নেই যে, টাকা ফেরত না দিতে পারলে কী হবে। তবে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে শীর্ষ আদালত। আর হাইকোর্টের রায়ে সেই বিষয়টি উল্লেখ করা ছিল। সেই রায় অনুযায়ী, টাকা ফেরত না দেওয়া হলে রেভিনিউ রিকভারি অ্যাক্ট, ১৯৮০ অনুয়ায়ী টাকা সংগ্রহ করতে হবে অভিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর কাছ থেকে। অর্থাৎ যেভাবে অন্যান্য কর নেয় সরকার, সেভাবেই ‘এরিয়ার অব ল্যান্ড রেভিনিউ’ হিসেবে ওই টাকা উদ্ধার করা হবে। আর সেটা করতে হবে রায়ের ৬ সপ্তাহের মধ্যে।
তবে ওই টাকা না ফেরত দিলে, কোনও শাস্তি হবে কি না, তা উল্লেখ করা হয়নি সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারে।





