TMC attacks BJP: সারদা-কর্তার ‘বিস্ফোরণে’র পর এজেন্সিগুলো হাত গুটিয়ে বসে আছে? সরব তৃণমূল
TMC attacks BJP: শুভেন্দু ইস্যুতে ফের সরব তৃণমূল। রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে টুইট করে বলে দাবি শাসক দলের।
কলকাতা: একবার নয়, পরপর দু বার সারদা কর্তার মুখে শোনা গিয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম। শুধু শুভেন্দু নয়, তাঁর ভাই সৌমেন্দুর বিরুদ্ধেও টাকা নেওয়ার অভিযোগ সামনে এনেছেন সুদীপ্ত সেন। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়ে ইতিমধ্যেই পথে নেমেছে তৃণমূল। আর এবার সেই ইস্যুতে রাজ্যপালকে নিশানা করল শাসক দল। শুক্রবার তৃণমূলের মুখপত্রে দাবি করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি বিজেপির শাখা সংগঠন হিসেবে কাজ করছে। পাশাপাশি, রাজভবনকে বিজেপির সদর দফতর হিসেবে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
বিরোধীরা যখন বারবার পুলিশকে তৃণমূলের দলদাস হিসেবে উল্লেখ করে আক্রমণ শানায়, তখন পাল্টা চাপ দিচ্ছে তৃণমূলও। শুক্রবার প্রকাশিত মুখপত্রে শুভেন্দুকে বিজেপি-আশ্রিত অভিযুক্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তৃণমূলের তরফে দাবি, ‘বিজেপি-আশ্রিত অভিযুক্ত’দের অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে। বিজেপিতে থাকলে, সেই সব অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বলেই অভিযোগ জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে রাজ্যপালকেও আক্রমণ করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে।
প্রথমে এমএলএ-এমপি আদালতে সুদীপ্ত সেন দাবি করেছিলেন, শুভেন্দু তাঁর কাছ থেকে অনেক টাকাই নিয়েছেন, অনেকবারই টাকা নিয়েছেন। সমস্ত তথ্য চিঠিতে দিয়েছেন বলেও জানান। বৃহস্পতিবারও আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে সুদীপ্ত সেন দাবি করেছেন, কাঁথি পুরসভা এলাকায় একটি নির্মাণের জন্যও তাঁকে প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা দিতে হয়েছিল। বিভিন্ন সময় তাঁকে শুভেন্দু অধিকারী ‘ম্যানুপুলেট’ করেছেন বলেও দাবি করেছেন সুদীপ্ত। সৌমেন্দু অধিকারীর নামও শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়। এরপরই শাসক দলের মুখপত্রে দেখা গেল এমন ছবি।
প্রায় বছর দশেক আগে সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসে। কেলেঙ্কারি সামনে আসার পরই রাতারাতি গ্রেফতার করা হয়েছিল সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে। এরপর তৃণমূলের অনেক নেতার নামই ওই কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছিল। এবার নতুন করে শুভেন্দু অধিকারীর নাম সামনে আসতে শুরু করেছে। অধীর চৌধুরী, সুজন চক্রবর্তী সহ অনেক বিরোধী দলের নেতাই মনে করিয়ে দিয়েছেন, কেলেঙ্কারির সময় তৃণমূলেই ছিলেন শুভেন্দু। তিনি কার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন, সে সব হিসেব তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে থাকা উচিত। অন্যদিকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন শুভেন্দু ও সুদীপ্তকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হোক।