Kunal Ghosh on Kaustav Bagchi: কৌস্তভের গ্রেফতারির বিরোধিতা করছি, ঠিক হল না: কুণাল ঘোষ
Kunal Ghosh on Kaustav Bagchi: শনিবার ভোরে আইনজীবীর বাড়িতে পৌঁছে যায় পুলিশ। ঘণ্টা কয়েক পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
কলকাতা: পুলিশ দিয়ে আইনজীবী তথা প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতার করা ঠিক হল না বলে মন্তব্য করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। শনিবার সাত সকালে ব্যারাকপুরের বাড়ি থেকে কৌস্তভকে গ্রেফতার করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যাকে আক্রমণ করার অভিযোগেই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করেন আইনজীবী। একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলাও রুজু হয়েছে। কৌস্তভের গ্রেফতারির সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন একাধিক তৃণমূল নেতা। এরই মধ্যে তৃণমূলের মুখপাত্রের গলায় অন্য সুর! সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তাঁর আপত্তি কারণ জানালেন কুণাল ঘোষ।
শুরুতেই অবশ্য ‘ব্যক্তিগত মতামত’ বলে উল্লেখ করেছেন কুণাল। তাঁর দাবি, কৌস্তভের অন্যায় করেছেন, ‘মাতৃসমা’ মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে ওই চরম কুৎসা বরদাস্ত করা যায় না। তবে কুণালের মতে, পুলিশ দিয়ে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের ছাত্রযুবরা কৌস্তভের অসভ্যতা বুঝে নিতে পারত। পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার ঠিক হল না।’ এতে কৌস্তুভেরই প্রচার বাড়বে বলে মনে করছেন কুণাল ঘোষ।
ইতিমধ্যেই যখন প্রায় সব বিরোধী দল কৌস্তভের গ্রেফতারির বিরোধিতা শুরু করেছে, তখন কুণালের মন্তব্য, বিরোধীদের রাজনীতির হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে কৌস্তভের গ্রেফতারি। শুধু তাই নয় এতে কৌস্তভ তথা বিরোধী দল মানুষের সহানুভূতি পাবে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
পোস্টের শেষে কুণালের স্পষ্ট বক্তব্য, ‘আমি কৌস্তুভের গ্রেফতারির বিরোধিতা করছি। এতে ওঁর এবং বিরোধীদের রাজনৈতিক লাভ হবে। কৌস্তুভ অন্যায় করেছে। ওঁর অসৌজন্যের কথার প্রবণতা আছেই। কিন্তু তার জবাব রাজনৈতিকভাবে আমাদের ছাত্র যুবরা দিতে পারত। পুলিশি অভিযান ঠিক হল না। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’ উল্লেখ্য, বাম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যও এদিন বলেছেন, কথায় আক্রমণের জবাব কথাতেই দেওয়া উচিত।
তবে এদিন সকালেই তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন গ্রেফতারির সমর্থনেই মুখ খুলেছেন। তাঁর মতে এই গ্রেফতার একদম সঠিক সিদ্ধান্ত।
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সজল ঘোষের উদাহরণও দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, পুলিশ সজল ঘোষের দরজা ভেঙেছিল বলেই নাকি প্রচার পেয়েছিলেন বিজেপি নেতা। এই প্রসঙ্গে সজল ঘোষ বলেন, ‘মাঝে মাঝে বিবেক জাগ্রত হয়।’ তবে সেই ঘটনায় যে কুণাল ঘোষ বিরোধিতা করেছিলেন, তা স্বীকার করেছেন সজল ঘোষ।