Waqf unrest: ‘গুন্ডাগিরি বরদাস্ত নয়, পুলিশকে হালকাভাবে নেবেন না’, ওয়াকফ অশান্তিতে কড়া বার্তা ডিজির
Waqf unrest: পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ১১৮ জন গ্রেফতার হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৫ জন। কয়েকজন গুরুতর আহত। ডিজি বলছেন, “মানুষের জীবন বাঁচানো, সম্পত্তি রক্ষা করা আমাদের কাজ। কিন্তু, সবার আগে গুজব বন্ধ করতে হবে।”

কলকাতা: সুতি থেকে জঙ্গিপুর, আমতলা থেকে চাঁপদানি, ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে তুমুল বিক্ষোভ রাজ্যের নানা প্রান্তে। এদিন সকাল থেকেই নতুন করে অশান্তি ধুলিয়ানে। গুলি-বোমাবাজি তো আছেই, সঙ্গে দিকে দিকে জ্বালিয়ে দেওয়া হল গাড়ি। অশান্তির আবহেই শুধু মুর্শিদাবাদেই গুলিবিদ্ধ ৪। অবস্থা যে ভাল নয় তা মানছেন রাজ্য পুলিশের বড় কর্তারাও। ‘গুজবেই’ যে সবথেকে বেশি সিঁদুরে মেঘ দেখছেন তা ভবানীভবনের সাংবাদিক বৈঠকে বারবার বললেন তাঁরা।
পুলিশের দাবি, নানাভাবে মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। কাল থেকে নতুন করে অশান্তি শুরু হয়। রাস্তা অবরোধ করে। সরকারি সম্পত্তি, পাবলিক বাস , দোকান পাট আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। ডিজি রাজীব কুমার স্পষ্ট বললেন, “সরকারের দিক থেকে স্পষ্ট বলা আছে কোনওরকম গুন্ডাগিরি বরদাস্ত করা যাবে না। আমরা শক্ত হাতে গোটা পরিস্থিতির মোকাবিলা করছি। কোনও গুজবে কান দেওয়া যাবে না। অশান্তি করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের এখন প্রথম কাজ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা।”
পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ১১৮ জন গ্রেফতার হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৫ জন। কয়েকজন গুরুতর আহত। ডিজি বলছেন, “মানুষের জীবন বাঁচানো, সম্পত্তি রক্ষা করা আমাদের কাজ। কিন্তু, সবার আগে গুজব বন্ধ করতে হবে। এখন যা পরিস্থিতি তাতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।” এরপরই তাঁর সতর্কবার্তা, “উগ্র হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ আরও কঠোর ভাবে মোকাবিলা করবে। এখন হালকাভাবে পুলিশ কন্ট্রোল করছে বলে পুলিশকে হালকাভাবে নেবেন না।” তাঁর আরও সংযোজন, “আমরা সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছি। প্রাণ দিতে হলে আমরা আগে থাকব। মানুষকে বাঁচানোর আমরা আগে প্রাণ দেবো। আমাদের বহু সিরিয়ার অফিসাররা ঘটনাস্থলে রয়েছেন। আমরা পরিস্থিতি স্ট্রং হাতে ডিল করছি।”





