Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bratya Basu Exclusive: শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে সিনেমা বানাবেন ব্রাত্য? কী বললেন শিক্ষামন্ত্রী

Bratya Basu: কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই শেষ পর্যন্ত বহাল রেখেছে সুপ্রিমো কোর্ট। বাতিলই হয়ে গিয়েছে রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি। তা নিয়েই ছাব্বিশের ভোটের আগে টগবগিয়ে ফুটছে বঙ্গ রাজনীতির আঙিনা।

Bratya Basu Exclusive: শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে সিনেমা বানাবেন ব্রাত্য? কী বললেন শিক্ষামন্ত্রী
কী বলছেন শিক্ষামন্ত্রী? Image Credit source: TV 9 Bangla GFX
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 12, 2025 | 3:12 PM

কলকাতা: তিনি শুধু রাজনীতিক বা মন্ত্রী নন! একাধারে তিনি অভিনেতা, চলচ্চিত্রকার, নাট্যকারও বটে। বাংলার সাংস্কৃতিক জগতেও তাঁর ছাপ দীর্ঘদিনের। সমাদর রয়েছে বুদ্ধিজীবী মহলেও। তাঁর লেখা ‘উইঙ্কল টুইঙ্কল’ থেকে হালের তাঁর পরিচালিত ‘হুব্বা’, আম নাগরিক মহলের পাশাপাশি শোরগোল ফেলেছে বিনোদন, রাজনীতির পাড়াতেও। কিন্তু এবার কী নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিনেমা বানাবেন পরিচালক ব্রাত্য বসু? TV9 বাংলার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গেল তাঁকে। 

ছবি কি তাহলে তৈরি করছেন? ব্রাত্য বলছেন, এখনও এই কেস থেকে তেমন কোনও রসদ তাঁর হাতে আসেনি যা দিয়ে সিনেমা বানানো যেতে পারে। TV9 বাংলার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারেই অকপটে বললেন, “কোনও থ্রিলার নেই! খুবই রগরগে মেলোড্রামা। এর মধ্যে নানারকমের এলিমেন্ট আছে। তবে আমি যে ধরনের সিনেমা বানাতে চাই তার এলিমেন্ট আমি অন্তত পাইনি।” তবে এখনও যে মনে শিক্ষকতার ইচ্ছা রয়েছে তাও শোনা গেল শিক্ষামন্ত্রীর গলায়। বললেন, “কেউ যদি অভিনয় বা থিয়েটারের উপর ক্লাস নিতে ডাকে তাহলে আমার করানোর ইচ্ছা আছে।”  

প্রসঙ্গত, এর আগে টিভি নাইন বাংলার সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় ব্রাত্য নিজের সিনেমা তৈরির কৌশল প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে স্পষ্ট বলেছিলেন, সিনেমা বানানোর সময় তিনি নিজেকে দর্শকের আসনে বসিয়ে দেখেন। সেই মতো সিনেমা বানান। ব্যাপম কেলঙ্কারি, বিহারের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি নাকি বাংলার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ? কোনটা নিয়ে ছবি বানাতে চাইবেন তিনি। সেই সময়ই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। উত্তরে শুধু বলেছিলেন, “তিনটের মধ্যেই যথেষ্ট এন্টারটেইনিং এলিমেন্ট আছে। আমাকে রিসার্চ করে দেখতে হবে, কোনটা বেশি এন্টারটেইনিং। যেটা মানুষের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য মনে হবে, আমি সেটা করব।”

প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই শেষ পর্যন্ত বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। বাতিলই হয়ে গিয়েছে রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি। তা নিয়েই ছাব্বিশের ভোটের আগে টগবগিয়ে ফুটছে বঙ্গ রাজনীতির আঙিনা। তোলপাড় চলছে জাতীয় রাজনীতির ময়দানেও। দোষ কার, ভুল কার, দায়ী কে, প্রশ্ন অনেক! উত্তর পেতে রাস্তায় চাকরিহারারা। চলছে জমায়েত, মিটিং, মিছিল, বিক্ষোভ। কয়েকদিন আগে নেতাজি ইন্ডোরে চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১১ তারিখ তাঁদের সঙ্গে বিকাশ ভবনে বৈঠক করলেন শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্পষ্ট বললেন, “যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা আমাদের আছে।” আইনি পরামর্শের পরেই তা সামনে আনারও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।