Bibhas Adhikari : কত মানুষের চোখের জলে তৈরি বিভাসের আশ্রম? জানালেন খোদ গ্রামবাসীরা

Bibhas Adhikari : গ্রামবাসীদের অনেকের অভিযোগ, আশ্রমের মধ্যে তাঁদের জায়গা বিভাসের লোকেরা বাউন্ডারি দিয়ে ঘিরে ফেললেও তাঁদের জমির বিনিময়ে কোনও টাকা দেওয়া হয়নি। অনেকে বলছেন একপ্রকার গাজোয়ারি করেই তাঁদের জমির দখল নিয়ে নেওয়া হয়েছে।

Bibhas Adhikari : কত মানুষের চোখের জলে তৈরি বিভাসের আশ্রম? জানালেন খোদ গ্রামবাসীরা
বিভাসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ গ্রামবাসীদের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 04, 2023 | 3:59 PM

কলকাতা : নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (Recruitment Scam) শেষ যে নামটি নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে তা বিভাস অধিকারী (Bibhas Adhikari)। খবর করতে গেলে আক্রান্তও হয়েছিল টিভি-৯ বাংলার সাংবাদিকরা। নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানোর পর এখন রোজই খবরের শিরোনামে এই বিভাস। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তাঁর কাছে টাকা গিয়েছে বলে দাবি করেছেন গ্রেফতার হওয়া যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ (TMC Leader Kuntal Ghosh)। নজর এবার তাঁর বীরভূমের (Birbhum) হরিপুরের আশ্রমে। শুধু নিয়োগ দুর্নীতি নয়, তাঁর বিরুদ্ধে এলাকাবাসীরা আরও একাধিক অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন। হরিপুরের বাসিন্দাদের একটা বড় অংশের দাবি, নলহাটির হরিপুর গ্রামে শেষ কথা বলেন বিভাসই। তিনিই যেন গ্রামের অঘোষিত ‘মালিক’। মণিকর্ণিকা নদীর পাড়ে রয়েছে তাঁর বিশাল আশ্রম, মন্দির। চাষের জমি ঘিরে বিস্তৃর্ণ এলাকায় দেওয়া রয়েছে প্রাচীর। হরিপুরের এই আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, কার্যত গা-জোয়ারি করে দখল করে নেওয়া হয়েছে তাঁদের জমি। কাউকে আবার জমি বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়েছে। কেউ জমি বিক্রি করতে না চাইলে জোর করে জমির পাশে প্রাচীর দিয়ে দেওয়া হয়ে বলে অভিযোগ। জমি তো গেছেই, এখন বিভাসের লোকেরা হাত বাড়িয়েছে তাঁদের বাড়ির দিকেও। এমনটাই হরিপুরের মানুষদের।  

গ্রামবাসীদের অনেকের অভিযোগ, আশ্রমের মধ্যে তাঁদের জায়গা বিভাসের লোকেরা বাউন্ডারি দিয়ে ঘিরে ফেললেও তাঁদের জমির বিনিময়ে কোনও টাকা দেওয়া হয়নি। গ্রামের বাসিন্দা তপন মুদি বলেন, “আশ্রমে আমাদের এক একর মতো জায়গা আছে। বাউন্ডারির ভিতরে আছে। তবে ওই জমির জন্য কোনও টাকা আমরা পাইনি। আমি অ্যাকশন নিয়েছি। বিএলআরও সাহেবকেও বলেছি। কিন্তু, কিছু দালাল এই কাজটা করেছে। বাউন্ডারি দিয়ে দিয়েছে। থানা-পুলিশকেও জানিয়েছি। আমার কাছে কপিও আছে। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সব টাকা দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। ওই জমিতেই বিল্ডিং হচ্ছে। এদিকে শুধু পুলিশ নয়, এসডিও, বিডিও, জেলাশাসক, পঞ্চায়েত সব জায়গায় জানানো হয়েছে। কেউ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।”

আর এক গ্রামবাসী আরও গুরুতর অভিযোগ তুললেন। তাঁর বিস্ফোরক দাবি, “তাঁর মাকে নেশা করিয়ে, মাতাল করে জমির জন্য সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে।” রীতিমতো ক্ষোভের সুরে আর এক গ্রামবাসী বললেন, “আমাদের কেনা জমি নিয়ে নিয়েছে মালিক। ওদের টাকা আছে বলে সব কিছু করতে পারে?” আর এক গ্রামবাসী দাবি করলেন তাঁর প্রায় ৪-৫ বিঘা জমি চলে গিয়েছে এই বিভাসের হাতে। জোর করে জমির চারপাশে দেওয়া হয়েছে বাউন্ডারি। একজন বললেন, “আমাদের জমি ওই আশ্রমের মালিকই নিয়ে নিয়েছে। আশ্রমের মধ্যে যদি আমাদের জমি থেকে যেত তাহলে সেখানে যাতায়াতও করতে পারতাম না। বেরনোর জায়গা ছিল না। প্রাচীর দিয়ে দিয়েছিল। বাধ্য হয়ে জমিটা নিতে হয়েছে।” আর এক গ্রামবাসীর দাবি, তাঁদের পাঁচ বিঘা জমির মধ্যে আড়াই তিন বিঘা জমি বিক্রির কথা ছিল। কিন্তু, এক প্রকার জোর করে তাঁদের পুরো জমি কিনে নেওয়া হয়েছে। তাঁর দাবি, শুধু জমি নয়। এখন তাঁদের বসতবাড়ির জায়গার দিকেও হাত বাড়িয়েছে মালিক।