TMC Leader: সুকান্তর বিরুদ্ধে মামলা করবেন, আদালতে এসে জানালেন শেখ শাহজাহান
TMC Leader: হেরোইন পাচারের সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
কলকাতা : হেরোইন উদ্ধারের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের। কিন্তু ওই মামলায় নাম জড়িয়ে আদতে তাঁকে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে বলে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন তিনি। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন শেখ শাহজাহান। এ ব্যাপারে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতেই কলকাতা হাইকোর্টে এসেছিলেন ওই নেতা।
সুকান্ত মজুমদার বৃহস্পতিবার দাবি করেছেন, বন্দর থেকে মাদক ভর্তি কনটেনার আটক হওয়ার পর শেখ শাহজাহান প্রায় ১৭ থেকে ১৮ বার রাজ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর চেম্বারে গিয়ে বৈঠক করেছেন। কে সেই মন্ত্রী, সেই নাম উল্লেখ না করলেও, সুকান্ত প্রশ্ন তুলেছেন, তিনি কি এই মাদকের লগ্নীকারী? যাঁর এই সরকারে আসার পর দফতর পরিবর্তন হয়েছে বা দফতর পরিবর্তনে বাধ্য হয়েছেন দুর্নীতির জন্য।’
একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস শরিফুল মোল্লাকে হাজির করুক। এখন সিআইডি জেলায়-জেলায় গিয়ে বিজেপি নেতা-কর্মীদের ছবি তুলে আনছে। আমরা পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে বলছি আপনারা শুধু জানুন যে শরিফুল মোল্লা কোথায়। কারণ এরপর এই ঘটনায় এনআইএ তদন্ত হবে এটা আমার বিশ্বাস।’ শরিফুল মোল্লা তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বলে জানা গিয়েছে। এই অভিযোগ সামনে আসার পরই শুক্রবার আদালতে গেলেন শেখ শাহজাহান।
গত ৩ জানুয়ারির ঘটনা। অসম থেকে আসা কলকাতার একটি ট্রাকে প্রায় ২২ কোটি টাকা মূল্যের মাদক পাওয়া গিয়েছিল। মাদক উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। ২ কেজি হেরোইন ও ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার হয়েছিল। বিজেপির দাবি, সেই পাচারের কোটি টাকা আসলে এসেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূলের এক কর্মীকে দেওয়ার জন্য।
বিজেপির দাবি, শরিফুল এন্টারপ্রাইজের নামে এসেছিল মাদক পাচারের টাকা। ওই সংস্থার মালিক শরিফুল ইসলাম মোল্লা তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। শরিফুল সন্দেশখালি ১ ও ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শিবু হাজরা এবং শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ বলেও দাবি বিজেপির।