‘I.N.D.I.A নাম দিয়েছি আমরা, কিন্তু বৈঠক কন্ট্রোল করে CPIM’, আফশোস মমতার

Mamata Banerjee: মিছিল শেষে বক্তব্য রাখার সময় ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম শরিক দলের নেত্রী হিসেবে তাঁর গলায় উঠে এল কিছু আক্ষেপের সুরও। ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক সিপিএম 'কন্ট্রোল' করে, সে কথাও উঠে এল তাঁর গলায়। বললেন, 'ইন্ডিয়ার নাম আমরা দিয়েছি। কিন্তু আমাদের এটা বলতে খুব দুঃখ হচ্ছে, আমরা যখন বৈঠকে যাই, দেখি সিপিএম বৈঠককে কন্ট্রোল করে।'

'I.N.D.I.A নাম দিয়েছি আমরা, কিন্তু বৈঠক কন্ট্রোল করে CPIM', আফশোস মমতার
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 22, 2024 | 6:39 PM

কলকাতা: একদিকে অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে রাম মন্দিরের উদ্বোধন। অন্যদিকে কলকাতার রাজপথে সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সংহতি যাত্রা’। মিছিল শেষে বক্তব্য রাখার সময় ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম শরিক দলের নেত্রী হিসেবে তাঁর গলায় উঠে এল কিছু আক্ষেপের সুরও। ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক সিপিএম ‘কন্ট্রোল’ করে, সে কথাও উঠে এল তাঁর গলায়। বললেন, ‘ইন্ডিয়ার নাম আমরা দিয়েছি। কিন্তু আমাদের এটা বলতে খুব দুঃখ হচ্ছে, আমরা যখন বৈঠকে যাই, দেখি সিপিএম বৈঠককে কন্ট্রোল করে।’

বাংলায় দীর্ঘ ৩৪ বছরের বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। বাম শাসনকালে বিরোধী নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকাও অনস্বীকার্য। মাঠে-ময়দানে-রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক লড়াইয়ের পর ক্ষমতার হাতবদল হয়েছে। কিন্তু তৃণমূল সুপ্রিমোর দাবি, সেই সিপিএমই এখন ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক ‘কন্ট্রোল’ করে, তাও আবার যে ‘ইন্ডিয়া’ নামকরণ করেছেন মমতারাই।

মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, ‘যাদের সঙ্গে আমরা জীবনের ৩৪ বছর ধরে লড়াই করেছি, তাদের কোনও পরামর্শ আমরা শুনব না। আমাদের অনেক অসম্মান করা হয়। কিন্তু তাও, আমরা বলেছিলাম, যে আঞ্চলিক দল যেখানে শক্তিশালী, সেই জায়গাটা তাঁদের উপর ছেড়ে দেওয়া হোক।’ সঙ্গে কংগ্রেসের উদ্দেশেও নাম না করে বললেন, ‘৩০০ আসনে আপনারা (কংগ্রেস) এককভাবে লড়ুন, আমরা সাহায্য করে দেব। আমরা তোমাদের কোনও আসনে লড়ব না।’

এরপরই তৃণমূল সুপ্রিমোর আরও সংযোজন, “ওরা বলছে, ওদের যা ইচ্ছে হবে, ওরা তাই করবে। একটা কথা মনে রাখবেন, বিজেপিকে সাহায্য করা যাবে না। বিজেপিকে কেউ সাহায্য করলে, আপনাদের কেউ ক্ষমা করবে না। আমি তো ক্ষমা করবই না। আমাদের কাছে লড়াইয়ের সাহস আছে, কিন্তু আমাদের লড়াই করতে দেওয়া হয় না।”

লড়াইয়ের সাহসের কথা বোঝাতে গিয়েই আজ সংহতি যাত্রার প্রসঙ্গও উঠে আসল মমতার গলায়। বললেন, ‘আমাদের সাহস আছে। আজ তো আমরা মিছিল করলাম। সাহস দেখলাম। এতগুলো রাজনৈতিক দল আছে। কে কী সাহস দেখাল? আমরা তো মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বার… সব ধর্মীয় স্থানে গিয়েছি। আমরা চাই হিন্দু-মুসলিম-শিখ-খ্রিস্টান, সবাই একসঙ্গে ভাইয়ে-ভাইয়ে মিলেমিশে থাকুক।’