Dilip Ghosh: ‘বাড়াবাড়ি করলে ইলেকশন পর্যন্ত চলবে’, রামনবমী নিয়ে বড় ঘোষণা দিলীপের
Dilip Ghosh: দিলীপ বলেন, "দেশজুড়ে রামনবমী থেকে হনুমান জয়ন্তী পর্যন্ত সাতদিনের উৎসব চলে। আমরাও বিভিন্ন জায়গায় উৎসব করি। সুপ্ত হিন্দু সমাজকে জাগানোর চেষ্টা করি। রামে নামে জাগছে, হনুমানের নামে জাগছে। অনেক জায়গায় হনুমানের পুজো হবে। শোভাযাত্রা হবে। আর হনুমানের শোভাযাত্রায় তো বাঁশি বাজবে না।"

কলকাতা: মাঝে আর তিনদিন। রামনবমীতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মিছিল করবে বিজেপি। ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে এই রামনবমীকেই কি হাতিয়ার করতে চাইছে গেরুয়া শিবির? এই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। সেই জল্পনার মধ্যেই বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, রাজ্যের শাসকদল ও পুলিশ যদি রামনবমীর মিছিলে বাধা দেয়, তাহলে ২০২৬-র নির্বাচন পর্যন্ত রামনবমী ইস্যুকে টেনে নিয়ে যাবেন তাঁরা।
আগামী ৬ এপ্রিল রামনবমী। রামনবমীতে অস্ত্র নিয়ে মিছিলের পক্ষে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। কিন্তু, অস্ত্র নিয়ে মিছিল হলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। রামনবমীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে কোনও অবনতি না হয়, তার জন্য সতর্ক পুলিশ প্রশাসন। বুধবার থেকে আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত পুলিশকর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে পুলিশ প্রশাসনকে উদ্দেশ করে দিলীপ ঘোষ বলছেন, “হিন্দুরা সুশৃঙ্খল। নিজের মতো করে উৎসব পালন করে। এত লক্ষ লক্ষ দুর্গাপুজো হয়, দুর্ঘটনা হয় না তো। জোর করে টেনশন তৈরির চেষ্টা চলছে। এই বদভ্যাস তৃণমূল ও পুলিশকে ছাড়তে হবে। ছেড়ে দিন আমাদের হাতে। হিন্দুরা নিজের উৎসব নিজের মতো করে পালন করবে। যেখানে গন্ডগোলের ভয় আছে, সেখানে যান।”
এই খবরটিও পড়ুন




পুলিশ যদি রামনবমী মিছিল নিয়ে ব্যবস্থা নেয়, তাহলে কী হবে? দিলীপ বলেন, “দেশজুড়ে রামনবমী থেকে হনুমান জয়ন্তী পর্যন্ত সাতদিনের উৎসব চলে। আমরাও বিভিন্ন জায়গায় উৎসব করি। সুপ্ত হিন্দু সমাজকে জাগানোর চেষ্টা করি। রামে নামে জাগছে, হনুমানের নামে জাগছে। অনেক জায়গায় হনুমানের পুজো হবে। শোভাযাত্রা হবে। আর হনুমানের শোভাযাত্রায় তো বাঁশি বাজবে না। গদা নিয়ে যাবে। সশস্ত্র হওয়া উচিত তো। পুলিশ শুধু আমাদের চমকাবে, তা তো হবে না। আজ বাংলায় যে পরিস্থিতিতে হিন্দুসমাজ রয়েছে, তাতে সমস্ত বাড়িতে অস্ত্রের দরকার।”
এরপরই তিনি বলেন, “আমাদের কোনও টেনশন নেই। হিন্দু সমাজের কোনও টেনশন নেই। বাধা দিতে এলেই টেনশন হবে। পুলিশের কাজ হচ্ছে, কোনও উৎসব অনুষ্ঠান সুচারুভাবে যাতে হয়, তা দেখা। অথচ তারা বাধা দিতে আসছে। আয়োজকদের চমকাচ্ছে। বাধা দিলে রামনবমীর মিছিল চলতে থাকবে। শেষ হবে না। ভাববেন না হিন্দুরা দুর্বল, অসহায়। হিন্দুরা জেগেছে। হিন্দুদের পিছনে আমরা রয়েছি। এটা চালিয়ে যাব। বাড়াবাড়ি করলে নির্বাচন পর্যন্ত চালিয়ে যাব।”
রামনবমীকে কেন্দ্র করে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিয়ে ছাব্বিশে এটা যে প্রধান ইস্যু হবে, তা স্পষ্ট করে দিয়ে দিলীপ বলেন, “এটাই একমাত্র ইস্যু হবে। পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরা অসুরক্ষিত। ধর্ম-কম্ম করতে দেয় না। হিন্দুদের মাঠে নামাব আমরা। এর উপরই ছাব্বিশের নির্বাচন হবে যদি আপনারা(শাসকদল) চান।”
দিলীপের মন্তব্য নিয়ে তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “২০২৬ পর্যন্ত মিছিল চলবে মানে তো আমি বুঝতে পারছি না। দিলীপবাবু একটু উল্টোপাল্টা কথা বলতে অভ্যস্ত। কখনও গদা ঘোরান, কখনও তরোয়াল ঘোরান। এগুলো শান্তির প্রতীক নয়। যেহেতু উন্নয়নের কথা বলে হয়নি। রাজনীতির কথা বলে হয়নি। তখন ধর্মীয় মেরুকরণের কথা বলছেন ওঁরা। সেজন্যই ছাব্বিশের কথা বলছেন। না হলে সারাজীবনের কথা বলতেন। ধর্মীয় মেরুকরণের মাধ্যমে কখনও ভোট হবে না।”





