Sujit Basu: মেয়ের বিয়ে হোক বা শ্রীভূমির পুজো, সুজিত মানেই সোনা! জানেন মোট কত সম্পত্তি?
Sujit Bose: বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসু। ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের আগে তিনি নির্বাচন কমিশনে যে হলফনামা জমা দেন, তাতে ২০১৫ সালের পর থেকে ক্রমশ বেড়েছে আয়। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ২০,১৫,৬৫০ টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে তা বেড়ে ৩৬,০৮,৭৬০ টাকা হয়। পরের অর্থবর্ষেই যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬০,১৪,১৬০ টাকা।
কলকাতা: রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) কাকভোরে তাঁর বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সূত্রের খবর, পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই অভিযান। শুধু রাজনীতিই নয়, এর বাইরেও নানা কর্মকাণ্ডে বছরভর দেখা যায় সুজিত বসুকে। সুজিত বসুর শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ের দুর্গাপুজোর জনপ্রিয়তা রাজ্যবাসীকে নতুন করে মনে করাতে হবে না। শ্রীভূমির নামে রয়েছে ফুটবল টিম। তাঁর ক্লাব এবার ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে ‘কন্যাশ্রী’ কাপে জয়ীও হয়েছে। এহেন ‘দমদার’ দমকলমন্ত্রীর বাড়িতে সকাল সকাল ইডির তল্লাশি। এই মন্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন?
বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসু। ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের আগে তিনি নির্বাচন কমিশনে যে হলফনামা জমা দেন, তাতে ২০১৫ সালের পর থেকে ক্রমশ বেড়েছে আয়। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ২০,১৫,৬৫০ টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে তা বেড়ে ৩৬,০৮,৭৬০ টাকা হয়। পরের অর্থবর্ষেই যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬০,১৪,১৬০ টাকা। হলফনামায় সুজিত জানিয়েছেন, ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে তাঁর স্ত্রীর বার্ষিক আয় ছিল ১৬ লক্ষ ৫৭ হাজার ৩৯০ টাকা। ২০১৯-২০ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৩ লক্ষ ৩৯ হাজার ৯৫০ টাকা। আয়ের উৎস হিসেবে হলফনামায় সুজিত জানিয়েছেন, তাঁর আয়ের উৎস ব্যবসা ও ব্যাঙ্কে জমানো টাকার সুদ। আর তাঁর স্ত্রীর আয়ের উৎসও ব্যবসা ও ব্যাঙ্কে জমানো টাকার সুদ।
সেই সময় সুজিত বসুর হাতে ছিল নগদ ১,৪৮,০১২ টাকা। ৫ লক্ষ ১১ হাজার টাকার বেশি এলআইসি প্রিমিয়াম দিতেন। ২০১৪ সালে ১৩,৮৫,৭০০ টাকা দামের একটি টয়াটো ইনোভা গাড়ি ছিল তাঁর। ২০১৯ সালে একটি স্করপিও যুক্ত হয় তালিকায়। ১৫,০৩,১১১.০১ টাকা দাম। ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে ১০ লক্ষ টাকার।
২০২১ সালের ওই হলফনামায় সুজিত জানিয়েছেন, ১৯৮০ সালে মাধ্য়মিক পাশ করেন তিনি। পড়তেন ক্যালকাটা জুবিলি ইনস্টিটিউশনে। এরপর মোতিঝিল কলেজ অব কমার্সে ভর্তি হয়েছিলেন। হলফনামায় রাজ্যের দমকলমন্ত্রী জানিয়েছেন, সেখানে তিনি ক্লাস ইলেভেন পর্যন্ত পড়াশোনা করেন।
সুজিতের হলফনামা বলছে, সে সময় তাঁর হাতে ছিল ১ কোটি ৪১ লক্ষ ৪৪ হাজারের বেশি অস্থাবর সম্পত্তি। তাঁর স্ত্রীর হাতে ছিল ৬০ লক্ষ ৬৩ হাজারের অস্থাবর সম্পত্তি। ১৭৯.৫ গ্রাম সোনার গয়না ছিল সুজিতের নামে। যার বাজারমূল্য ৪,৭৫,৩৮৯ টাকা। হিরের গয়না ছিল ৩,২৮,৬২৫ টাকা মূল্যের। শ্রীভূমি এলাকায় তাঁর নামে রয়েছে দু’টি ঠিকানা। বিরোধীদের অভিযোগ, মেয়ের বিয়েতে প্রচুর সোনার গয়না দিয়েছেন সুজিত।