Saokat on Naushad: ‘ছোট ভাই নওশাদের জন্য নার্সিংহোমে বেড রেখে দেব’, আশ্বাস ‘বড় দাদা’ শওকতের

Saokat on Naushad: ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সম্প্রতি বলেছেন, তিনি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে ভয় পান। সরকারের ওপর নাকি তাঁর ভরসা নেই।

Saokat on Naushad: 'ছোট ভাই নওশাদের জন্য নার্সিংহোমে বেড রেখে দেব', আশ্বাস 'বড় দাদা' শওকতের
নওশাদকে বার্তা শওকতেরImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 26, 2023 | 5:17 PM

কলকাতা: নওশাদ ইট ছুড়লে, পাল্টা শওকত পাটকেল ছোড়েন, দুই বিধায়কের সম্পর্ক এমনই। পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তির আবহে আইএসএফ-তৃণমূলের চাপান-উতোর যখন তুঙ্গে, তখন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ ও তৃণমূল বিধায়ক শওকত প্রায় প্রতিদিন একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। বোমাবাজি, গুলি, খুনের ঘটনায় কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলেননি। এবার সেই ‘ছোট ভাই’ নওশাদের জন্যই নার্সিংহোমে বেড রেখে দেওয়ার কথা বললেন ‘বড় দাদা’ শওকত মোল্লা।

ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সম্প্রতি বলেছেন, তিনি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে ভয় পান। সরকারের ওপর নাকি তাঁর ভরসা নেই। প্রয়োজন হলে বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে ভর্তি হবেন। ঘনিষ্ঠ মহলে নাকি এমনটাই বলে রেখেছেন তিনি। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন তিনি।

রাজ্য সরকারের সঙ্গে নওশাদের বিরোধের নজির রয়েছে অনেক। সম্প্রতি ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পরও নিজের বিধানসভা এলাকায় ঢুকতে পারেননি তিনি। পুলিশ তাঁকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিল,অনুমতি নেই। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের দ্বারস্থও হয়েছিলেন নওশাদ। কখনও আবার ভাঙড়ের সুরক্ষার দাবি নিয়ে নবান্নেও যেতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

বুধবার সংবাদমাধ্যমের সামনে নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, “আমি বলে রেখেছি, আমার ওপর কোনও আক্রমণ হলে যেন আমাকে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি না করা হয়।” কেন এমন বলছেন? খুন হয়ে যেতে পারেন? নওশাদের উত্তর “সরকারে যারা আছে, তাদের ওপর বিশ্বাস নেই। কিছুই বলা যায় না।”

এই প্রসঙ্গে বুধবার শওকত মোল্লা বলেন, “সরকারি হাসপাতাল নিয়ে ওঁর ভীতি আছে। জীবনতলায় একটা নার্সিংহোম আছে, সেখানে ২০০ বেড আছে। সেখানে আমি সবসময়ের জন্য ওঁর নামে একটা বেড খালি রাখছি। কখনও ভর্তি হলে চিকিৎসা করাতে পারবেন।” তাঁর দাবি, বড় দাদার আতিথেয়তা নাকি ফেরাবেন না ছোট ভাই। কিন্তু শাসক দলকে নিয়েই যে নওশাদের আশঙ্কা? শওকত হাসতে হাসতে উত্তর দেন, “যাই হোক না কেন, ছোট ভাইয়ের গায়ে কখনও বড় দাদা হাত দেবে না। এটুকু বলে রাখলাম।”

উল্লেখ্য, ভোট-পর্বের মধ্যেও হাসিমুখে নওশাদ ও শওকতকে পাশাপাশি দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল সংবাদমাধ্যমের সামনে। তখনও দুই প্রতিদ্বন্দ্বী একে অপরকে দাদা ও ভাই সম্বোধন করে ভাঙড়ে শান্তি ফেরানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন।