Abu Taher Khan: মুর্শিদাবাদে অশান্তির ঘটনায় কারা? নিজের দলেরই এদের কথা বলে দিলেন TMC সাংসদ
Abu Taher Khan: তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খানের মন্তব্য, তৃণমূলের মধ্যে কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক আছে যারা এই ওয়াকফ আন্দোলনে গিয়ে তাণ্ডব চালাতে পারে। তিনি বলেন, "এমন কিছু হুলিয়ান পার্টি ঢুকে যায়, এটা সকলের নিয়ন্ত্রণে থাকে না।

কলকাতা: অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি মুর্শিদাবাদে। সুতি-জঙ্গিপুর-ধুলিয়ান সহ একাধিক জায়গায় অশান্তি চলছে। এই পরিস্থিতিতে এবার বিস্ফোরক দাবি তৃণমূল সাংসদ আবু তাহেরের। ঘটনার পিছনে নিজের দলেরই একাংশকে দুষলেন সাংসদ। কারা তাণ্ডব চালাতে পারেন, নিজের সেই অনুমানের কথাও বলে দিলেন তিনি।
তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খানের মন্তব্য, তৃণমূলের মধ্যে কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক আছে যারা এই ওয়াকফ আন্দোলনে গিয়ে তাণ্ডব চালাতে পারে। তিনি বলেন, “এমন কিছু হুলিয়ান পার্টি ঢুকে যায়, এতে সকলের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। যেমন পরিযায়ী শ্রমিকদের অনেকে বাইরে আছেন। তাঁরা ইদে বাড়ি এসেছিলেন। আবার বাড়িও চলে যায়। এমন কিছু বাচ্চা-ছেলে আছে, যাঁরা এই উস্কানিতে আরও একটু উস্কানি দিয়ে এই সমস্ত ঘটনা ঘটিয়ে দেয়।”
এরপর তাঁর বক্তব্য, কিছু রাজনৈতিক নেতা ঘোলা জলে মাছ ধরতে চায়। সেই সকল নেতারা চেষ্টা করেন কীভাবে দলকে বিপদে ফেলা যায়। আবু তাহের বলেন, “কিছু উচ্ছৃঙ্খল দলীয় নেতৃত্ব দু’চারজন রয়েছেন, তাঁরাও এই সময়টা কাজে লাগায়।” তৃণমূলের মধ্যেও এই ধরনের লোক আছে? স্বীকার করে নিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, “আমাদের দলে দু’একজন আছে। তৃণমূল দলটা বড়। বাংলার সমস্ত বিরোধী দল থেকে এসে এই দলে তৈরি হয়েছে।” আবু তাহের খানের বক্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আবু তাহের খান কী বলেছেন আমি জানি না। তবে এই কথাটা যদি বলে থাকে তাঁর কোনও যৌক্তিকতা নেই। এরকম কথা না বলাই ভাল।”
এ প্রসঙ্গে আগেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, “তৃণমূলের চক্রান্ত পুরোটাই, তৃণমূলই করাচ্ছে। তৃণমূল চাইলেই বন্ধ হয়ে যাবে। মাঝে পিএফআই ঢুকে গিয়েছে। যা হয় বাঘের পিঠে চড়ে সওয়ারি করলে বাঘ তো খাবেই।”
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও ‘পরিযায়ী’ শ্রমিকদের একাংশের উপর দোষারোপ করেছেন। তিনি বলেছেন, “১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। ওই এলাকায় একটা তালিকা করছি আমরা। যাঁরা বিজেপি শাসিত রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। যাঁদের বাড়ির লোকেরা এই হামলায় যুক্ত। তাঁদের উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গুজরাট থেকে ফিরে এসে সারাতে হবে। তারপর অন্য কথা হবে। আমরা ছাড়ব না। লম্বা রোড ম্যাপ তৈরি করেছি।”





