১০ বছরে কী কাজ করেছে, রিপোর্ট কার্ড দেখিয়ে বলল তৃণমূল

একাধিক নির্বাচন, প্রচার, নির্বাচনের আচরণ বিধির গেরোয় মেরে কেটে আট বছর কাজের সুযোগ পেয়েছে তৃণমূল সরকার।

১০ বছরে কী কাজ করেছে, রিপোর্ট কার্ড দেখিয়ে বলল তৃণমূল
প্রকাশিত হল তৃণমূলের রিপোর্ট কার্ড।
Follow Us:
| Updated on: Dec 10, 2020 | 7:24 PM

কলকাতা: সরকারের বয়স ১০ বছর। এর মধ্যে আট বছরও ঠিকমতো কাজ করার সুযোগ পায়নি। তা সত্ত্বেও খালি হাতে ভোট চাইতে যাবে না। লক্ষ্মীবারে সরকারের রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করে এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজেদের গত ১০ বছরের কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার হেভিওয়েট সদস্যরা। ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম।

প্রত্য়েকেরই বক্তব্য, দেখে মনে হতে পারে ১০ বছর। কিন্তু একাধিক নির্বাচন, প্রচার, নির্বাচনের আচরণ বিধির গেরোয় মেরে কেটে আট বছর কাজের সুযোগ পেয়েছে তৃণমূল সরকার। তবু এত কম সময়ে যে পরিমাণ কাজ হয়েছে তা একটা কার্ডে তুলে ধরা সম্ভব না। বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “কাজের হিসাব দিতে গেলে একটা মোটা বই হয়ে যাবে। আমরা এই কার্ডে সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরলাম।”

পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন অভিযোগ করেন, আগের সরকার এমন সব কাজ করেছে যা সামাল দিতেই এই সরকারের সময় কেটে গিয়েছে। বহু ঋণও শোধ করতে হয়েছে তৃণমূল সরকারকে। তারই মধ্যে সরকার গঠন, লোকসভা ভোট, বিধানসভা ভোট, পঞ্চায়েত ভোট, উপনির্বাচন। ঠিকমতো আট বছর কাজ করার সুযোগ মিলেছে বলে দাবি করেন তৃণমূলের মহাসচিব।

তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “এই যে আমরা আপনাদের কাছে আশীর্বাদ চাইতে এসেছি তা কিন্তু খালি হাতে আসিনি। যে সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষী রেখে বলেছিলাম কী কী কাজ করব। আজ ১০ বছর পর আবার তাদের সাক্ষী রেখেই বলছি কী কী কাজ করেছি। রিপোর্ট কার্ড হাতে নিয়েই আশীর্বাদ চাইতে এসেছি।”

রিপোর্ট কার্ডে স্বাস্থ্যসাথী, কৃষক বন্ধু, খাদ্যসাথী, বাংলা আবাস যোজনা-সহ তৃণমূল সরকারের একাধিক প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। ‘কৃষক বাংলার প্রাণ’ শীর্ষক বিভাগে উল্লেখ রয়েছে, ২০১৯ সাল অবধি ৪৬.৯২ লক্ষ কৃষককে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। ২,৬৪২ কোটি আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। গড় আয় বেড়েছে বাংলার কৃষক পরিবারগুলির। অন্যদিকে ‘আমাদের লক্ষ্য, বাংলার সুস্বাস্থ্য’ শীর্ষক বিভাগে বলা হয়েছে, সর্বজনীন স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে এখনও অবধি ১.৪ কোটি পরিবারকে গ্রুপ স্বাস্থ্যবীমার আওতায় আনা হয়েছে।

প্রথম থেকে এই কৃষক বন্ধু ও স্বাস্থ্য়সাথী প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাত রাজ্যের। কেন্দ্রের আয়ুষ্মান প্রকল্পকে দূরে ঠেলে স্বাস্থ্যসাথীতেই ধ্যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অন্যদিকে পিএম কিষাণ প্রকল্প থেকে কৃষক বন্ধু যে বাংলার কৃষকদের অনেক আপন তাও বারবার দাবি করেছেন তিনি। বিজেপিরও পাল্টা দাবি, পিএম কিষাণ বাংলায় কার্যকর না করে বাংলার কৃষকদের বঞ্চিত করছে রাজ্য সরকার। একই অভিযোগ আয়ুষ্মান ভারত নিয়েও। এরইমধ্যে এদিনের রিপোর্ট কার্ড নিয়েও বিরোধিতার সুর শোনা যাচ্ছে বিরোধী শিবিরে।