TMCP JU: সিসিটিভি লাগালে মুখোশ খুলে যাবে তো, বামেদের বিঁধলেন রাজন্যা
TMCP: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মূল দাবি, ক্যাম্পাসে সিসিটিভি লাগাতে হবে। ছাত্র নিরাপত্তায় ক্যামেরার ব্যবহারে মুক্তমনে কোনও হস্তক্ষেপের প্রশ্নই নেই বলে মনে করছে তারা। বরং ছাত্রছাত্রীদের সুরক্ষায় যদি অতিরিক্ত নজরদারি চলে, তাতে নিরাপত্তা বাড়বে।
কলকাতা: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) মিছিল যাদবপুরে। শনিবার যাদবপুরে মিছিল করেন রাজন্যা হালদার, সঞ্জীব প্রামাণিকরা। শুক্রবারই টিএমসিপির যাদবপুর ইউনিটের প্রেসিডেন্ট হিসাবে রাজন্যা হালদারের নাম ঘোষণা করে দল। সঞ্জীবকে দেওয়া হয় এই ইউনিটের চেয়ারপার্সন পদ। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পরদিনই যাদবপুরে মিছিল করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। রাজন্যা বলেন, “বাম, অতি বামেরা ক্যাম্পাসে সিসিটিভি লাগাতে দেবে না। ওদের আদর্শের মুখোশের আড়ালে অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে। বলছে, ব্যক্তিগত নিরাপত্তাহানি হবে। আরে সিসিটিভি তো নিরাপত্তার জন্যই।”
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মূল দাবি, ক্যাম্পাসে সিসিটিভি লাগাতে হবে। ছাত্র নিরাপত্তায় ক্যামেরার ব্যবহারে মুক্তমনে কোনও হস্তক্ষেপের প্রশ্নই নেই বলে মনে করছে তারা। বরং ছাত্রছাত্রীদের সুরক্ষায় যদি অতিরিক্ত নজরদারি চলে, তাতে নিরাপত্তা বাড়বে। যদিও এসএফআই প্রথম থেকেই বলে এসেছে, ক্যামেরায় কি অপরাধ রোখা সম্ভব? বিভিন্ন মহলের বক্তব্য, অপরাধ মানুষের মনে। তাই তা রুখতে পারে একজন মানুষ নিজেই। তবে অপরাধ করে কেউ যদি তা চেপে যাওয়ার চেষ্টা করে, সেক্ষেত্রে সিসিক্যামেরার ভূমিকা নিঃসন্দেহে প্রমাণের ঢাল হতে পারে।
শনিবার রাজন্যারা হাতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বা সিসিক্যামেরা নিয়ে প্রতীকী মিছিল করে অরবিন্দ ভবন অবধি পৌঁছয়। সেখানে রেজিস্ট্রারের ঘরে ডেপুটেশন দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। এদিকে এই অরবিন্দ ভবনেই অবস্থানে বসেছে আইসা (AISA)। তৃণমূলের প্রতিনিধিরা সেখানে এসে পৌঁছতেই আরও জোরাল হয় তাদের স্লোগান। এ নিয়ে কিছুটা গরম হয় পরিস্থিতি।
রাজন্যা হালদার বলেন, “এখনও এখানকার ইউনিয়ন বলছে যারা ভিন্ন রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী, বিশেষ করে যারা ক্যাম্পাসে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করবে তাদের বয়কট করা হবে। এটাও এক প্রকার র্যাগিং। এ নিয়ে আমরা কর্তৃপক্ষকে না জানালে দেরি হয়ে যাবে। কর্তৃপক্ষ মানলে ভাল, না মানলে ইউজিসির কাছে অভিযোগ জানাতে হবে।”