১৬ জুন থেকেই কি শিথিল হচ্ছে বিধিনিষেধ? বাস ডিপোগুলিকে প্রস্তুতির নির্দেশ পরিবহন দফতরের
সরকারি আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, রাজ্য সরকারের (State Transport Department) পক্ষ থেকে নির্দেশ আসার সঙ্গে সঙ্গেই বাসগুলি যাত্রী পরিবহনের জন্য উপযুক্ত নাও থাকতে পারে।
কলকাতা: করোনার কারণে নবান্নের (Nabanna) তরফে যে কড়াকড়ির নির্দেশিকা জারি হয়েছে আগামী ১৫ জুন তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। বিধিনিষেধের সময়কাল বাড়তেও পারে। আবার শিথিল হওয়ার সম্ভাবনাও কম নয়। এরইমধ্যে গণপরিবহন হিসাবে বাস প্রস্তুত রাখার জন্য ডিপোগুলিকে নির্দেশ দিল রাজ্য পরিবহন দফতর।
সরকারি কিংবা বেসরকারি বাস পরিষেবা চালু করার ব্যাপারে আগামী সপ্তাহেই নির্দেশিকা আসতে পারে। সে কারণে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিল পরিবহন দফতর। সংশ্লিষ্ট দফতরের পক্ষ থেকে সমস্ত বাস ডিপোতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যে সরকারি বাসগুলি রয়েছে তা প্রস্তুত রাখার জন্য। সরকারি আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ আসার সঙ্গে সঙ্গেই বাসগুলি যাত্রী পরিবহনের জন্য উপযুক্ত নাও থাকতে পারে।
কারণ, দীর্ঘদিন ধরে বাসগুলি না চলার ফলে ব্যাটারি ডাউন হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। আবার বাসের চাকা বসে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। কোনও কোনও চাকা তো একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়। ফলে সে সবের আগাম প্রস্তুতি দরকার। শুধু তাই নয় করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে গোটা বাস জীবাণুমুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সেই মতো ডিপোগুলির আধিকারিকদের বাসের মধ্যে জীবাণুনাশক স্প্রে করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কোভিডমুক্ত হয়েও পেটের সংক্রমণে লড়াই থামল ভাঙড় আন্দোলনের নেত্রী শর্মিষ্ঠার
অন্যদিকে বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনের কর্তাদের বক্তব্য, অতি দ্রুত বাস পরিষেবা শুরু করে না হলে তীব্র আর্থিক সমস্যার মধ্যে পড়বেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছে পৃথক পৃথক ভাবে আবেদন জানিয়েছে একাধিক বাস মালিক সংগঠন।
কেন বাস ডিপোগুলির আগাম প্রস্তুতি দরকার-
* দীর্ঘ দেড় মাস ধরে বন্ধ রয়েছে বাস পরিষেবা
* বহু বাসের ব্যাটারি ডাউন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে
* বাসের চাকা বসে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে
* চাকা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে
* বাসের ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে
* ইঞ্জিনের মোবিল পরিবর্তন করতে হবে