Dengue: দক্ষিণ দমদমে ২ ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু, উদ্বেগ কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না
Dengue: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পর পর তিন বছর ডেঙ্গির ডেং-৩ স্ট্রেনে কাবু হচ্ছে বাংলা। সেরোটাইপ সমীক্ষা বলছে, ২০২১ সালে ৭২ শতাংশ, ২০২২ সালে ৫৩ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে ৭৫ শতাংশ এই স্ট্রেনে আক্রান্ত। এ বছর প্রথম থেকেই দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা গিয়েছে।
কলকাতা: ফের শহরে ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে রাজ্যে দুই ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। মৃত দু’জনই দক্ষিণ দমদমের বাসিন্দা। দমদম মতিঝিলের বাসিন্দা মধু সিংয়ের (১৬) মৃত্যু হয়েছে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। মৃতের ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গি শক সিনড্রোমের উল্লেখ রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে কিশোরীর মৃত্যু বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। অন্যদিকে দক্ষিণ দমদমের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের আরেক যুবকের মৃত্যু হয়েছে এলাকারই এক নার্সিংহোমে। তিনিও ডেঙ্গি পজিটিভ ছিলেন। অস্থায়ী ওই পুলিশ কর্মীর নাম প্রীতম ভৌমিক। শুক্রবার সন্ধ্যায় নাগেরবাজার সংলগ্ন এক নার্সিংহোমে ভর্তি হন তিনি। শনিবার ভোর ৩টে ৪৬ মিনিট নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর কারণ হিসাবে মৃত্যুর শংসাপত্রে ডেঙ্গির উল্লেখ করা হয়।
বর্ষা যেতে না যেতেই ফি বছর দাপট বাড়ায় ডেঙ্গি। এ বছরও সেই ছবিতে কোনও বদল আসেনি। অন্যান্য বছর তাও কলকাতায় ডেঙ্গির দাপাদাপি দেখা যেত। এবার শহরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ডেঙ্গির মশা গ্রামেগঞ্জেও ভেলকি দেখাচ্ছে। হু হু করে নামছে রোগীর প্লেটলেট। করোনা-পরবর্তী শরীরে কীভাবে যে প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে এই ডেঙ্গি, বুঝে ওঠার আগেই সব শেষ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পর পর তিন বছর ডেঙ্গির ডেং-৩ স্ট্রেনে কাবু হচ্ছে বাংলা। সেরোটাইপ সমীক্ষা বলছে, ২০২১ সালে ৭২ শতাংশ, ২০২২ সালে ৫৩ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে ৭৫ শতাংশ এই স্ট্রেনে আক্রান্ত। এ বছর প্রথম থেকেই দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা গিয়েছে। অগস্টের মাঝামাঝি অবধিই প্রায় ২০০ জন দক্ষিণ দমদমে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছিল। ঘরে ঘরে জ্বর, গায়ে হাত পায়ে ব্যথা। সাধারণ ফ্লুয়ের মতোই উপসর্গ। এরপর হঠাৎ করেই বাড়াবাড়ি হচ্ছে অবস্থা।