UNESCO Durga Puja: আগামী বছর ১০ দিন আগে থেকে কলকাতায় দুর্গোৎসব, বড় ঘোষণা মমতার
Mamata Banerjee: 'দুর্গাপুজোয় দেখেছেন তো! জেদ থাকলে হয়। করতে করতে আমরা কিন্তু ইউনেস্কোর হেরিটেজ আদায় করে নিয়েছি', বললেন মমতা।
কলকাতা: বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজো। বিশ্ববন্দিত বাঙালির এই আবেগ। সেই আবেগকে আরও অনেকটা উস্কে দিয়েছে ইউনেস্কো। তাদের ‘ইনট্যানজিবেল হেরিটেজ’-এর তালিকায় সম্প্রতি জায়গা করে নিয়েছে কলকাতার দুর্গাপুজো। এই সম্মানে গোটা কলকাতা যখন আপ্লুত, তখন আগামী বছরের দুর্গাপুজো নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দিলেন, ২০২২ সালের দুর্গাপুজোর উদযাপন শুরু হবে ১০ দিন আগে থেকে।
গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফ্রান্সের প্যারিসে আয়োজিত হয়েছে ইন্টার-গভর্নমেন্ট কমিটির ১৬ তম অধিবেশন। সেই অধিবেশনেই ‘কলকাতার দুর্গাপুজো’-কে ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটির তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই এ নিয়ে নানা কানাঘুঁষো শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে তা ধরা দিল।
বৃহস্পতিবার কলকাতার মেয়রের নাম ঘোষণার মঞ্চ থেকেই আপ্লুত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কলকাতা সেরার সেরা হোক, আমি দেখতে চাই। সেদিন কাজ ফুরোবে আমাদের, যেদিন এই কথাটা শুনতে পাব। দুর্গাপুজোয় দেখেছেন তো! জেদ থাকলে হয়। করতে করতে আমরা কিন্তু ইউনেস্কোর হেরিটেজ আদায় করে নিয়েছি। পুজো কমিটিগুলো অনেক অনুষ্ঠান করেছে। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। আগামী দুর্গাপুজোকে সামনে রেখে আমরা ১০ দিন আগে থেকে উদযাপন শুরু করব। ইউনেস্কোর হেরিটেজের জন্য।”
? BREAKING
Durga Puja in Kolkata has just been inscribed on the #IntangibleHeritage list.
Congratulations #India ??! ?
ℹ️https://t.co/gkiPLq3P0F #LivingHeritage pic.twitter.com/pdQdcf33kT
— UNESCO ?️ #Education #Sciences #Culture ??? (@UNESCO) December 15, 2021
এর আগে ২০১৭ সালে এই স্বীকৃতি পেয়েছিল কোনও ভারতীয় উৎসব। সে বছর কুম্ভ মেলাকে এই হেরিটেজের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। তার আগে ২০১৬ সালে যোগচর্চাকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। তারও আগে ২০১৪ সালে পঞ্জাবের ঐতিহ্যবাহী পিতল এবং তামার কারুকাজ সাংস্কৃতিক হেরিটেজের স্বীকৃতি পেয়েছিল। ২০১৩ সালে মণিপুরের সংকীর্তনের গানকেও হেরিটেজের স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো।
তবে বাংলায় পুরুলিয়া জেলার ছৌনাচ ২০১০ সালে এই স্বীকৃতি পায়। ওই একই সঙ্গে স্বীকৃতি পেয়েছিল কেরলের মুদিয়েত্তু লোক নৃত্যনাট্য এবং রাজস্থানের কালবেলিয়ে লোকগীতি। এর পাশাপাশি কুটিয়াত্তম সংস্কৃত থিয়েটার, রামলীলা, বৈদিক জপের ঐতিহ্য এবং লাদাখের বৌদ্ধ নাম-জপও এই স্বীকৃতি পেয়েছে।
ইউনেস্কো যেদিন কলকাতার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজের স্বীকৃতি দেয়, তার পরদিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “যা পেয়েছি, আমার হৃদয় ভরে গিয়েছে। বাংলা বিশ্ব বাংলা হয়ে গিয়েছে। বাংলা বিশ্ব সেরা হয়ে গিয়েছে। আমি যখন বলছি, আমার গায়ে কাঁটা দিচ্ছে। আপনাদের গায়েও নিশ্চয় কাঁটা দিচ্ছে। আমি ২০১৬ থেকে চেষ্টা করছিলাম। পুজো কার্নিভ্যাল মাথা থেকে বের করেছিলাম। ক্লাবগুলোকে আমরা ৫০ হাজার টাকা করে দিই। আমাদের পুজো বর্ণময়, ছন্দময়, সংস্কৃতিময়।”
ইউনেস্কোর ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে, “দুর্গাপুজাকে ধর্ম ও শিল্পের সর্বজনীন মিলন ক্ষেত্রের সর্বোত্তম উদাহরণ হিসাবে দেখা হয় এবং সহযোগী শিল্পীদের জন্য একটি সমৃদ্ধ ক্ষেত্র হিসাবে দেখা হয়। এই উৎসব শহুরে এলাকায় বড় আকারের পালিত হয় এবং মণ্ডপগুলির পাশাপাশি রয়েছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢাক এবং দেবীর পুজো।”