হাইভোল্টেজ শুক্রবারে, বিজেপিকে ক্ষমতায় আনতে ও কর্মীদের মনোবল বাড়াতে নয়া উদ্যোগ নিলেন অমিত শাহ। মধ্য়মগ্রামের রোড-শোয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশে শাহ বলেন, ‘মমতার সরকার চান না তো? তাহলে নিজের পরিজনদের ফোন করুন। মাত্র ৫০ টা ফোনকল করে বলুন, মোদিজীর হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে। ১৭ এপ্রিল পদ্মফুলে ছাপ দিন।’
দেখুন, এক নজরে নির্বাচনের সব আপডেট
শনিবার চতুর্থ দফার নির্বাচন। তার আগে শুক্রবারের ভরা সন্ধ্য়ায় তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি মধ্যমগ্রামে কর্মীদের উদ্দেশে নয়া বার্তা দিলেন অমিত শাহ। এ দিন, রোড শো-এর পর, বিজেপি কর্মী সমর্থকদের শাহ বলেন, ‘মমতাকে হারাতে চান? নিজের আত্মীয় পরিজনদের মধ্যে ৫০ জনকে ফোন করুন। করে বলুন, ১৭ এপ্রিল পদ্মফুলে ভোট দিতে। মোদীজির হাতে ক্ষমতা তুলে দিন।’ যদিও, তৃণমূল শিবিরের পাল্টা দাবি, এই রোড-শো ফ্লপ হয়েছে। বিজেপি নয়, নবান্নে ফের মমতাই সরকার গড়বেন।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘৫০ জন পরিচিতকে ফোন করুন,’ কর্মীদের নয়া দাওয়াই অমিত শাহের
বঙ্গে ভোট প্রচারে, অর্থে কার্পণ্য করেনি গেরুয়া শিবির। নেতাদের ওজন বুঝে ৫০ লক্ষ থেকে ৭০ লক্ষ, খরচ করতে হাত টানছে না বিজেপির। কিন্তু, এত টাকার খরচ অপব্যয় বলেই মনে করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাই খরচে রাশ টানতে দিল্লি থেকে জোড়া পরীক্ষক নিয়োগ করল গেরুয়া শিবির। কোন খাতে কত খরচ হচ্ছে, এ বার থেকে ‘খাতাবন্দি’ হবে সব হিসেব। প্রসঙ্গত, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ঘাসফুল শিবির প্রায়ই দাবি করেছে, প্রচারে কালো টাকা খাটাচ্ছে বিজেপি। টাকা দিয়ে কেনা হচ্ছে নেতা। এত টাকা আসছে কোথা থেকে তা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন খোদ মমতা। এ বার খরচে রাশ টানতে স্বয়ং হাল ধরলেন শাহ।
বিস্তারিত পড়ুন: অমিত শাহের কঠোর পদক্ষেপ, বিজেপির অর্থ অপচয় রুখতে দিল্লি থেকে এলেন জোড়া পরীক্ষক
চতুর্থ দফা ভোটের বারো ঘণ্টা আগে ফের কড়া পদক্ষেপ কমিশনের। সরিয়ে দেওয়া হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকা এসপি পদমর্যাদার আধিকারিক তথা ডিরেক্টর অব সিকিউরিটির ওএসডি অশোক চক্রবর্তীকে। মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ যে কয়েকজন নিরাপত্তা আধিকারিক রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন এই অশোক চক্রবর্তী। কেন তাঁকে বদলি করা হল, তার যথাযথ উত্তর যদিও পাওয়া যায়নি।
বিস্তারিত পড়ুন: চতুর্থ দফার ভোটের আগে অপসারিত মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা আধিকারিক অশোক চক্রবর্তী
সাগরদিঘির বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী (BJP Candidate) মাফুজা খাতুনের (Mafuja Khatun)-এর উপর হামলার অভিযোগ। অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। দোষীদের শাস্তির দাবিতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি। থানার সামনে অবস্থান করেছেন মাফুজা-সহ কয়েকশো বিজেপি নেতা-কর্মী। শুক্রবার, সাগরদিঘি বিধানসভার মোরগ্রাম অঞ্চলের শাওড়াইল অঞ্চলে নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলেন মাফুজা। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের ওপর হামলা চালায়। লাঠি নিয়ে আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী এই ঘটনায় আহত হন বলে জানা গিয়েছে। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বিস্তারিত পড়ুন: বিজেপি প্রার্থী মাফুজা খাতুনের উপর হামলা, অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে
রাত পোহালেই রাজ্যের ৪৪ টি বিধানসভা কেন্দ্রে চতুর্থ দফার নির্বাচন। বঙ্গযুদ্ধে প্রথমবার ভোট হতে চলেছে উত্তরবঙ্গের দুটি জেলায়। প্রথম তিন দফা থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার নিরাপত্তার আরও কড়া বন্দোবস্ত করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, এই ৪৪ টি আসনে প্রায় ৮০০ কোম্পানি সেনা মোতায়েন করা হবে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, যে কোচবিহারে প্রচারে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আধাসেনাকে ঘেরাওয়ের নিদান দিয়েছিলেন, সেখানেই সিআরপিএফ-র সবচেয়ে বেশি কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, আগামিকাল ৪৪ টি আসনের ভোটের জন্য মোট ৭৯৩ কোম্পানি আধাসেনা ব্যবহার করা হবে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৮৮ কোম্পানি সিআরপিএফ মোতায়েন করা হবে কোচবিহারে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পরিমাণ আধাসেনা মোতায়েন হচ্ছে হাওড়া সদরে। সেখানে ১০৩ কম্পানি সিআরপিএফ মোতায়েন করা হবে। দক্ষিণ কলকাতার বেশ কয়েকটি আসনে আগামিকাল ভোট গ্রহণ হয়েছে। সেখানে মোতায়েন করা হচ্ছে ১০১ কোম্পানি আধাসেনা। প্রসঙ্গত, প্রত্যেক কোম্পানিতেই ১০০ জন করে সেনা সদস্য থাকে।
বিস্তারিত পড়ুন: চতুর্থ দফাতেও মাঠে প্রায় ৮০০ কোম্পানি আধাসেনা, জেনে নিন কোন জেলায় কেমন আয়োজন নিরাপত্তার
হাইভোল্টেজ শুক্রবারে রাজারহাট নিউটাউনে রোড শো করলেন বিজেপি সমর্থক মিঠুন চক্রবর্তী। এ দিন, রোড শো-এর পর একটি জনসভায় বক্তব্যও রাখলেন তিনি। মিঠুন এ দিন বলেন, ‘বিগ বসকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, বাংলার কোনায় কোনায় যাব। কিন্তু আগে যেতে পারিনি। এ বার যাব। ইলেকশন এলেই অনেকে অনেক ললিপপ দেয়। দিক। ঠিকটা আপনি নির্বাচন করুন। আগামী ৬ মাসের মধ্যে বাংলা ঘুরে দাঁড়াবে। বাংলায় প্রত্যেকটা জেলার প্রতি হাসপাতালের জেনারেল বেড এসি করবো।’ মহাগুরুর প্রতিশ্রুতি, “বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুতের দাম তো কমবেই, সব পড়াশোনা বিনামূল্যে হবে। সরকারি পরিবহণে টিকিট বিনামূল্যে মিলবে।”
বিস্তারিত পড়ুন: রেশন না দিলে এমএলএ ফাটাকেষ্টকে ডাকবেন, তারপরই খেলা শেষ: মিঠুন
চতুর্থ দফার ভোটের একদিন আগে হাওড়ার জন্য বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হল সিআইএফ-এর পুলিশ সুপার তথা আইপিএস অজিত সিং যাদবকে। তিনি মূলত হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট এলাকার দায়িত্বে থাকবেন। প্রসঙ্গত, এর আগে নন্দীগ্রাম ও হলদিয়াতেও নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী ও প্রবীণ ত্রিপাঠীকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কারণ সেই দুই এলাকাকে বিশেষভাবে উত্তেজনাপ্রবণ বলে মনে করেছিল কমিশন। যদিও তৃতীয় দফায় এম কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। তবে ভোট চতুর্থীর আগে কমিশনের এই পদক্ষেপে পরিষ্কার, হাওড়া জেলার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।
চতুর্থ দফার ভোটের আগে অন্তিম নির্বাচনী প্রচারে ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নির্মল ঘোষকে নিয়ে রোড শো সারলেন অভিষেক। পানিহাটি বিধানসভায় সোদপুর অমরাবতী গ্রাউন্ড থেকে ধানকল মোড় পর্যন্ত চলল এই রোড শো। এরপর হাড়োয়া ও সন্দেশখালিতেও প্রার্থীদের সমর্থনে দুটি জনসভা করেন অভিষেক।
এ দিন, রোড শো থেকে অভিষেক বলেন, ‘কে ১৫ লক্ষ টাকা পেয়েছে! জিএসটি করে দেশের অর্থনীতি রসাতলে চলে গিয়েছি। আমি চ্য়ালেঞ্জ করছি, বাংলায় আশি হাজার বুথ রয়েছে। আপনি মঞ্চ তৈরি করুন, সঞ্চালক ঠিক করুন। আমি রিপোর্ট কার্ড নিয়ে যাব। আপনিও আনবেন। দেখব, আমি কে জেতে! কে কত উন্নয়ন করেছেন! তথ্য দেখে উন্নয়নের খতিয়ান মেপে তারপর দেখা যাক না কে জেতে! দশ-শূন্য গোলে হারাব। ভোট দিন। আমার দিদি যা যা উন্নয়ন করেছেন আর মোদীজি যা করেছেন তার খতিয়ান নিয়ে আসুন। আমি অনুরোধ করছি, ইউটিউবের নেতা ইউটিউবে থাক, নান্টু ঘোষ বিধানসভা যাক। দিদি দশ অঙ্গীকারের কথা বলেছেন। সেইসব পূরণ হবে। বিজেপির তো কাজ নেই, সকাল থেকে উঠে দাঙ্গা ছড়ানো আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে বাপ-বাপন্ত করা। দিদি যা করে মোদীজি তার টুকলি করে, আর বলবে সব ওদের নাকি! একদিকে বহিরাগত, বিশ্বাসঘাতক সব নেতা অন্যদিকে, বাংলার মেয়ে। আমার এই মাটিতে দাঁড়িয়ে আমি যদি জয় বাংলা বলি তাহলে বলবে আমি নাকি বাংলাদেশী। আর নিজে বাংলাদেশে গিয়ে শেখ হাসিনার পাশে গিয়ে বলছে জয় বাংলা, তখন উনি দেশপ্রেমিক! কিছুদিন আগে, সভা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদ্ম ছাপকে কী বলেছেন শুনেছেন তো সবাই! আমি ওসব বলতেই পারব না! কি ভয়ানক! পরিবেশ খারাপ হয়ে যাবে! একজন মহিলাকে হারাতে গিয়ে পাগল হয়ে যাচ্ছে সব!’
রাত পোহালেই চতুর্থ দফার ভোট রাজ্যে। এই দফায় ৬০% নতুন প্রার্থীদের ময়দানে নামিয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে বিজেপির ভরসা রাজবংশী এবং তৃণমূলের প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা। চতুর্থ দফায় আগামিকাল প্রথমবার উত্তরবঙ্গের বিধানসভা আসনগুলিতে ভোট হতে চলেছে। এই দফায় মোট ৪৪ টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে ১৪ টি আসন কলকাতা থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে উত্তরবঙ্গে দুই জেলা কুচবিহার জলপাইগুড়ির অন্তর্গত। জলপাইগুড়ির পাঁচটি এবং কোচবিহারের নয়টি আসনে ভোট হবে। এ বাদে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি আসনে ভোট রয়েছে। যার মধ্যে হাওড়ার নয়টি বিধানসভা, হুগলির ১০ টি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১১ টি বিধানসভা শামিল রয়েছে।
বিস্তারিত পড়ুন: ভোট চতুর্থী: ভাগ্য পরীক্ষায় একাধিক হেভিওয়েট, কোথায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের ৪৪ আসন?
কলকাতা: শেষ হল নন্দীগ্রামের (Nandigram) তৃণমূল (TMC) কর্মী রবীন মান্নার লড়াই। ১৪ দিন পর এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে মৃত্যু হল তাঁর। ২৬ মার্চ, নন্দীগ্রামে নির্বাচনের দিন (West Bengal Assembly Election 2021) আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। চিকিৎসার জন্য তাঁকে আনা হয়েছিল কলকাতা। শুক্রবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর।
বিস্তারিত পড়ুন: লড়াই শেষ! মৃত্যু হল নন্দীগ্রাম নির্বাচনের দিন ‘আক্রান্ত’ সেই তৃণমূল কর্মীর
ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগে ফের রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত শীতলকুচি (Shitalkuchi)। অভিযোগ, বিজেপি ও তৃণমূলের এলাকা দখলের লড়াইকে ঘিরেই শুক্রবার উত্তেজনা ছড়ায় শীতলকুচি বিধানসভার উত্তর নলগ্রামে। ঘটনায় আহত হন দু’পক্ষেরই বেশ কয়েকজন। গত বুধবারই এই শীতলকুচিতে নির্বাচনী সভা করতে এসে আক্রান্ত হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ভোটের আগের দিন আবারও উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়।
বিস্তারিত পড়ুন: ফাটল মাথা, কাটল গাল; ভোটের আগের দিন ফের উত্তপ্ত শীতলকুচি
বর্ধমান উত্তর ও দক্ষিণে জনসভা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
ফসলের জন্য, সবুজের জন্য গর্ব বর্ধমান। সারাদেশে যখন ইকোনমির গ্রাফ নীচে নামছে তখন বাংলা এগিয়ে যাচ্ছে। আজকে আমি যে শাড়ি পরে আছি, এটা আমার ডিজাইন করে দেওয়া, বর্ধমানের তাঁতিরা বানিয়ে দেন। ওঁরা তাঁত বোনেন। সেই সব কাপড় আমরা কিনে নিই। দুটো তাঁতের হাট করে দিয়েছি। সেল্ফ হেল্পের মেয়েরা কত আয় করে এই কাজ করে। আজ স্বাস্থ্যসাথী, সবুজসাথী, কন্যাশ্রী সব করে দিয়েছি। আমরা চাল কিনি চাষিদের থেকে। সেখানে খরচ পড়ে প্রায় ৩১ টাকা মতো। সেই চাল আমরা ২টাকা কেজি দরে দিয়েছি। এ বার সেই চাল বিনাপয়সায় পাবেন। বাড়ি বাড়ি পৌঁঁছবে রেশন। আপনাদের এখানে অনেক ব্যবসা হবে। ল্যাংচা হাব বানিয়ে দিয়েছি। ডানকুনি থেকে সিঙ্গুর থেকে পানাগড়, বরজোরা হয়ে বর্ধমান পর্যন্ত ফ্রেড করিডর হবে। ৭২ হাজার কোটি টাকা খরচ করছি। লক্ষ লক্ষ ছেলেমেয়ের চাকরি হবে। বীরভূমে কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হবে। সেটা তৈরি হয়ে গেলে আগামী একশো বছর বিদ্যুতের অভাব হবে না। সামাজিক সুরক্ষাতেও কোনও খামতি আছে! বাকি একটাই আছে, জোড়াফুলকে ভোট দেওয়া। ইঁটভাটা বন্ধ হচ্ছে না। অনেক কর্মীরা কাজ করেন। পোলট্রি করুন ভাল করে। ফ্রিতে গরু-ছাগল-হাঁস-মুরগি দিচ্ছি। আর বিজেপি খালি গোর্বধন দিচ্ছে। ব্যাঙ্কে গেলে টাকা নয়, গোবর্ধন দেবে। আমরা অনেক কাজ করেছি। বাকি কাজও করবে। বর্ধমানে বিজেপি প্রার্থী পদ নিয়ে আগুন লাগিয়েছিল। ওদের দেখে আমার সাইবারি সন্ত্রাসের কথা মনে পড়ে। এদের ভোট দেবেন! এদের দয়া করে ভোট দেবেন না। হাতপাখা নিয়ে বিজেপিকে তাড়া করবেন। পাখাও দিচ্ছেন, বাড়িও দিচ্ছেন। এটা তো ভালবাসার জিনিস! বন্দুক নয়, বোমা নয়! একদম পাখার বাঁট দিয়ে মারবেন! খুব লাগে জানেন তো! গ্যাস জ্বালাবেন আর নাম করে বলবেন, শয়তান কোথাকার! আমি গোল্ড কার্টে চলে যাব, কোড অফ কন্ডাক্ট করতে করতে, তবু আমি সভা করব। খেলা হবেই। : মমতা
বঙ্গ ভোটে আজ নদিয়ার চাকদহতে রোড শো সারলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। এ দিন, প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ ট্যাবলোতে চড়ে অতিক্রম করেন নাড্ডা। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির প্রার্থী বঙ্কিম ঘোষ। এরপর জনসভায় বক্তব্য রাখেন নাড্ডা। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির দাবি, দিদির শাসনকাল শেষ। তোলাবাজি কাটমানি আর তুষ্টিকরণের সরকার বেশিদিন চলবে না। এ বার ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।
বঙ্গ ভোটের চতুর্থ দফার মাত্র চব্বিশ ঘণ্টা আগে পথে-প্রচারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মুখ্য়মন্ত্রীর পাড়া ভবানীপুরে ভোটারদের দরজায় বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষের সমর্থনে প্রচার সারছেন অমিত শাহ। ছোট থেকে বড় সকলের মধ্যেই উৎসাহ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাস তালুকে এসে অমিত শাহ জানান, রুদ্রনীল অত্য়ন্ত জ্ঞানী প্রার্থী। তিনি ভবানীপুরে জিতবেন বেশ বড় মার্জিনে। দাবি শাহের। বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিফলেট বিলি করছেন শাহ। ‘গৃহ’মন্ত্রী হতে চাওয়ার নজিরবিহীন চেষ্টা শাহের। প্রসঙ্গত, ভবানীপুরে সংগঠন বাড়িয়েছে বিজেপি। ঘরের লোক হয়ে ওঠার চেষ্টায় কোনও খামতি নেই শাহি প্রচারে। রাস্তা জুড়ে মানুষের ঢল।
সবচেয়ে জঘন্য ওই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কাড়ি কাড়ি টাকা না! টাকা ছড়াচ্ছেন! ভাবছেন সব কিনবেন টাকা দিয়ে! কিনুন। কত কিনবেন! কতদিন কিনবেন! বলি, এত টাকা পান কোথায়! এত এত টাকা! কত কত খরচ করেন এক একটা মিটিংয়ে! হিসেব দেবেন! আমি জানি, আমি এসব বলার পরেই আপনারা আমায় খুন করার চক্রান্ত করবেন। অলরেডি পা খোঁড়া করে দিয়েছেন। জেনে রাখুন আমি ভয় পাই না। আমি বাঘের বাচ্চার মতো লড়ব। দেখি আপনারা কী করেন! কেউ প্রতিবাদ না করলে আমি করবই। লড়াই হবেই। মা-বোনেরা ভয় পাবেন না। লড়াই করবেন। হারবেন না। আপনাদের মত থাকলে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেবেন। শুনুন, আমাদের দল টা খুব মজাদার একটা দল। আমরা ভাবি, যারা আছে আমাদের দলে তারা ছাড়াও সকলে আমাদেরই লোক। বিজেপির মতো ছদ্মবেশী সাধু নই। তাই হাতা-খুন্তির খেলা হবে। এটা মনে রাখবেন। আসুন খেলি। বল লুফতে না পারলে কিন্তু ফাইন হবে। পাঁচশো টাকা ফাইন। সেটা নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হবে। আসুন মা-বোনেরা খেলা হবে। এটা সিম্বলিক খেলা। খেলা হবে। এইভাবে খেলত হবে। :মমতা
ভোটে কম কারচুপি করছে! সারাক্ষণ কী করবে বুঝতে পারছে না। আমি পরিষ্কার বলি, কেন গ্রামে গ্রামে গিয়ে কাউকে ভয় দেখাবে পুলিশ! কেন মা-বোনেদের ভোট দিতে দিচ্ছে না! ভাবছে আমি জানিনা! জানেন, বাইরে থেকে গুন্ডাগুলোকে পুলিশ সাজিয়ে আনছে আর অত্যাচার করছে! আমি রাজ্য় পুলিশ আর কেন্দ্রীয় বাহিনীর দোষ দেখিনা। দোষ হল সব অমিত শাহের। ও একটা গুন্ডা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে পুলিশকে দিয়ে এসব কাজ করাচ্ছে। আমাদের লোকাল কিছু পুলিশকেও কিনেছে। নিচুতলার পুলিশ নয়, উঁচু তলার পুলিশ। আমি কিন্তু সব খবর রাখি। সময়ে কলারটা চেপে ধরব। নন্দীগ্রামে সেদিনকেও অশান্তি করেছে। অমিত শাহ প্ল্যান করে মারধর করাচ্ছে। গতকালও খানাকুলে আমার কর্মীকে খুন করেছে। শুনুন, ওরা একদিন থাকবে আমি থাকব ৩৬৫ দিন! আমি কিন্তু দেখে নেব, কে কত ঝামেলা করতে পারে! আমি নিচুতলার পুলিশ কর্মীদের বলব আপনারা ভাল থাকুন, ভাল করে কাজ করুন। আর উঁচু তলার পুলিশকে বলব, মনে রাখবেন টাকা আসে টাকা যায়, বসন্ত থেকে যায়। মোদীকে বলব, আপনার গৃহমন্ত্রীকে নিয়ন্ত্রণ করুন। দাঙ্গা লাগাচ্ছে, সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। আমার লজ্জা লাগে আজ যে বলতে হয় আমার পদবি বন্দ্য়োপাধ্যায়। আমি হিন্দু ঘরের ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়ে। আমার লজ্জা লাগে। মানুষের আবার ব্রাহ্মণ-কায়স্থ-হিন্দু মুসলিম কী! মানুষ মানুষই। সেটাই তার পরিচয়। :মমতা
বিজেপি ভোট নিয়ে কী করবে! খেয়ে খেয়ে তো গাল গুলো ফুলে ফুলে মোটা হয়ে গিয়েছে। আগে একটা বিড়ি তিনবার টানত। এখন তো খেয়ে খেয়ে মোটা হয়ে গিয়েছে। ভোট টা নিজে দিন। মিথ্য়াবাদী দল একটা। গ্যাসের দাম করেছে কত! ওই গ্যাসে মোদীকে ফোটান। সব বেচে দিয়েছে! বেচে দে পার্টি একটা! : মমতা
পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা।
আমি আপনাদের সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। আজ কিন্তু ঝড়জলের পূর্বাভাস আছে। পায়ে চোট, ছ্যাঁচরাতে ছ্যাঁচরাতে চলতে হচ্ছে। তবে মা-বোনেরা আমার সঙ্গে আছেন। আপনারাই আমার আদর্শ। এটা বাংলার ইজ্জত বাঁচানোর নির্বাচন। বুঝতে পারছেন মা-ভাইবোনেরা। আমরা বিজেপির মতো ভণ্ড তপস্বী নই। আমরা যা যা বলেছি তাই তাই করেছি। মণ্ডল কমিশনের কিছু নাম আছে যাঁরা ওবিসিতে নেই। যাঁরা বঞ্চিত, তাঁদের জন্য নতুন করে কমিশন তৈরি হবে। বর্ধমানে কত উন্নয়ন হয়েছে। মাত্র আধঘণ্টায় কালনা থেকে নবদ্বীপ চলে যাবেন। সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা দিয়েছি। যদি মে মাসে, সিদিকুল্লা, মধুসূদন জেতে তবে প্রান্তিক চাষিরা পাঁচ হাজার টাকা ও চাষিরা দশ হাজার টাকা পাবেন। রেশন যাবে দুয়ারে দুয়ারে। মহিলাদের জন্য লক্ষ্ণী ভাণ্ডার। পড়ুয়াদের বলছি, যাঁঁরা পিইএইচডি করছেন তাঁদের তো ইউজিসি গ্রান্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সমস্ত পড়ুয়াদের জন্য দশ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে।
কমিশন ঠিক করবে নির্বাচন কখন হবে, কেমন হবে কীভাবে হবে। নির্বাচন কমিশনের উর্ধ্বে আর কেউ নয়। সেই ক্ষেত্রে বুঝতে হবে কোভিড প্রোটোকল কীভাবে মানা হবে তা কমিশনের স্পষ্ট নির্দেশ আছে। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে বৈঠক করেছেন ও আলোকপাত করেছেন। বিধান পরিষদ গঠনের ক্ষেত্রেও তাই। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করবেন বিধান পরিষদ হবে কি না। সে বিষয়টি এখনই আলোচ্য নয়। তিনিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে দিদির দিন শেষ হয়ে এসেছে। আমি খবর পেয়েছি সংবাদমাধ্যমের উপর হামলা হয়েছে। কোনওরকম হামলাই কাম্য নয়। আমরা অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। : অমিত শাহ
গঙ্গাসাগর মেলাকে আন্তর্জাতিক পরিচয় দিতে ২৫০০ কোটি টাকার ফান্ড তৈরি করা হবে। নেতাজি ও আজাদ হিন্দ ফৌজ কার্যনির্বাহী বাহিনীর জন্য় হাজার কোটি টাকা দেওয়া হবে। বাংলা ভাষাকে প্রথম ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দানের চেষ্টা করা হবে। সরকারি কাজে বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক করা হবে। সব সব স্কুলে বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক করা হবে। এখানে দিদির শাসন ঠিক নেই। আমরা চাই, বাংলার মানুষ সত্যটা বুঝুক। বাংলার সংস্কৃতি, কলকাতার উন্নয়ন নিয়ে আমরা একটি পরিকল্পনা ছকে ফেলেছি। সেই অনুযায়ী কাজ হবে। সোনার বাংলা তৈরি হবে। কমিউনিস্ট বা কংগ্রেসরা গুন্ডারাজ শেষ করতে পারবেন না। মমতা দিদি একদিন বলতেন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করালে আর রিগিং হবে না। আজ তিনিই বলেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী অত্যাচার করছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলেই সিএএ (CAA) চালু হবে। সেই অনুযায়ী, সকলকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে ও পুুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। : অমিত শাহ
একের পর এক দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হচ্ছে। সব ক্ষেত্রেই বাংলা পিছিয়ে যাচ্ছে। সব দিকেই তালিকায় শেষের দিকে। বেকারত্ব বেড়েছে। আজ কেন মানুষ বিজেপিকে চাইছে? দিদিকে তো এটা বুঝতে হবে। কেন্দ্রীয় প্রকল্প মানুষের কাছে পৌঁছতে দেন না। বিজেপির সরকার এলে ৩০ হাজার কোটি টাকা উজ্জ্বলা যোজনায় খরচ করা হবে। রাজ্যজুড়ে পরিবহন খাতে খরচ করা হবে। ৭৫ লাখ কৃষক ১৮ হাজার টাকা করে পাবেন। মহিলাদের জন্য কেজি থেকে পিজি পর্যন্ত বিনাপয়সায় পড়াশোনা। ৩৩ শতাংশ সরকারি চাকরি মহিলাদের জন্য সুরক্ষিত করা হবে। দিদি তো কমিউনিস্টদেরও সহ্য করতে পারেন না। তিনি তো রাজবংশী, গোর্খা কাউকে নিয়ে ভাবেন না। ক্ষমতায় এসে উত্তরবঙ্গে এইমস তৈরি করা হবে। উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতা পর্যন্ত সড়ক তৈরি হবে। নেতাজির নামে ৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে এই সড়ক। তৈরি হবে নতুন চা-বাগান। চা-এর গুণাগুণ নিয়ে গবেষণাগার তৈরি করা হবে। পরিবার প্রতি একজনের চাকরি সুনিশ্চিত করবে বিজেপি। কলকাতার উন্নয়ন খাতে ২২ হাজার কোটি টাকা খরচ। কলকাতাকে ভারতের দ্বিতীয় আর্থিক রাজধানী বানানো হবে। দিদি, মোদীর জনপ্রিয়তাকে ভয় পান। সেইজন্য ভুলভাল বকছেন। কলকাতার সর্বত্র সিসিটিভি বসানো হবে। গুন্ডা দমন করা হবে।
কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠকে অমিত শাহ।
বিজেপিকে বাংলার এত মানুষ আপন করেছেন আমরা আপ্লুত। মুখ্য়মন্ত্রীকে বলতে চাই, আপনি সাধারণ জ্ঞানটি কাজে লাগান। সিআরপিএফ ভোট করায় না। আমার রাজনৈতিক জীবনে এমন মন্তব্য শুনিনি। হার নিশ্চিত জেনেই এমন মন্তব্য করছেন দিদি। সিআরপিএফকে ঘেরাও-এর কথা কেন বলছেন মমতা? উনি যেভাবে সংখ্যালঘুদের থেকে ভোট চেয়েছেন তা থেকেই বোঝা যায়, তৃণমূলের হার নিশ্চিত। ওঁর অ্যানালিসিস করা উচিত কেন সাধারণ মানুষ আপনার বিরুদ্ধাচারণ করছেন। দিদি, আপনার রাজ্যে তুষ্টিকরণ, তোলাবাজি, সিন্ডিকেটরাজে ভরে গিয়েছে। ভেবে দেখুন মুখ্যমন্ত্রী। :অমিত
ময়নাগুড়িতে বিজেপি প্রার্থী কৌশিক রায়ের সমর্থনে ময়নাগুড়িতে রোড শো করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এদিন ময়নাগুড়ি বাইপাস সংলগ্ন এলাকা থেকে এই রোড শো টি শুরু হয়৷ এরপর গোটা ময়নাগুড়ি শহর পরিক্রমা করেন। সঙ্গে বিজেপি কর্মীরা পায়ে হেঁটে বিজেপি কর্মীরা গোটা ময়নাগুড়ি শহর পরিক্রমা করেন।
বিজেপির এই রোড শো’কে কেন্দ্র করে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। এদিনের রোড শোতে প্রথমে রাখা হয়েছিল ঢাক। মিছিলে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। এদিনের এই রোড শোতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়, বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী সহ অন্যান্যরা।
চতুর্থ দফা ভোটের আগে পর পর নির্বাচন কমিশনের দুটি নোটিস এল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে (central force) নিয়ে করা মন্তব্যের জেরে তৃতীয় নোটিশ পেলেন মমতা। আগে সংখ্যালঘু মন্তব্যের জেরে নোটিস দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। এবার ফের জবাব তলব করল কমিশন (Election Commission)।
বিস্তারিত পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে মন্তব্য কেন? জবাব চেয়ে ফের মমতাকে নোটিস কমিশনের
শুক্রবার মমতার গড় ভবানীপুরে গিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। আর তার ঠিক আগের রাতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভবানীপুরের চেতলা। বিজেপি তৃণমূল (BJP-TMC) সংঘর্ষের জেরে কার্যত রণক্ষেত্র চেহারা নিল চেতলা। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)। বিজেপি কর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে ওই এলাকায়।
বিস্তারিত পড়ুন: খুন ধর্ষণের হুমকি! শাহের প্রচারের আগেই সংঘর্ষে উত্তপ্ত ভবানীপুর