Sukanta Majumdar Arrested: বিদ্যাসাগর সেতু থেকে গ্রেফতার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার
সকাল থেকেই বারবার বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁকে।
কলকাতা: গ্রেফতার করা হল বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। শনিবার রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে গ্রেফতার করা হয়। বিদ্যাসাগর সেতু থেকে গ্রেফতার হন তিনি। কলকাতা পুলিশের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় তাঁকে। এদিন হাওড়া যাওয়ার জন্য নিউটাউনের বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর গাড়ি দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে উঠতেই আটকানো হয়। এরপরই তাঁকে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। এদিকে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোল প্লাজায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল এদিন দুপুর থেকে। টোলপ্লাজায় ছিলেন ডিসি সাউথ কলকাতা। টোলপ্লাজার সামনে ছিলেন সদর ও নর্থ ডিভিশনের ডিসি। সেতুতে গাড়ি উঠতেই ‘বাধা’র মুখে পড়ে সুকান্ত মজুমদারের কনভয়। লালবাজারের সেন্ট্রাল লকআপে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
হুগলির পুরশুড়ার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ বলেন, “আজ সকাল থেকেই আমাদের রাজ্য সভাপতিকে বাড়ির বাইরে না বেরোতে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছিল। দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজের কাছে গ্রেফতার করা হয়। আমরাও ছিলাম সেখানে। উনি এখন ভিতরে।” এদিকে এই ঘটনার পরই লালবাজারে পৌঁছন অগ্নিমিত্রা পল।
আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল কর্তব্যরত পুলিশের সঙ্গে বচসায়ও জড়ান। অগ্নিমিত্রার বক্তব্য, তিনি ভিতরে যাবেন। তাঁদের রাজ্য সভাপতি যেহেতু ভিতরে, তিনি দেখা করবেন। নাছোড় অগ্নিমিত্রা বারবার বলতে থাকেন, ” আই এম দ্য জেনারেল সেক্রেটারি অব দ্য পার্টি। আমি আমার প্রেসিডেন্টের কাছে যাবই।” এই নিয়ে পরিস্থিতি ঘোরাল হয়ে ওঠে। সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক বিমান ঘোষও। বিজেপি বিধায়কদের বক্তব্য, এই দেখা করতে যাওয়া তাঁদের সাংবিধানিক অধিকারের মধ্যে পড়ে।
এদিন সকালেই নিউটাউনে সুকান্ত মজুমদারের বাড়ির সামনে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। তিনি বাড়ি থেকে বেরোতে গেলে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান জনতা। পাশাপাশি পুলিশ তাঁকে কার্যত গৃহবন্দি করে রাখার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সুকান্ত তখনই বলেছিলেন, তাঁকে অন্যায়ভাবে আটকানোর চেষ্টা করছে পুলিশ। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমি সকাল থেকে বসে আছি। আমার পার্টি অফিসে যাব, হাওড়া যাব। সেখানে আমার কর্মীদের সঙ্গে দেখা করব। আটকে দেওয়া হয়েছে।” এরপরই হাওড়ার পথে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
এই ঘটনার পরই ফেসবুকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, ‘হাওড়া যাওয়ার পথে রাজ্য বিজেপির সভাপতি ও মাননীয় সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্য বিজেপির সম্পাদিকা; বিশিষ্ট আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালকে, রাজ্য প্রশাসন পুলিশকে অপব্যবহার করে যেভাবে আটকাল তার তীব্র নিন্দা করছি।’