শিক্ষক-চিকিত্সক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে আরটিআই দাখিল ডক্টর্স ফোরামের
ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরামের এই যুক্তির বিরোধিতা করে মোট ১৯ টি প্রশ্ন তোলা হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম প্রশ্ন- কত জন এমবিবিএস, এমডিএমএসরা এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ পেয়েছেন?
কলকাতা: শিক্ষক-চিকিত্সক নিয়োগে (Teacher Doctor Recruitment) দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তথ্যের অধিকার আইনে (আরটিআই) (RTI) আবেদন দাখিল করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম (West Bengal Doctors Forum)। বিগত কয়েক দিন ধরে নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছিল। যার প্রেক্ষিতে বুধবার পর্যন্ত হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের বক্তব্য ছিল, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও দুর্নীতি হয়নি। এমডি-এমএস পদের যোগ্য প্রার্থীরা অনাপত্তি পত্র (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) জোগাড় করে উঠতে পারেননি। যে কারণে অনেক এমবিবিএস-কে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরামের এই যুক্তির বিরোধিতা করে মোট ১৯ টি প্রশ্ন তোলা হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম প্রশ্ন- কত জন এমবিবিএস, এমডিএমএসরা এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ পেয়েছেন? তাঁদের তালিকা প্রকাশের দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে সুযোগ পাওয়া প্রার্থীরা কে কত নম্বর পেয়েছেন সেটাও সামনে আনতে বলা হয়েছে তথ্য জানার অধিকার আইনে। চিকিৎসক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আদৌ দুর্নীতি হয়েছে নাকি গোটা প্রক্রিয়া স্বচ্ছভাবে হয়েছে, সেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে এই তথ্যগুলি প্রকাশ্যে এলেই। এমনটাই মনে করছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম।
প্রসঙ্গত, শিক্ষক-চিকিৎসকের নিয়োগ ঘিরে বিতর্কের অভিমুখ ছিল তিনটি। তার মধ্যে প্রথমটি ছিল বিজ্ঞপ্তিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একই ব্যক্তি কীভাবে একাধিক বিষয়ে নিয়োগ পেলেন সেই প্রশ্ন। দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিল, এমডি-এমএস’দের টপকে মাত্রাতিরিক্ত এমবিবিএসদের কেন নিয়োগ করা হল? তৃতীয় অভিযোগ ছিল, এমবিবিএস হয়েও তৃণমূলের শীর্ষ নেতার ছেলে বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সে নিয়োগ ঘিরে।
আরও পড়ুন: মেডিক্যাল কলেজগুলিতে শিক্ষক-চিকিৎসক নিয়োগ ঘিরে ব্যাপক বেনিয়মের অভিযোগ
এ বিষয়ে হেলথ রিক্রুটমেন্ট কর্তাদের বক্তব্য, নিউরো মেডিসিনে কোনও ডিএম ক্যান্ডিডেট ছিলেন না। ঠিক তেমনই প্লাস্টিক সার্জারিতে কোনও আবেদন জমা পড়েনি। সিটিভিএস, জিরিয়াট্রিক মেডিসিনেও আবেদনের সংখ্যা নগন্য ছিল বলে দাবি করেছে তারা।
আরও পড়ুন: আরএমও নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগে ‘আংশিক’ মান্যতা স্বাস্থ্য দফতরের