Fake Call Centre: ইন্টারনেটের স্পিড বাড়ানোর নামেও জালিয়াতি? গ্রেফতার ১৩
Bidhannagar: পুলিশের কাছে খবর আসার পর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তারা মামলা করে তদন্ত শুরু করে।
কলকাতা: টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ। সংস্থার দুই ডিরেক্টর-সহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম (Cyber Crime) থানার পুলিশ। টেকনিক্যাল সাপোর্ট হিসাবে বিভিন্ন ডিভাইসে ইন্টারনেটের স্পিড সংক্রান্ত বিষয়টি ওই সংস্থা দেখত হবে অভিযোগ। বাইরের একটি সংস্থার নাম করে এই চক্র কাজ করত বলেও অভিযোগ। সল্টলেক সেক্টর ফাইভে সেই আন্তর্জাতিক ভুয়ো কলসেন্টারে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার শাখার পুলিশ। শনিবার ধৃতদের বিধাননগর আদালতে তোলা হয়।
বিশেষ সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন ধরেই সল্টলেক তথ্যপ্রযুক্তি নগরীর ইপি ব্লকে ওই ভুয়ো কলসেন্টারটির রমরমা চলছিল। এই সংস্থা দেশের বাইরের ক্লায়েন্টদের সঙ্গে কাজ করত। টেকনিক্যাল সাপোর্ট ডিভাইসে ইন্টারনেট গতির প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার নামে কয়েক কোটি টাকা প্রতারণা করে বলে অভিযোগ ওঠে। মূলত বিদেশিদের কাছ থেকে এই টাকা হাতানো হতো বলে অভিযোগ।
সাইবার ক্রাইম বিভাগের পুলিশের কাছে খবর যায়। এরপরই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত। জানা গিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, এটিএম কার্ড, ইন্টারনেটের রাউটার, ব্যাঙ্কের পাসবই-সহ বেশ কিছু নথি পাওয়া গিয়েছে।
প্রায় প্রায়ই ভুয়ো কলসেন্টারের হদিশ মেলে সেক্টর ফাইভে। কার্যত চমকে দেওয়ার মতো তথ্যও উঠে আসে সেখান থেকে। শহরের বুকে একেবারে সাজিয়ে খোলা হয় এইসব ভুয়ো কলসেন্টার। একাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, উচ্চমানের গেজেটসে সেজে ওঠে সেসব ঝাঁ চকচকে অফিস। একাধিক ল্য়ান্ডলাইন, মোবাইল ফোনে ঘন ঘন রিং। ভুয়ো কলসেন্টার খুলে বিভিন্ন ব্যবসা চলে। সেক্সটরশনেরও খোঁজ মেলে এরকম একাধিক কলসেন্টার থেকে। দেশে, বিদেশে ক্লায়েন্ট ধরে কোটি কোটি টাকার খেলা চলে