Dilip Ghosh: সিবিআই-সেটিং নিয়ে কিছুতেই মত বদলাবেন না, দিলীপ বললেন, ‘আমার বুকে জ্বালা আছে, আমি বলবই…’
Dilip Ghosh: দিলীপ বলেন, "আমার কোনও অস্বস্তি নেই। যে সিবিআই আমার ৬০ জন কর্মী হত্যার একজনকেও ন্যায় দিতে পারেনি, সেই সিবিআইকে আমি বলবই।
কলকাতা: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। যে কোনও কিছুতেই এ রাজ্যের বিরোধী দল সিবিআই তদন্তের দাবি করে। তাঁদের এই জোরাল দাবিতে রাজ্যবাসীর অন্তত এটুকু বুঝতে অসুবিধা হয় না, সিবিআই তদন্তে তারা ১০০ শতাংশ বিশ্বাসী। কিন্তু বিজেপির বাকি নেতারা যাই বলুন না কেন, গত কয়েকদিনে একাধিকবার সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে সংশয় শোনা গিয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলায়। সিবিআইয়ের সঙ্গে শাসকদলের ‘সেটিংতত্ত্ব’ শুনিয়েছেন বিজেপির এই নেতা। সূত্রের খবর, এরপরই নাকি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য নিয়ে রিপোর্ট তলব করে কেন্দ্রীয় বিজেপি। রাজ্য কমিটির কাছে রিপোর্ট চায় তারা। যদিও দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, এমন কোনও কথা তাঁর জানা নেই। বরং রবিবারের পর সোমবারও জোর গলায় দিলীপ জানিয়েছেন, নিজের বক্তব্যে অনড় তিনি। বক্তব্যে কোথাও কোনও ভুল আছে বলে মনে করেন না তিনি।
দু’দিন ধরে বঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক চলছে হেস্টিংসে। সোমবার সেখানেই দিলীপ ঘোষ বলেন, “রাজ্য কমিটির কাছে রিপোর্ট চাইলে আমার কিছু করার নেই। সেটা ওরাই বলবে। আমার যা বলার তা আমি বলে দিয়েছি। আমি এ নিয়ে কিছু জানি না। যার কাছে রিপোর্ট চেয়েছে, সে জানে। আমার কাছে এ নিয়ে কোনও তথ্য আসেনি।”
এরপরই সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, দিলীপ ঘোষের এই সিবিআই-সেটিং তত্ত্ব দলকে কি অস্বস্তিতে ফেলল না? শুনে কিছুটা বিরক্তই হন দিলীপ ঘোষ। স্বভাবসিদ্ধ আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গিতে দিলীপ ঘোষকে বলতে শোনা যায়, “আমার কোনও অস্বস্তি নেই। যে সিবিআই আমার ৬০ জন কর্মী হত্যার একজনকেও ন্যায় দিতে পারেনি, সেই সিবিআইকে আমি বলবই। আমি রাজনীতি করি। কারও দায় আমার নেই। আমি কর্মীদের সঙ্গে আছি। ১০০ জন কর্মীর মৃতদেহের উপর মালা দিয়েছি। আমার বুকে জ্বালা আছে আমি বলব। কোনও কারও, কোনও সিবিআই, কোনও পুলিশ, কোনও সরকারের দায় আমার নেই। আমি রাজনীতি করে এসেছি। আমি ন্যায় চাই।”
প্রসঙ্গত দিলীপ ঘোষ রবিবার বলেছিলেন, “গত কয়েকমাস ধরে এখানে সিবিআই তদন্ত চলছিল। কিন্তু তার কোনও প্রভাব ছিল না, কোনও তথ্য আসছিল না, কেউ ধরা পড়ছিল না। কারণ কী? সর্ষের মধ্যে ভূত ছিল। জানার পর কিছু অফিসারকে পরিবর্তনও করা হয়েছে। যা হয় আর কী। সবার একটা পেট আছে। সবাই বিক্রি হয়। তাঁর দাম থাকে। কেউ লাখে, কেউ কোটিতে, কেউ একশো কোটিতে। সেভাবে বিক্রি হচ্ছিল। এটা সরকার বুঝতে পেরেছে। আমি যতদূর শুনেছি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বিশেষ প্রয়াসে ইডি এসেছে। তারপর কাজ শুরু হয়েছে। যারা সেটিং করছিলেন, তাঁদের কেউ কেউ মন্তব্যও করেছেন, এতদিন তো কোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করছিল। ইডি কোথা থেকে ছুটে এল। ইডিকে সরানোর জন্য কোর্টেও গেছে।”
এদিকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা দলেরই এক প্রথমসারির নেতা যখন এমন কথা বলছেন, তার পাল্টা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য ছিল, “দিলীপদা কোথা থেকে বললেন আমাদের জানা নেই। কেন্দ্রীয় এজেন্সি কীভাবে কাজ করে সেটা কোনও রাজনৈতিক নেতার পক্ষে জানা সম্ভব নয়। আমার পক্ষেও জানা সম্ভব নয়। যদি কেউ মন্ত্রী হন তা হলেই তাঁর পক্ষে তা জানা সম্ভব। আমাদের এই বিষয়ে কোনও ইনফরমেশন নেই। তবে তারা নিরপেক্ষ সংস্থা, নিরপেক্ষভাবেই কাজ করে। তারা কাজ করছে। “