Suvendu Adhikari: রাজীব সিনহাকে কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করাতেই রাজ্যে মৃত্যু মিছিল: শুভেন্দু
Suvendu Adhikari: রাজীব সিনহাকে কমিশনের দায়িত্বে বসানোর যে সিদ্ধান্ত রাজ্যপাল নিয়েছেন, তা থেকেই সব সমস্যা শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যপাল চাইলেই এই সমস্যা অনেক আগেই সমাধান করা যেত।
কলকাতা: রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) মনোনয়ন পর্বেই দফায় দফায় সংঘর্ষ। অশান্তি। উত্তপ্ত হয়েছে বাংলা। প্রশ্ন উঠেছে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে। কেউ কোথাও কোনও সমস্যায় পড়লে, তা জানানোর জন্য রাজভবনে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। রাজ্যপালের ভাষায়, পিস-রুম। আর এদিকে রাজীব সিনহাকে কমিশনের দায়িত্বে বসানোর যে সিদ্ধান্ত রাজ্যপাল নিয়েছেন, তা থেকেই সব সমস্যা শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যপাল চাইলেই এই সমস্যা অনেক আগেই সমাধান করা যেত। শুভেন্দুর দাবি, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রাজীব সিনহাকে নিয়োগ করাতেই এই যাবতীয় সমস্যার সূত্রপাত হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজ্যের প্রস্তাবিত নামের তালিকার ভিত্তিতেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। সৌরভ দাসের নির্বাচন কমিশনার হিসেবে মেয়াদ পূরণের পর, রাজ্যের তরফে প্রথমে রাজীব সিনহার নাম পাঠানো হয়েছিল রাজভবনে। কিন্তু কেন শুধুমাত্র একজনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তারপর নবান্ন থেকে রাজীব সিনহা-সহ তিনজনের নামের তালিকা পাঠানো হয় রাজভবনে। প্যানেলে বাকি দু’জন ছিলেন এম ভি রাও বা অজিত বর্ধন। কিন্তু সেই তিনজনের প্যানেল থেকে রাজীব সিনহাকেই শেষ পর্যন্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে নিযুক্ত করেছিলেন রাজ্যপাল। আর এখানেই আপত্তি শুভেন্দুর।
শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজ্যপালের সব রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করার। কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে ও আইবি-র থেকে রিপোর্ট নেওয়া প্রয়োজন ছিল বলেও মনে করছেন তিনি। বললেন, ‘রাজীব সিনহাকে নিয়োগ করার ফলেই আজ পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যুর মিছিল চলছে।’ যদিও গত কয়েকদিনে রাজ্যপাল যে উদ্যোগ নিয়েছেন, যে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন… তাকে স্বাগত জানিয়েছেন শুভেন্দু।
উল্লেখ্য, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রাজীব সিনহার নিয়োগ নিয়ে শুরু থেকেই ঘোর আপত্তি রয়েছে শুভেন্দুর। এর আগেও এই নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বলেছিলেন, তিনি চাইলেই আটকাতে পারতেন রাজীব সিনহাকে। কিন্তু শুভেন্দুর বক্তব্য ছিল, যখন রাজ্যপালের সেই কাজ করার দরকার ছিল, তখন তিনি সেটি করেননি। এমনকী প্যানেলের বাকি দু’জন রাজীব সিনহার মতো হতেন না বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।