Article 355: ‘এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে, ৩৫৫ লাগবেই’, শুভেন্দুর ভিডিয়ো দেখিয়ে আক্রমণ তৃণমূলের, ব্যাখ্যা দিল বিজেপি
Kunal attacks Suvendu: কুণালের আক্রমণের পর টিভি নাইন বাংলার তরফে প্রশ্ন করা হয়েছিল বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কাছেও। তাঁর ব্যাখ্যা, বাংলার সাধারণ মানুষ যা চাইছেন, সাধারণ মানুষের যা দাবি, সেটাই তুলে ধরা বিরোধী দলনেতার কাজ এবং তিনি সেটাই করছেন।
কলকাতা: বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের একটি অংশ নিয়ে জোর চর্চা চলছে রাজ্য রাজনীতিতে। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। তাতে ৩৫৫ ধারা প্রসঙ্গে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে। ডেরেকের পোস্ট করা ওই ভিডিয়োয় শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘পথই পথ দেখাবে। এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে, ৩৫৫ লাগবেই। এছাড়া কোনও পরিত্রাণ পশ্চিমবঙ্গের নেই। অনেক জিনিস করাতে হয়। কী করে করাতে হয়, আমি জানি।’ যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি টিভি নাইন বাংলা। তবে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপিকে আক্রমণ করতে শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল শিবির।
EXPLOSIVE VIDEO REVEALS WHO WAS BEHIND VIOLENCE IN BENGAL RURAL POLLS@SuvenduWB BJP Leader of the Opposition in Bengal on camera!
“We have to create an atmosphere where Article 355 (emergency provisions) will have to be implemented. I know how to get all this done.” pic.twitter.com/vWuiwu2SUj
— Derek O’Brien | ডেরেক ও’ব্রায়েন (@derekobrienmp) July 13, 2023
রাজ্যের শাসক দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ আজ বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকেও এই ভিডিয়োর অংশটুকু শোনান। তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, ‘শুভেন্দু বলছে কীভাবে ৩৫৫ জারির মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে হয়!’ বিশেষ করে ‘পরিস্থিতি তৈরি করা’-র মতো শব্দবন্ধগুলির উপর জোর দেন কুণাল ঘোষ। তৃণমূল মুখপাত্রর দাবি, বিরোধী দলনেতার এই ধরনের মন্তব্য ‘হিংসা ও চক্রান্তকে’ প্রকাশ্যে আনছে। হাইকোর্ট যেন এই ভিডিয়োর প্রসঙ্গে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে শুভেন্দুকে গ্রেফতার করে, সেই দাবিও তোলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বোঝাতে চাইলেন, এই ভিডিয়ো থেকে ইঙ্গিত মিলছে, যা কিছু অশান্তি হচ্ছে, তাতে ইন্ধন রয়েছে বিরোধী দলনেতার। কুণালের প্রশ্ন, ‘এই উস্কানিগুলির জন্য ব্যবস্থা হবে না কেন?’
কুণালের এ হেন আক্রমণের পর টিভি নাইন বাংলার তরফে প্রশ্ন করা হয়েছিল বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কাছেও। তাঁর ব্যাখ্যা, বাংলার সাধারণ মানুষ যা চাইছেন, সাধারণ মানুষের যা দাবি, সেটাই তুলে ধরা বিরোধী দলনেতার কাজ এবং তিনি সেটাই করছেন। ৩৫৫ ধারা প্রসঙ্গে বললেন, ‘সারা রাজ্যের মানুষ তো এটাই চাইছে। যে পরিবারের সন্তান মারা গিয়েছে, সেই পরিবার চাইছে। যে বিরোধী দলগুলি আক্রান্ত হয়েছে, যাদের ব্যালট ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে, খেয়ে ফেলা হয়েছে, কালি ঢেলে দেওয়া হয়েছে, নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয়েছে, তারা চাইছে। ভাঙড়ের মানুষ চাইছেন। দিনহাটার মানুষ চাইছেন। সর্বত্র এই পরিস্থিতি। সেই কথাই বিরোধী দলনেতা বলছেন। সাধারণ মানুষের বিরোধী কণ্ঠস্বরকে ঠিক জায়গায় পৌঁছে দেওয়াই বিরোধী দলনেতার কাজ। তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন।’
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারির মতো পরিস্থিতি থাকলেও, তিনি ৩৫৬ ধারার পক্ষপাতী নন। পরিবর্তে ৩৫৫ ধারা জারি করে যাতে তিন মাসের জন্য গ্রামাঞ্চলের থানাগুলিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার আওতায় রাখা হয়, সেই দাবি তুলেছিলেন তিনি। সঙ্গে এই জানিয়েছিলেন, গণতান্ত্রিক উপায়েই অর্থাৎ ভোটে জয়ের মাধ্যমেই বাংলায় পরিবর্তন আনতে চান তিনি।