Partha Chatterjee: জেলে আসছেন ‘হেভিওয়েট’, ছুটির কাগজ নিয়েও জেলেই কাটাতে হল রাত, পার্থর জন্যই কি এই ভোগান্তি অন্যদের?

Presidency Jail: শনিবার সকাল থেকেই প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের বাইরে অভিযুক্তদের পরিজনদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। অনেকেই জানান, শুক্রবার তাঁদের আত্মীয়ের 'রিলিজ' ছিল।

Partha Chatterjee: জেলে আসছেন 'হেভিওয়েট', ছুটির কাগজ নিয়েও জেলেই কাটাতে হল রাত, পার্থর জন্যই কি এই ভোগান্তি অন্যদের?
প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 06, 2022 | 12:38 PM

কলকাতা: প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী আসছেন জেলে। ১৪ দিনের জেল হেফাজত তাঁর। শুক্রবার দুপুর থেকে কার্যত এমন খবর রটে যায় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের অন্দরে। এরপরই তুমুল ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায় কর্তৃপক্ষের। সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায় কোথায় থাকবেন, কীভাবে তাঁর থাকার বন্দোবস্ত করা হবে এই নিয়ে প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষের ব্যস্ততার জেরে জামিন পেয়েও জেলমুক্তি হয়নি অনেকের। শনিবার ফের তাঁদের আত্মীয়রা সংশোধনাগারে আসেন। জামিন পেয়েও অনেকেরই জেলমুক্তি পিছিয়ে গেল একদিন।

শনিবার সকাল থেকেই প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের বাইরে অভিযুক্তদের পরিজনদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। অনেকেই জানান, শুক্রবার তাঁদের আত্মীয়ের ‘রিলিজ’ ছিল। কাগজপত্র নিয়ে এলেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। কারণ, দুপুরের পর থেকে কার্যত খবর রটে যায় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে পাঠানো হতে পারে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।

এদিকে যখনই জেলে কোনও ‘হেভিওয়েট’ আসেন, তার জন্য একটা আলাদা ব্যবস্থা থাকে, নিরাপত্তার দিকটি দেখতে হয়। শুক্রবার দুপুর থেকে এসব নিয়ে চরম ব্যস্ততা শুরু হয় প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষের। অনেকেই জানান, শুক্রবার দুপুরের মধ্যে কোর্ট থেকে কাগজপত্র নিয়ে এলেও ‘রিলিজ’ পাননি তাঁদের বাড়ির লোক।

তবে শনিবার সকাল সকালই ডেকে পাঠানো হয় তাঁদের। অভিযুক্তদের আত্মীয়ের ভিড় বাড়তে থাকে। পরে ভিতরে ডেকে নেওয়া হয় তাঁদের। সব কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকলে শনিবারই জামিনে মুক্তি পাবেন তাঁদের আত্মীয়রা। সূত্রের খবর, বন্দি সাধারণভাবে রিলিজ পাওয়ার পর পরই মুক্ত করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে ছাড়ার আগে কাগজপত্র খতিয়ে দেখার বিষয়টিও যেহেতু থাকে, তার জন্য অনেকটা সময় লাগে। শুক্রবার তা সম্ভব হয়নি।

আদালতের নির্দেশে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে যাওয়ার পর প্রথম রাত সাধারণ বন্দির মতোই কেটেছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর। আপাতত তাঁর ঠিকানা প্রেসিডেন্সি জেলের ‘পয়লা বাইশ’ ওয়ার্ডের সেল নম্বর ২। ১১ বছরের মন্ত্রী জীবন তাঁর। নাকতলার বাড়িতে কী নেই! সেখান থেকে সোজা প্রেসিডেন্সির ছোট্ট খুপড়ি সেলে। নেই ধবধবে সাদা বিছানা, এসির বদলে মাথার উপর ঘুরছে পাখা। শনিবার এক কাপ চা আর বাটার টোস্ট পেয়েছেন প্রাতঃরাশে। বাকি বন্দিরাও তাই পেয়েছেন। চাইলে বাড়ির লোকজন বা আত্মীয়দের দেওয়া খাবার খেতে পারেন। না হলে ডিভিশন-৩ বন্দির জন্য যে খাবার বরাদ্দ রয়েছে, সেটাই খেতে হবে।