TET: টেটে বসার ক্ষেত্রে ফের নিয়ম শিথিল করল পর্ষদ, সুবিধা হবে অনেকেরই…
TET: ইতিমধ্যেই প্রাথমিকে ১১ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
কলকাতা: ফের টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট বা টেট (TET) দেওয়ার যোগ্যতা শিথিল হল। অনগ্রসর জাতি ও উপজাতির সম্প্রদায়ভুক্ত পরীক্ষার্থীরা স্নাতকে ন্যূনতম ৪৫ শতাংশ নম্বর পেলেই বসা যাবে পরীক্ষায়। একইসঙ্গে উচ্চমাধ্যমিকে ৪৫ শতাংশ নম্বর পেলেও তাঁরা টেটে বসতে পারবেন। বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অব প্রাইমারি এডুকেশন বা প্রাথমিক পর্ষদ এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এসসি, এসটি, ওবিসি, ফিজিকালি হ্যান্ডিক্যাপ্ড ক্যাটাগরিতে যাঁরা টেট দেবেন তাঁদের জন্য এই ছাড় দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই প্রাথমিকে ১১ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদ জানিয়েছে, ২০১৬ সালের নিয়োগ আইন অনুযায়ী নিয়োগ করা হবে। টেট পাশ করলে তারপরই নিয়োগ প্রক্রিয়া এগোবে। প্রশিক্ষণও থাকতে হবে। বুধবারই পর্ষদ জানিয়েছিল, যাঁরা প্রশিক্ষণের কোর্সে ভর্তি হয়েছেন তাঁরাও টেট দিতে পারবেন।
কালীপুজোর আগেই আবেদনপর্ব শুরু হয়ে যাচ্ছে টেটের জন্য। পর্ষদের ওয়েবসাইটে ২১ অক্টোবর থেকে শুরু হবে আবেদন প্রক্রিয়া। ২০১৪ ও ২০১৭ সালে টেট পাশ করেছেন তাঁরাও এবার আবেদন করতে পারবেন। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁদের অংশ নেওয়ার জন্য পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল ইতিমধ্যেই বলেছেন।
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই গৌতম পাল বলেছিলেন, “আমি অনুরোধ করছি সবাই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিন। আমি খুব তাড়াতাড়ি তাঁদের অ্যাপেন্টমেন্ট লেটার দেব। পরবর্তী বছরেও ২ বার নিয়োগ করব। আমি সরকার এবং মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। শিক্ষা দফতর অত্যন্ত সদর্থক ভূমিকা নিচ্ছে।”
যদিও আন্দোলনকারীরা এ নিয়ে ইতিমধ্যেই নিজেদের মত প্রকাশ করেছেন। অচিন্ত্যপ্রসাদ সামন্ত নামে এক প্রার্থী যেমন সংবাদমাধ্যমের সামনেই জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের প্রার্থী তাঁরা। দু’বার ইন্টারভিউ দিয়েছেন। একটা ইন্টারভিউ দেওয়ার প্রসেসও চলছে। সেই প্রক্রিয়া শেষ হলে তারপর অন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হোক, চান তিনি। নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে তাঁরা বঞ্চিত হতে পারেন এই আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন অচিন্ত্যপ্রসাদ।