AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Firhad Hakim: ‘পুরুলিয়া-বাঁকুড়ায় জল নেই, ড্রেন নেই, ইলেকট্রিসিটি নেই…’, রাস্তার মাঝে মহিলাকে উত্তর দিতে গিয়ে বেফাঁস ববি

Firhad Hakim: মেয়রের এমন মন্তব্যে খোঁচা দিতে ছাড়ছেন না বিরোধীরা। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, "অন্যান্য জায়গায় যে ন্যাশনাল হাইওয়ে তৈরি করা হয়েছে, তার সবই কেন্দ্রীয় সরকার করেছে।" তাঁর কথায়, "যা খাওয়ার খাওয়া হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু ঈশ্বরই ভরসা।"

Firhad Hakim: 'পুরুলিয়া-বাঁকুড়ায় জল নেই, ড্রেন নেই, ইলেকট্রিসিটি নেই...', রাস্তার মাঝে মহিলাকে উত্তর দিতে গিয়ে বেফাঁস ববি
Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 20, 2025 | 12:03 PM
Share

কলকাতা: রাস্তা পরিদর্শনে বেরিয়ে বিপাকে কলকাতা পুরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম। রাস্তার মাঝে গাড়ির সামনে ছুটে এসে অভিযোগ জানালেন এক মহিলা। ‘গত বছর রাস্তার যা অবস্থা ছিল, এবছরও তাই আছে!’ ছুটে গিয়ে মেয়রকে একথাই বলেন ওই মহিলা। আর সেই মহিলাকে উত্তর দিতে গিয়ে কার্যত বিড়ম্বনা বাড়ালেন মেয়র!

পুজোর আগে রাস্তা পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। গাড়ি থেকে নেমে চারপাশ দেখছিলেন তিনি। শুক্রবার তিনি বেরিয়ে দক্ষিণ কলকাতার ১৬ নম্বর বরোর অধীনে যে সব রাস্তাগুলি আছে অর্থাৎ বেহালার জেমস লং সরণি, শখেরবাজার মতিলাল গুপ্ত রোড, হরিদেবপুর মহাত্মা গান্ধী রোড পরিদর্শন করেন। ১১৪ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা আচমকাই ফিরহাদের গাড়ির সামনে হাজির হন। তিনি বলেন, “গড়িয়াহাট ফ্লাইওভার গত বছর পুজোর সময় যা ছিল, এবারও তাই আছে।” তিনি আরও বলেন, “এই যে ১১৪ নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তা ঠিক করা হয়েছে। এক-দু মাসের মধ্যে আবার খারাপ হবে, আবার সামনের বছর পুজোয় ঠিক হবে। এটা একটু খেয়াল করবেন।”

উত্তরে ববি হাকিম জানান, মূলত যে সব জায়গায় জল জমে, সেই সব জায়গায় রাস্তা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। সেখানে পেভার ব্লক বসিয়ে মেরামত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

উদাহরণ দিতে গিয়ে ওই মহিলা উল্লেখ করেন, বাঁকুড়া বা পুরুলিয়াতেও গেলে দেখা যাচ্ছে, রাস্তা ভাল। তিনি বলেন, “ওখানেও তো রাজ্য সরকার রাস্তা তৈরি করছে।” এ কথা শুনে ফিরহাদ হাকিম যা উত্তর দিলেন, তাতে প্রশ্ন উঠেছে রাজ্য সরকারের পরিষেবা নিয়েই। মেয়র বলেন, “ওখানে (পুরুলিয়া-বাঁকুড়ায়) জল নেই, ড্রেন নেই, ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই নেই।” জঙ্গলমহলে জল-বিদ্যুতের মতো পরিষেবা নেই, একথাই কি বলতে চাইলেন ফিরহাদ?

মেয়রের এমন মন্তব্যে খোঁচা দিতে ছাড়ছেন না বিরোধীরা। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “অন্যান্য জায়গায় যে ন্যাশনাল হাইওয়ে তৈরি করা হয়েছে, তার সবই কেন্দ্রীয় সরকার করেছে।” তাঁর কথায়, “যা খাওয়ার খাওয়া হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু ঈশ্বরই ভরসা।”

পরে এই বিষয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কলকাতায় ইউলিটি আছে, বাইরে নেই। সেখানে ঝড় হলে বিদ্যুৎ চলে যায়। কলকাতায় কিছু হয় না কারণ, মাটির তলা দিয়ে বিদ্যুতের কানেকশন করা আছে।”