‘কেন্দ্রকে কিনলে ১৫০ টাকা, রাজ্যের বেলায় ৪০০ কেন?’ ভ্যাকসিনের দাম দিয়ে অসন্তুষ্ট মমতা, চিঠি মোদীকে

মমতার প্রশ্ন, এক দেশে একই ভ্যাকসিনের দামে এত ফারাক কেন? সেই নিয়েই চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

'কেন্দ্রকে কিনলে ১৫০ টাকা, রাজ্যের বেলায় ৪০০ কেন?' ভ্যাকসিনের দাম দিয়ে অসন্তুষ্ট মমতা, চিঠি মোদীকে
অলংকরণ- অভিজিৎ বিশ্বাস
Follow Us:
| Updated on: Apr 22, 2021 | 6:26 PM

কলকাতা: করোনার টিকায় দামের ফারাক নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করে এ বার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। গতকালই এই নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে চিঠি দেবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। সেই মতো এ দিনের চিঠিতে মমতা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি জানতে চেয়েছেন, কেন রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রের তুলনায় ১৬৭ শতাংশ বেশি অর্থ ব্যয় করে করোনার টিকা কিনতে হবে?

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ১ মে থেকে ১৮ উর্ধ্ব ব্যক্তিদেরও টিকা দেওয়া যাবে। একই সঙ্গে খোলা বাজারেও ভ্যাকসিন মিলবে। কেন্দ্রের এই ঘোষণার পরই সিরাম ইন্সটিটিউটের পক্ষ থেকে ভ্যাকসিনের বিক্রয়মূল্য প্রকাশ্যে আনা হয়। জানানো হয়, কেন্দ্রীয় সরকারকে ডোজ প্রতি ১৫০, রাজ্য সরকারকে ৪০০ এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে ৬০০ টাকায় এই ভ্যাকসিন বিক্রি করা হবে। মমতার প্রশ্ন, এক দেশে একই ভ্যাকসিনের দামে এত ফারাক কেন? সেই নিয়েই চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

মমতার স্পষ্ট দাবি, যেই প্রতিষ্ঠানই হোক না কেন সবার জন্য ভ্যাকসিনের দাম একটাই রাখতে হবে। তপনে এ দিন ভোট প্রচারে গিয়ে তিনি বলেন, “এক ভ্যাকসিনের একটাই দাম হবে। একটা ভ্যাকসিনের অনেকগুলো দাম কেন হবে? প্রত্যেকটা ভ্যাকসিন এমারজেন্সি। এটা ব্যবসা করার জায়গা নয়। এক দামে দিতে হবে।”

আরও পড়ুন: শুক্রবারের বঙ্গ সফর বাতিল করলেন মোদী, হওয়ার কথা ছিল চারটি সভা

এই বিষয়টির উপর আলোকপাত করেই এ দিন চিঠি লিখে নরেন্দ্র মোদীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে তিনি জানতে চান, কেন ভ্যাকসিনের ডোজ পিছু রাজ্য সরকারগুলিকে ১৬৭ শতাংশ বেশি দাম দিতে হবে কেন্দ্রের তুলনায়। এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো এবং গরিব বিরোধী বলে দাবি করেছেন মমতা। পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলির জন্য যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, তাও অস্বাস্থ্যকর এবং কালোবাজারির দরজা খুলে দেবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: এভাবে করোনা ছড়াচ্ছে, কমিশন কী করছে! ভোটপ্রচারে লাগামছাড়া জমায়েত নিয়ে চরম অসন্তোষ হাইকোর্টের