Paschim Medinipur School: ভেঙে পড়ল স্কুলের দেওয়াল, গাছ তলায় বসে চলছে পঠনপাঠন
Paschim Medinipur School: স্কুল বিল্ডিং মেরামত না করা হলে পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠাবেন না অভিভাবকরা, সাফ জানিয়ে দিলেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের হোসেনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
পশ্চিম মেদিনীপুর: স্কুল শুরুর আগে ভেঙে পড়ল ভবনের দেওয়াল। আতঙ্কে গাছের নীচে পড়াশোনা করতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। স্কুল শুরু হওয়ার আগে ভেঙে পড়ল স্কুল ভবনের দেওয়াল, আতঙ্কে শিক্ষক থেকে পড়ুয়া। গরমের সময় গাছের তলায় বসে চলছে পড়াশোনা। বারবার জানিয়েও জরাজীর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন। তাই অবশেষে স্কুলের দেওয়াল ভেঙে পড়ায় গাছ তলাতেই পঠন পাঠন করতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। স্কুল বিল্ডিং মেরামত না করা হলে পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠাবেন না অভিভাবকরা, সাফ জানিয়ে দিলেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের হোসেনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক অরবিন্দ দে বলেন, “স্কুল শুরু হওয়ার আগে বিল্ডিংয়ের দেওয়াল ভেঙে পড়ে। ভাগ্যক্রমে স্কুল চলাকালীন ঘটনাটি ঘটেনি। তাই কারোর মাথায় পড়েনি।” ১৯৪৯ সালে তৈরি স্কুলটি। ৭৩ জন ছাত্রছাত্রীকে গাছ তলাতেই ক্লাস করাতে হচ্ছে। বারবার প্রশাসনে জানানো হয়েছে কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ বিজেপি নেতার, বিজেপি মধ্য মণ্ডল সভাপতি সমিরন বাড়ুই বলেন, “বিধায়করা দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি নিয়ে এই ভাঙাচোরা স্কুলে যাচ্ছেন না, কারণ বিক্ষোভের মুখে পড়তে হতে পারে। এখন শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বিল্ডিং ভেঙে পড়াটা নতুন আর কী!”
অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নমিতা সিং বলেন, “আমি বিষয়টি শুনেছি যেহেতু শিক্ষার বিষয় রয়েছে দ্রুত যাতে স্কুলটিকে মেরামত করা যায়, তার ব্যবস্থা নিচ্ছি।” বিরোধীদের কটাক্ষ উড়িয়ে পাল্টা বলেন, “বিরোধীদের কাজ সমালোচনা করা। দিদির সুরক্ষা কবচ হচ্ছে একটি পাইলট প্রজেক্ট। বিরোধীরা উন্নয়নের কথা না বলে সমালোচনা করছে প্রচারের আলোয় আসার জন্য।” সব মিলিয়ে স্কুল ভবনের দুর্দশা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।