Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Asansol Car Accident: ছেলের বিয়ে দিতে যাচ্ছিলেন, পথেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় মৃত্য়ু বাবার

Asansol Car Accident: ধানবাদ থেকে বরযাত্রীর গাড়ি পানাগড়ে যাচ্ছিল। ধানবাদের বাসিন্দা অরবিন্দ পাণ্ডের বিয়ে ছিল পানাগড়ে। তারই বিয়েতে বরযাত্রী বোঝাই বেশ কিছু স্করপিও রওনা হয়েছিল। তার মধ্যে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে।

Asansol Car Accident: ছেলের বিয়ে দিতে যাচ্ছিলেন, পথেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় মৃত্য়ু বাবার
আসানসোলে দুর্ঘটনার কবলে বরের গাড়ি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 28, 2023 | 11:52 AM

আসানসোল: ফুল দিয়ে সাজানো গাড়ি। ভিতরে হুল্লোড়। গাড়ির গতিবেগও বেশ ভালই ছিল। আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন চালক। সজোরে গিয়ে ধাক্কা সামনের স্করপিওকে। স্করপিও ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে উল্টে যায়। জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিয়ের গাড়ি। ছেলের বিয়ে দিতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল বাবার। মৃত্যু হয়েছে গাড়ি চালকেরও। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম অনিল পাণ্ডে(৫৫) ও গাড়ির চালক সন্তোষ বিশ্বকর্মা (৪৫)। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দু’জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁরা চিকিৎসাধীন আসানসোল জেলা হাসপাতালে। সোমবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক আসানসোল উত্তর থানা কাল্লা মোড়ে।

ধানবাদ থেকে বরযাত্রীর গাড়ি পানাগড়ে যাচ্ছিল। ধানবাদের বাসিন্দা অরবিন্দ পাণ্ডের বিয়ে ছিল পানাগড়ে। তারই বিয়েতে বরযাত্রী বোঝাই বেশ কিছু স্করপিও রওনা হয়েছিল। তার মধ্যে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। গাড়ির মধ্যে চালক-সহ চারজন ছিলেন। বরের বাবা অনিল পাণ্ডে ছিলেন গাড়ির সামনের সিটে। তাঁরা দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন বরের বাবা অনিল পাণ্ডে(৫৫) ও গাড়ির চালক সন্তোষ বিশ্বকর্মাকে(৪৫)।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয় বরের দুই মামা শশীভূষণ পাণ্ডে ও বলদেব পাণ্ডেকে। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার পর তড়িঘড়ি পানাগড়ে গিয়ে বিয়েপর্ব মিটিয়ে নেওয়া হয়। এবং রাতেই পরিবারের লোকজন ফিরে আসেন ধানবাদে। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে পাণ্ডে পরিবারে। প্রতিবেশীরা বলছেন, “অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। বিষয়টা মেনে নেওয়া যায় না। কিন্তু বিয়ে দেওয়াটাও উচিত ছিল। নাহলে মেয়েটার ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে পড়ে যেত।”