Russia Banned Boris Johnson: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ওপর নেমে এল পুতিনের খাঁড়া! বরিসের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে রাশিয়া

Russia-Ukraine Conflict: বেশ কিছু দেশ রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক ও কূটনৈতির নিষেধাজ্ঞাও চাপিয়েছিল। এর মাঝেই সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে সটান ইউক্রেনে গিয়ে হাজির হয়েছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন

Russia Banned Boris Johnson: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ওপর নেমে এল পুতিনের খাঁড়া! বরিসের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে রাশিয়া
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 16, 2022 | 7:51 PM

লন্ডন: প্রায় দু’মাস ধরে রাশিয়া-ইউক্রেনের লড়াই (Russia-Ukraine War) চলছে, দুই দেশের মধ্যে একাধিকবার বৈঠক হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোনও লক্ষণ নেই। রুশ আক্রমণের মুখে ইউক্রেনের বিধ্বস্ত অবস্থা হলেও এখনও দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করছে ইউক্রেন। রাশিয়ার যখন ইউক্রেন সীমান্ত সেনা মোতায়েন করেছিল, সেই সময়ই আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেনের মতো পশ্চিমী দেশগুলি রাশিয়ার তীব্র নিন্দা সরব হয়েছিল। এমনকী রাশিয়া যদি ইউক্রেন আক্রমণ করে, তবে মারাত্মক ফল হবে, এই হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। তবে মেঘ যতটা গর্জে ছিল, ততটা বর্ষণ হয়নি। রাশিয়ান আক্রমণের মুখে ইউক্রেনের পাশে থাকার বার্তা ও ইউক্রেনেকে অস্ত্র সাহায্য করেই ক্ষান্ত হয়েছিল এই দেশগুলি। বেশ কিছু দেশ রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক ও কূটনৈতির নিষেধাজ্ঞাও চাপিয়েছিল। এর মাঝেই সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে সটান ইউক্রেনে গিয়ে হাজির হয়েছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson)। ইউক্রেনীর প্রেসিডেন্ট ভলোদেমির জ়েলেনস্কির সঙ্গে পরিস্থিতি ঘুরে দেখেছিলেন। বরিসের এই কাজ মস্কো যে মোটেও ভাল চোখে নেবে না, তা আন্দাজ করা হয়েছিল। বাস্তবেও তেমনটাই হল। শনিবার মস্কো জানিয়েছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর রাশিয়াতে ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে। বরিসের পাশাপাশি ব্রিটেনের বেশ কিছু আধিকারিকেরও ওপরও রাশিয়াতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, “লন্ডন দীর্ঘদিন ধরেই রাশিয়াকে আন্তর্জাতিকভাবে খাটো করার চেষ্টা করে আসছে। এমনকী অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করার জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে তারা রাজনৈতিক প্রচার চালাচ্ছে। সেই কারণেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” রুশ বিদেশমন্ত্রক আরও জানিয়েছে, “ব্রিটিশ নেতৃত্ব ইচ্ছাকৃতভাবে ইউক্রেনের আশেপাশের পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করছে, কিয়েভ সরকারকে প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছে। ন্যাটোর মাধ্যমেও রাশিয়া বিরোধী কার্যকলাপ চালানোর প্রচেষ্টা করা হয়েছে।” রাশিয়ার এই ব্ল্যাক লিস্টে ব্রিটিশ উপ-প্রধানমন্ত্রী ডমিনিক রাব, পররাষ্ট্র সচিব লিজ ট্রাস, প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেস, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এবং স্কটল্যান্ডের প্রথম মন্ত্রী নিকোলা স্টারজন রয়েছেন। রাশিয়ার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্রিটেন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেই দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আরও পড়ুন Afghanistan Crisis: আফগানিস্তানের স্কুলে আবার ‘তালিবান’ ফতোয়া, আর করা যাবে না এই কাজ!